যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি রামুর ঘটনা শুধু একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় - একটা অস্থির জাতির অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। সামান্য ফুটবল খেলার সময় বিদ্যুতের অভাবে এরা জাতীয় সম্পত্তি ধংস করা থেকে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে গনতন্ত্র চর্চা করে বাসে আগুন দিয়ে আর সম্পদ ধ্বংস করার মাধ্যমে। মোটামুটি দুই দলে বিভক্ত হয়ে বিশৃংখলার চর্চা করা এই সমাজের সাধারন নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। এখন দেখছি নতুন সিনড্রোম - শুক্রবারে নামাজের পর মিছিল করে জনজীবনকে বিপন্ন করা। জানি না এরা কোথা থেকে এই বিষয়গুলো পেলো।
একটা জাতিকে উন্নত করার জন্যে সবচেয়ে বেশী দরকার শৃংখলা বোধ - এবং রাজনীতিবিদরা মতাদর্শানুসারে তাদের সমর্থক আর কর্মীদের মাঝে শৃংখলা বোধ তৈরী করে - তারা আলোচনা আর বিতর্কের মাধ্যমে পরষ্পর বিরোধী মতাদর্শকে সহনীয় করতে সাহায্য করে। কিন্তু বাংলাদেশে তা হয় ভিন্ন ভাবে - নেতা মানেই মাইকের সামনে দাড়িয়ে অনবরত চিৎকার করে সমর্থকদের উত্তেজিত করবে আর ঘৃনার তৈরী করে বিরোধী পক্ষে প্রতি। এই কাজে একদল সুশীল ধুয়া দিয়ে দুই দলকেই সাহায্য করে।
কথা বলছিলাম রামুর ঘটনা নিয়ে - রামুতে এই ঘটনা প্রথম না - তবে মন্দিরের উপর আক্রমনের বিষয়টা প্রথম - ২০১০ সালেও এই ভাবে ১০টি গ্রাম পোড়ানো হয়েছিলো। এদিকে কয়েক মাস আগে সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুদের বাড়ী ঘরে তুচ্ছ কারনে পরিকল্পিত আক্রমন হয়েছে।
এই সকল ঘটনার পর কিছুদিন হৈচৈ - অতপর চ্যানেল বদলিয়ে চলে যাই অন্যদিকে - মোট কথা এই ধরনের ঘটনার কোন বিচার হয়না - বা হয়নি।
রামুর ঘটনার পর আশা করেছিলাম অন্তত রাজনীতিবিদরা একটু ম্যাচিউরিটি দেখাবেন। সকলই গরল ভেল - শুধুই হা হুতাশ। কেউ কারো চেয়ে কম যায় না - বেগম খালেদা জিয়া রামুতে যাওয়ারও সময় পাননি - হবিগঞ্জে গিয়ে বলে আসলে আওয়ামীলীগ দায়ী - প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির সাংসদের দিকে ইংগিত করছেন - সেই সময় মওদুদ আহমদে তদন্ত করে রিপোর্ট দিলেন - সরকার জড়িত - চাদর গায়ের গান্ধী বাদি বললেন - আওয়ামীলীগ বিএনপি জামায়াত সবাই জড়িত - মানবাধিকার কমিশনের মিজানুর রহমান বললেন - পুলিশের দোষ।
সবকিছু দেখে শুনে মুচকি হাসে প্রশাসনের লোকজন - কারন এই ঘটনার থেকে যখন সবার চোখ সরে যাবে তখনও তাদের মামলা আর গ্রেফতার বাণিজ্য চলবে।
যদিও সর্বপ্রথম দায়ী হিসাবে নাম আসার কথা ছিলো প্রশাসনের কর্তাদের (পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ উপস্থিতি আছো রামুতে)।
মোদ্দা কথা - এতো জঘন্য ঘটনা - যা বাংলাদেশের ইমেজের জন্যে খুবই ক্ষতির কারন - তা নিয়েও রাজনীতি করলো রাজনীতিকরা। যে কোন তুচ্ছ বিষয়েও এরা একমত হতে পারে না। কিন্তু আমেরিকার রাস্ট্রদূতের বাসায় দাওয়াত পেলে সবাই ধন্য হয়ে যায়। রাজনীতিকরা আমেরিকার লবিষ্ট ফার্মকে হাজার হাজার ডলার পেমেন্ট দেয় যাতে তাদের দিকে শ্যাম চাচার সুনজর থাকে।
বিরোধীদল সুবোধ বালক হয়ে যায় যদি মজিনা গিয়ে বৈঠক করে। অবিকল প্রভুভক্ত কুকুরের মতো - কুকুর যেমন স্বজাতির ছায়াও সহ্য করতে পারে না - তেমনি এই রাজনীতিকরা নিজেদের মাঝে সামান্য বিষয়ে ঐক্যমত্য তৈরী করতে রাজী না - তবে তাদের প্রভু যা বলে তা পালন করতে এরা সব সময় প্রস্তুত থাকে। সমস্যা হলো কুকুরও মাঝে মধ্যে প্রভুদের উপর বিরক্ত হয়ে দুই চারটা ঘেউ ঘেউ করে - এরা তাও করতে ভুলে গেছে। সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে কুকুরও এদের দেখলে অবাক হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।