সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে সব শিশুকে উঠিয়ে দেওয়া হয় এবং ৩টা ৪৫ মিনিট থেকে ৫টা পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হয়। একটা সাধারণ ঘরে৩০ থেকে ৩৫ জন ছাত্র অবস্থান করে এবং তাদের ঘুমানোর জায়গা হচ্ছে ছোট্ট একটা বিছানা, যেখানে তাদের স্বাভাবিক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। শুধু ঘুমানোই নয়, সেখানে তাদের পড়াশোনা, খাওয়া-দাওয়া, প্রাসঙ্গিক কাজকর্ম ওখানে বসেই করতে হয়। ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে সুবাহদার শায়েস্তা খানের উদ্যোগে ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে একটি মাদ্রাসা ও মসজিদ নির্মিত হয়।
১৯৯৮ পর্যন্ত সারাদেশে ২,০৪৩টি মাদ্রাসা কওমী মাদ্রাসা এই বোর্ডে নিবন্ধিত হয়েছে।
বর্তমান সরকার ৯শ’ মাদ্রাসায় আধুনিক একাডেমিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাতগুলোর অন্যতম। মাদ্রাসা মূলত মুসলমানদের অধ্যয়ন-অধ্যাপনা গবেষণা ইত্যাদির স্থান বা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সাধারণ অর্থে মাদ্রাসা হচ্ছে আরবি ভাষা ও ইসলামি বিষয়ে শিক্ষার প্রতিষ্ঠান।
মাদ্রাসা শিক্ষায় প্রথম প্রতিষ্ঠান ছিল সাফা পর্বতের পাদদেশে যায়েদ-বিন-আরকামের বাড়িতে, যেখানে স্বয়ং রসুল (স ছিলেন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী ছিলেন তাঁর কয়েকজন অনুসারী। হিজরতের পর মদিনায় মসজিদে নববি-র পূর্বপাশে স্থাপিত হয় মাদ্রাসা আহলে সুফ্ফা।
অনেক ছাত্র এই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে যায় । যে ছাত্ররা বাড়ি পর্যন্ত পালিয়ে যায় সেই ছাত্ররা তাদের বাবা-মার কাছ থেকেও নিস্তার পায় না। তাদের বাবা-মা জোর করে ওই নরকে ফেরত পাঠায়।
মাওলানা শফী, মাওলানা নিজামী, মাওলানা সাঈদী , মাওলানা মুজাহিদ, মুফতি আমিনী, চরমোনাই পীরসহ এই জঙ্গী নেতাদের শক্তি প্রধান উৎস এই মাদ্রাসার ছাত্ররা। ইদানিং অনেক মাদ্রাসায় কম্পিউটারও এসেছে। হিসাব-নিকাশ, প্রশ্নপত্র, ফলাফল এসবের কাজে ব্যবহৃত হয় কম্পিউটার। কিছু মাদ্রাসায় ছাত্রদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা ও ব্যবহারেরও সুযোগ আছে।
বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষকরূপী এইসব যৌন অপরাধীদের তৎপরতা মুক্তিযুদ্ধের সময় ও ছিল।
হেফাজতে ইসলাম বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা ছাত্রদের বাদ দিলে এদের আর কোন কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই মাদ্রাসা ছাত্ররা তাদের ওস্তাদের অন্ধ অনুসরণ করে থাকে। এদের কাছে ওস্তাদই হচ্ছে জীবন্ত কোরআন ও হাদীস। যারা মাদ্রাসায় পড়ছে তারা এদেশেরই নাগরিক, এদেশের সন্তান। তাই সময় এসেছে আমাদের সন্তান, আমাদের ভাইকে অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর জগতে নিয়ে আসার।
বাংলাদেশে কাওমী মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী প্রায় ৫০ লক্ষ!বাদশা আকবর দীনে ইলাহিকে অস্ত্র বানাতে চেয়েছিলেন ছিলেন কিন্তু আজকের দীনে ইলাহিপন্থীরা আজকের বাদশা আকবরের হাত ধরে ক্ষমতায় যেয়ে ক্ষমতার জোড়ে তাদের দীনে ইলাহিকে দিয়ে প্রচলিত সুন্নি দেউবন্দি তাব্লিগি মাইজভাণ্ডারী মাজার পন্থা কে চ্যালেঞ্জ করতে চায় মানুষকে সরিয়ে দিতে চায় তাদের প্রচলিত বিশ্বাস থেকে!
ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম মাদ্রাসার ইমারত নির্মিত হয়েছিল মুলতানে। এর নির্মাতা ছিলেন নাসির উদ্দীন কুবজা এবং এর প্রধান ছিলেন মৌলানা কুতুবুদ্দীন কাশানি। শেখ বাহাউদ্দিন যাকারিয়া মুলতানি ৫৭৮ হিজরি সালে এই মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ করন। বাংলার প্রথম মুসলিম শাসক ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী ১১৯৭, মতান্তরে ১২০১ খ্রিস্টাব্দে বাংলার রাজধানী গৌড়ে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। সুলতান গিয়াসুদ্দীন একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন ১২১২ খ্রিষ্টাব্দে।
পরবর্তীকালে তাঁর বংশধর সুলতান দ্বিতীয় গিয়াসুদ্দীনও একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করেন।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা চাবুয়া আলিম মাদ্রাসায় আজ মঙ্গলবার শাহজাহান সুজন নামে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষক আবু সালেহ। হাফিজিয়া মাদ্রাসার হুজুর কতৃক দশম শ্রেনীর এক ছাত্র বলাত্কারের ঘটনায় জলঢাকা থানা পুলিশ ওই হুজুর কে শনিবার বিকালে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত হুজুর নীলফামারীর জলঢাকার উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গড়েরডাঙ্গা হাফিজিয়া মাদ্রাসার হাফেজ হুজুর নুরুল ইসলাম(৫০)। রাজবাড়ীর সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জান্নাতুল উলুম আবাসিক হাফিজিয়া মাদ্রাসার সুপারের মারধরে আহত এক ছাত্রকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শস্যের চেয়ে টুপি বেশি; ধর্মের আগাছা বেশি- সৈয়দ ওয়ালি উল্লাহ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সার্বজনিন উক্তি করেছেন বটে। বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষায় বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন সকল মাদ্রাসার সাথেই এতিমখানা শব্দটি শোভা পায়।
প্রায় সব মাদ্রাসাতেই ২/৩/৪ রকমের রান্না হয় স্ট্যাটাস অনুযায়ী। এতিমদের ভাগ্যে জোটে নিরামিষ ঝুটা বাসি পরিত্যাক্ত খাবার। এতিমরাও প্রতিশোধ নেয়; সুবিধাফল ভোগ করে তবে শিক্ষা জীবন শেষে অধীনস্ত অন্য এতিমদের হক মেরে।
সমস্ত এতিমের নামে প্রাপ্ত ভিক্ষা বিত্ত বেশির ভাগ মাদ্রাসার হুজুরদের পোশাক আশাক ও রঙিন মোবাইলে চিক চিক করে। মানুষের দান বন্ধ হলে দেশের সব মাদ্রাসা অচল হয়ে যাবে অথচ এসব মাদ্রাসার অকৃতজ্ঞ বিশ্বাস ঘাতক কিছু ওলামা নামধারী ইদানিং তাদের রিযিকের উসিলা মানুষের উপর আপত্তিকর চাপ সৃষ্টি করছে।
আল্লামা শফি ৯৫ বর্ষীয় একজন বৃদ্ধ আলেম যিনি তার জীবনের শেষ প্রান্তে এসে উপনীত হয়েছেন ফলে বার্ধক্য জনিত বহু রুগে তিনি আক্রান্ত । আল্লামা শফি সাহেব ছাড়াও হেফাজতে ইসলামের আরও যেসব কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আছেন তাদের মধ্যে অনেকেই বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন এমতাবস্থায় তারাও বার্ধক্য জনিত অসুখ বিসুখ থেকে মুক্ত নন ।
মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) এর অবমাননা সহ্য করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইসলাম অবমাননার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, ইসলামের সেবা করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।