আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতীদের প্রতিষ্ঠাতা মালানা মওদুদীর কুফরীমুলক ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি

নবী-রসূল আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম সম্পর্কে বক্তব্যঃ (১) নবীপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কেঃ “আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল, তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিংবা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন। ” [তাফহিমুল কোরআন (বাংলা), ১৯শ খন্ড, ২৮০ পৃষ্ঠা, ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা, ১৯৮০ ইং] “মহানবী (স.) মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন। ” [তরজমানুল কোরআন, ৮৫তম সংখ্যা, ২৩০ পৃষ্ঠা] “মহানবী (স.) নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন। ” [তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী] “মহানবী (দঃ) তের বছর পর্যন্ত আরবের লোকদের মধ্যে ইসলামের মৌখিক ওয়াজ ও দাওয়াতের সর্বাতœক প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর শেষে যখন অস্ত্র ধারণ করেছিলেন তখন মানুষের মন আপনা-আপনি সত্য গ্রহণের জন্য বিগলিত ও ইসলামে শামিল হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল।

” [ আল জিহাদ ফিল ইসলাম, ১৭৩-১৭৪ পৃষ্ঠা, ২০০২ ইং] দাজ্জাল সম্পর্কিত হাদীছ শরীফগুলোর আলোচনা প্রসঙ্গে সে বলেছে, “এ সম্পর্কে যেসব কথা হুজুরের নিকট থেকে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, মূলত এগুলো ছিল তাঁর অনুমান (কিয়াস)। এসব সম্পর্কে তিনি নিজেও সন্দিগ্ন ছিলেন। এসব কথা তিনি ওহী লাভের ভিত্তিতে বলেন নি,বরং অনুমান করে বলেছিলেন। ........” [রাসায়েল ও মাসায়েল, ৫৫-৫৬ পৃষ্ঠা] (২) হযরত আদম আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ “হযরত আদম (আঃ) মানবিক দূর্বলতায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি শয়তানী প্রলোভন হতে সৃষ্ট তড়িৎ জযবায় আত্মভোলা হয়ে নিজ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন।

ফলে আনুগত্যের উচ্চ শিখর হতে নাফরমানীর অতল গহ্বরে গিয়ে পড়েন। ” [তাফহিমুল কোরআন, ৩য় খন্ড, ১৩৩ পৃষ্ঠা] (৩) হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ “হযরত দাউদ (আ.) এর কাজের মধ্যে নফস ও আভ্যন্তরীণ কুপ্রবৃত্তির কিছুটা দখল ছিল। অনুরূপভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথেও তার কিছুটা সম্পর্ক ছিল। আর তা ছিল এমন ধরনের কাজ, যা হক পন্থায় শাসনকারী কোন মানুষের পক্ষেই শোভা পায়না। ” [তাফহিমুল কোর আন, ৪র্থ খন্ড,৩৭২ পৃষ্ঠা, অক্টোবর ১৯৬৬ ইং] “ উরইয়ার স্ত্রীর ব্যাপারটির মূলতত্ত্ব শুধু এতটুকু ছিলো যে, হযরত দাউদ (আ.) সমকালীন ইসরাঈলী সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উরইয়ার নিকট তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অনুরোঢ করেছিলেন।

। ...............” [তাফহিমাত, ২য় সংস্করণ, ২য় খন্ড, ৪২ পৃষ্ঠা] (৪) হযরত নূহ আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ “হযরত নূহ (আ.) চিন্তাধারার দিক থেকে দ্বীনের চাহিদা থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে জাহিলিয়াতের জযবা স্থান পেয়েছিলেন। ” [ তাফহিমুল কোরআন, ৩য় সংস্করণ, ২য় খন্ড, ৩৪৪ পৃষ্ঠা, ১৯৬৪ ইং] (৫) হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ “হযরত ইউনুস (আ.) থেকে রিসালাতের দায়িত্ব আদায় করার ব্যাপারে কিছু দূর্বলতা হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত তিনি ধৈর্যহারা হয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আপন স্থান ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন।

” [তাফহিমুল কোরআন, ৩য় সংস্করণ, ২য় খন্ড, সূরা ইউনুস (টিকা দ্রষ্টব্য), ১৯৬৪ ইং] (৬) হযরত মূসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ “নবী হওয়ার পূর্বে মুছা (আ.) দ্বারা একটি বড় গুনাহ হয়েছিল। তিনি এক ব্যাক্তিকে কতল করেছিলেন। ” [রাসায়েল ও মাসায়েল, ১ম খন্ড, ৩১ পৃষ্ঠা] “মুছা (আ.) এর দৃষ্ট্রান্ত হচ্ছে ঐ অধৈর্য্যশীল বিজয়ীর মত যে তার শাসন ক্ষমতা সুপ্রতিষ্ঠিত না করেই মার্চ করে সম্মুখ চলে যায় আর পিছনে ফেলে যাওয়া এলাকায় বিদ্রোহের দাবানল দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়ে। ” [তরজমানুল কোরআন, ২৯তম খন্ড, ৪-৫ পৃষ্ঠা] (৭) হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ “এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম (আ.) যখন নক্ষত্র দেখে বলেছিলেন, এটা আমার প্রতিপালক এবং চন্দ্র-সূর্য দেখে এগুলোকেও নিজের প্রতিপালক হিসাবে অবহিত করেন, তখন সাময়িক ভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” [তাফহিমুল কোরআন, ১ম খন্ড, ৫৫৮ পৃষ্ঠা] (৮) হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ “আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন – এ কথাটি হযরত ইউসুফ (আ.) শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। করো কারো ধারণা, বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে।

এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন। ” [ তাফহীমাত, ৫ম সংস্করণ, ২য় খন্ড, ১২২ পৃষ্ঠা] (৯) হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ “হযরত ইসা (আ.) মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপরটি অস্পষ্ট। ” [তাফহিমুল কোরআন, ১ম খন্ড, ৪২১ পৃষ্ঠা] (১০) নবী-রসূল আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম সম্পর্কেঃ “ইসমত বা নিষ্পাপ হওয়াটা মূলতঃ নবীদের প্রকৃতিগত গুণ নয়। বরং নবুয়তের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য আল্লাহ তায়ালা কৌশল্গতভাবে তাঁদেরকে ভুলত্রুটি ও পদস্খলন থেকে নিরাপদ রেখেছেন। নতুবা তাঁদের ওপর আল্লাহ তায়ালার হেফাজত ক্ষণিকের জন্য ঊঠে গেলে সাধারণ মানুষের মত তাঁরাও ভুলভ্রান্তিতে পড়তে পারেন।

এখানে একটি সূক্ষ বিষয় এই যে, আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করেই প্রত্যেক নবীর উপর থেকে কোন না কোন সময় তার হেফাজত উঠিয়ে নেন এবং তাদেরকে দুএকটি গুনাহে লিপ্ত হতে দেন। যাতে করে মানুষ যেন খোদা বলে ধারণা না করে এবং জেনে রাখে এরাও মানুষ। ” [তাফহীমাত, ৪র্থ সংস্করণ, ২য় খন্ড, ৫৬-৫৭ পৃষ্ঠা] “কোন কোন নবী দ্বীনের চাহিদার উপর স্থির থাকতে পারেন নি। বরং তারা আপন মানবীয় দূর্বলতার কাছে হার মেনেছেন। ” [ তরজমানুল কোরআন, ৩৫তম সংখ্যা, ৩২৭ পৃষ্ঠা] ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.