তখনকার ঘটনা- যখন ইংরেজরা শাসন করত আমাদের। রবার্ট স্ট্রাউস সাহেবের বাড়িতে কাজ করত বাহাদুর মিয়া। ঘর ঝাড়ু, বাসন মাজা থেকে শুরু করে জুতা সেলাই পর্যন্ত করে দিত এই বাহাদুর।
সন্ধ্যা বেলা। প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে।
স্ট্রাউস সাহেব তার প্রিয় রকিং চেয়ারে বসে দোল খাচ্ছেন। হঠাৎ করে অন্দরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হল। বিদ্রোহীরা (ইংরেজ বিরোধী) আক্রমন করেছে। ভড়কে গেলেন স্ট্রাউস সাহেব। চোখ বন্ধ করে যীশুর নাম জপতে শুরু করলেন।
বিদ্রোহীরা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে স্ট্রাউসকে। বাঁচার আর কোন আশা নেই। হঠাৎ করে রাম দা হাতে হুঙ্কার দিয়ে উপস্থিত হল বাহাদুর। বাহাদুরের আকস্মাত উপস্থিতি ভড়কে দিল বিদ্রোহীদের। ৫ মিনিটের মত যুদ্ধ হল।
ততোক্ষণে স্ট্রাউসের সৈন্য বাহিনীও উপস্থিত হয়ে গেছে। সেদিন কোনরকমে পালিয়ে বেঁচেছিল বিদ্রোহী বাহিনী।
পরদিন স্ট্রাউস সাহেব বাহাদুরের বীরত্বের জন্য তাকে খান উপাধি দিলেন। বাহাদুর বাহাদুর মিয়া থেকে রূপান্তরিত হল খান বাহাদুরে।
এরপর থেকে কেউ সাহসের সাথে কোন কাজ করলেই বঙ্গবাসী বলে থাকে, "সাবাস বেটা বাহাদুর"।
আমরা বঙ্গবাসী এখন কারনে-অকারণে বাহাদুর সাজার চেষ্টা করি। খাবার চুরির অপরাধে টোকাইকে পিটিয়ে তক্তা বানাই; যেখানে এম পি-মন্ত্রীরা পুরো দেশটা চুরি করছে। উন্নতি-প্রগতির নামে উচ্চমার্গের চাপাবাজি করি; নিজেরা তার ধারের কাছ দিয়েও যাইনা। ধর্মের দোহাই দিয়ে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃস্টান পোড়াচ্ছি; অথচ ধর্মের 'ধ' ও জানিনা।
সত্যিকার অর্থেই আমরা বাহাদুর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।