জনারণ্যে নির্জনতায় আক্রান্ত। নির্জনতাই বেশী পছন্দ, নিজের ভেতরে ডুবে থাকতেই ভাল লাগে। কিছুটা নার্সিসিস্টও।
স্থুলতা বা মোটাতাজা সমস্যা এখন বিশ্বব্যপি। আর স্থুলতার মূলকারনই হলো আমাদের খাদ্যাভ্যাস।
৩য় বিশ্বের দেশ হলেও শহুরে আমাদেরও ব্যপক মাথাব্যথার কারন এটি। আমেরিকার "জেনারেল মোটরস" তাদের স্থুলদেহী কর্মীদের জন্য ডায়েটিশিয়ান দিয়ে এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করে ও ব্যবহার করে দারুন ফল পেয়েছিলো। এটিকে জিএম ডায়েট পদ্ধতি হিসেবে সবাই চেনে। এ পদ্ধতি একবার প্রয়োগ করেই ৩ থেকে ৮ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। কোনপ্রকারের ব্যয়াম ছাড়াই শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস পাল্টেই ওজন কমানো সম্ভব এ পদ্ধতিতে।
আমার অফিসের দুজন কলিগ দু-সপ্তাহ আগে এই পদ্ধতিতে একজন ১২৩ কেজি থেকে ১১৭ কেজিতে অন্যজন ৯২ কেজি থেকে ৮৭ কেজিতে নেমে এসেছেন। তাদের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন করে আরও দুজন বর্তমানে এটি ফলো করছেন।
এটি পুরো ৭ দিনের রুটিন, যা নিচে সংক্ষেপে বলা হলো :
১ম দিনঃ কলা ছাড়া যত ইচ্ছা ফল খাওয়া যাবে।
২য় দিনঃ শাক-শব্জি কাঁচা বা রান্না করে, অল্প তেলে অন্য মসলা ছাড়া।
৩য় দিনঃ ফল-মুল, শাক-সব্জি যত ইচ্ছা তত, তবে কলা বাদ দিয়ে।
৪র্থ দিনঃ সারাদিনের খাবার ৮টি কলা ও তিন গ্লাস দুধ।
৫ম দিনঃ সারাদিনে অল্প পরিমান চর্বিহীন মাংশ ও ৬টি টমোটো ।
৬ষ্ঠ দিনঃ ইচ্ছামত চর্বিহীন মাংশ ও শাক সব্জি ।
৭মদিনঃ ভাত বা রুটি, ফলের রস ও শাক-সব্জি প্রয়োজনমত।
বি: দ্র :
এই পদ্ধতি মাসে একবারের বেশী করা বিপদজনক হতে পারে।
এই ৭ দিন কোনভাবেই খাবার নিয়ম বিন্দু পরিমানও বদলানো যাবে না। খাবারের পরিমান এর চাইতে কমানো স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে মাসের বাকিদিনগুলিতে বুঝেশুনে খেতে হবে, তা না হলে আগের জায়গায় ফেরত যেতে হবে এটা নিশ্চিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।