তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা মুক্তি না পেলে আলোচনার এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ নাও হতে পারে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “বিরোধী দলীয় নেতার অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করতে সাড়া দিয়েছেন। আমরা এজেন্ডাসহ আলোচনার আনুষ্ঠানিক চিঠি চেয়েছি। সৈয়দ আশাফুল ইসলাম সাহেব বলেছেন, ২/১ দিনের মধ্যে চিঠি পাঠাবেন।
তবে আলোচনার প্রস্তাবের পাশাপাশি সরকারের দিক থেকে এর জন্য ‘উপযুক্ত’ পরিবেশ সৃষ্টি করার ওপর জোর দেন তিনি।
শামসুজ্জামান বলেন, “আটক নেতাদের মধ্যে মাত্র দুয়েকজন মুক্তি পেয়েছেন। এখনো ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অধিকাংশ সিনিয়র নেতা জেলে আছেন। এটা আলোচনা কিংবা সংলাপের ওপর একরকম হুমকি বলে আমরা মনে করি। ’’
রাজধানীতে শনিবারের ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এ সংবাদ ব্রিফিং হয়।
শাপলা চত্বর ও নাইটিংগল মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য গত ২৮ এপ্রিল মহানগর পুলিশ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে দুপুর পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি বলে জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অভিযোগ করেন, “শেষের দিকে এসে সরকার তাল হারিয়ে ফেলেছে। পাহাড়প্রমাণ ব্যর্থতা ও দুর্নীতিতে সরকার নিমজ্জিত হয়ে আছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, পুঁজিবাজার ও পদ্মাসেতু প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষমতাসীনরা লুটপাট করেছে। গুলি করে তারা নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে।
”
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাকে বিনীতভাবে বলছি, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে আপনি নির্দলীয় সরকার পদ্ধতিকে শক্র মনে করছেন। নির্দলীয় সরকারের নাম নিয়ে আপত্তি থাকলে আপনি তাকে দল নিরপেক্ষ সরকার বলুন। তারপরও নির্বাচনকালীন সময়ে ওইরকম সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আনুন। ’’
এক সময় সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি হলেও সেই ব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ দেশে ‘অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন তিনি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “অবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, তাদের ওপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বিরোধী দলের ওপর সব বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করে নিন।
আলোচনার একটি পরিবেশ সৃষ্টি করুন। ”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মো. জসিম, খোরশেদ মিয়া, বেলাল আহমেদ ও আবেদ রাজা সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নয়া পল্টনে বিএনপির মহানগর কার্যালয়ে সমাবেশ সংক্রান্ত নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির এক বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।