থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
২০১০ সালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার পূর্ব বান্ধাইল গ্রামের মহিদুর রহমান (৪৫) কুয়েতে খুন হন। ওই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম সে দেশের আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালে কুয়েতের আদালত ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর গ্রামের রমজান মিয়া (২০), মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের দুই সহোদর ইকবাল হোসেন (২৬) ও মো. হূদয়কে (২৫) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
গত ৩০ জানুয়ারি মহিদুরের পরিবার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিন আসামিকে ক্ষমা করে দিয়ে চুক্তি সই করেন।
চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ওই তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড মওকুফ হলে মহিদুরের পরিবারকে ২১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী আসামিদের পরিবার ২১ লাখ টাকা দেন। ওই টাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান ও ইউএনও নাসরিন সুলতানার যৌথ ব্যাংক হিসেবে জমা রাখা হয়।
মহিদুরের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ২১ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে মহিদুরের মেয়ে রাজমিনকে পাঁচ লাখ, ছেলে মজিবুর রহমানকে নয় লাখ, চার ভাই হাবিবুর রহমান, তারা মিয়া, চান মিয়া ও রাজা মিয়াকে পাঁচ লাখ এবং চার বোনের মাঝে দুই লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
সংবাদটা পড়ে আমার মনে প্রশ্ন জেগেছেঃ
১/ স্ত্রী কেন পেলেন না? ব্লাড রিলেশান নাই বলেই কি উনি বঞ্চিত হলেন?
২/ একটা জীবনের মূল্য কি ২১ লাখ টাকা?
সূত্রঃ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ‘ব্লাডমানি’ বণ্টন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।