রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপির সংসদীয় প্রতিনিধিদল।
আজ সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে তারা এ দাবি জানায়। একই সঙ্গে তারা চার সিটিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সাংসদ মাহবুব উদ্দিনের নেতৃত্বে সাতজন সাংসদ প্রতিনিধিদলে ছিলেন। কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত শুক্রবার পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর রাজশাহী সিটি করপোরেশনে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন করেন।
বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। এ বিষয়ে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তোফাজ্জল হোসেন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে মাহবুব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী এলাকায় গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রম উদ্বোধন করে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের লোভ দেখিয়েছেন। সেখানে সরকার-সমর্থিত প্রার্থী খায়রুজ্জামান উপস্থিত না থাকলেও মহাজোটের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা উপস্থিত থেকে প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন।
মাহবুব উদ্দিন জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তাঁরা নির্বাচন-প্রক্রিয়া চলমান চার সিটিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন।
মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে নয়, সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে আমরা এসেছি, একজন নাগরিক হিসেবে এসেছি। দল কাউকে মনোনয়ন দেয়নি, তবে প্রার্থীকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। ’
এ বিষয়ে পরে সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও রাজশাহীর ব্যবস্থাপককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চার সিটিতে এখন পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সাংসদ আবদুল মোমিন তালুকদার, জেড আই এম মোস্তফা আলী, এ কে এম হাফিজুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, রেহানা আক্তার ও সৈয়দা আশিফা আশরাফী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।