আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পার্সি জ্যাকসন এন্ড দা সী অব মন্সটার্স-২

একবার তো লিখলাম । ২... রাক্ষসদের সাথে ডজবল খেলা... পার্সি জ্যাকসন এন্ড দা সী অব মন্সটার্স... দিনটা অন্যান্য দিনের মতই সাধারনভাবেই শুরু হল। প্রথম ক্লাসটা ছিল ইংরেজী। স্কুলে আমি কখনই ভালো ছাত্র ছিলাম না। আর সাথে প্রতি বছর তো স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ব্যাপারটা থাকেই।

ক্লাসে ম্যাট স্লোয়ান নামে এক ভাব মারা পোলা আছে। কুতকুতে চোখ, এলোমেলো চুল, গায়ে দামি পোশাক। বাপের টাকা আছে এইটা প্রকাশ করার যত উপায় আছে, তার সব সে অবলম্বন করে। কিন্তু ভাবটা এমন যেন বাপের সম্পত্তি নিয়ে কোন মাথাব্যাথাই নাই। আমার বন্ধু টাইসনের পেছনে সবসময় লেগে থাকে।

টাইসন মেরিউইদার কলেজের একমাত্র হোমলেস ছাত্র। অনেক ছোটবেলাতেই ওর মা-বাবা ওকে ছেড়ে চলে গেছে। যতদূর মনে হয় সেটার কারন, ও একটু অন্যরকম। লম্বায় দুই মিটার কিম্ভূতকিমাকার আমার এই বন্ধুটার চোখের রঙ বলতে পারব না, কারন যখনই ওর চেহারার দিকে তাকাতে যাই তখনই ওর বাঁকা দাঁত চোখে পড়ে আর চেহারা ভালো করে দেখার ইচ্ছাটা উবে যায়। গলার স্বর গভীর টাইপ কিন্তু কথাবার্তাগুলো হাস্যকর।

মনে হয় না এই স্কুলের আগে ও কখনও কোন স্কুলে গেছে। ওর জীর্ন জিন্স আর ফ্লানেলের শার্ট থেকে নিউইয়র্কের গলির গন্ধ আসে। কারন ও থাকেই বাহাত্তর নম্বর স্ট্রিটের একটা গলিতে। আমাদের স্কুল ওকে নিয়েছে কমিউনিটি প্রজেক্টের অংশ হিসেবে যাতে ওদের মত ছেলে-মেয়েদের সাথে অন্যান্যদের সম্পর্কটা একটু সহজ হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়েছে পুরা উল্টা, বেশীরভাগই টাইসনের আশেপাশে ভীড়তে চায় না।

উপরি পাওনা হিসেবে, যখন সবাই বুঝতে পারল টাইসন শক্তিশালী বিশালদেহী আলাভোলা টাইপের ছেলে তখন সবার কাছে ও একটা হাস্যকর প্রানীতে পরিণত হল। শেষমেষ স্কুলে আমিই ওর একমাত্র বন্ধু। আর আমারও একটাই বন্ধু এই স্কুলে। টাইসন। আমার মাও টাইসনকে পছন্দ করে।

মা স্কুলে কয়েকবার কমপ্লিন করেছে যে স্কুল তার জন্য যথেষ্ট করছে না। সোশ্যাল সার্ভিসের কাছে গেছে। কিন্তু সোশ্যাল সার্ভিসের লোকজনের ভাষ্য হল তারা বাহাত্তর নম্বর স্ট্রিটের সব গলি ঘুরেও টাইসনকে খুঁজে পায়নি। এতবড় একটা ছেলে কিভাবে ওদের চোখ এড়িয়ে গেল এটাই বিরাট রহস্য। আজও ম্যাট স্লোয়ান ওর পেছনে লেগেছে।

ও একটা ধাক্কা দিতেই স্লোয়ান উড়ে গিয়ে পড়ল পাঁচ ছয় মিটার দূরে। “শালার আজব চিড়িয়া। নিজের বস্তিতে গিয়ে মরতে পারিস না? এখানে সবাইকে জ্বালাচ্ছিস...” স্লোয়ান গর্জাতে শুরু করল। টাইসন ফোঁপাতে শুরু করেছে। দুহাতে মুখ ঢেকে রেখেছে।

“চুপ কর স্লোয়ান। ভালো হবে না। ” আমারও রাগ উঠল। “তোমার গায়ে এত লাগে কেন? ওই চিড়িয়াখানার প্রানীটার সাথে না ঘুরলে তোমার আরো দুয়েকটা বন্ধু তো অন্তত থাকতই। ” মুখ ভেংচে বলল স্লোয়ান।

প্রথম ক্লাস শেষ হল। টাইসনের কান্না থামানোর জন্য ওকে বাটার স্যান্ডউইচ খাওয়াব প্রমিজ করেছি। “আমি আজব চিড়িয়া?” অভিমানী গলায় বলল টাইসন। “স্লোয়ান নিজে একটা চিড়িয়া তো, তাই অন্যদেরও তাই মনে করে। ” ওকে হাসানোর জন্য বললাম।

তারপরের ক্লাস মিসেস টেসলার। সায়েন্স। তিনি বিভিন্ন কেমিক্যাল একটার সাথে আরেকটা মেশাতে বললেন, যতক্ষন পর্যন্ত না বিস্ফোরিত হয়। টাইসন আমার ল্যাব-পার্টনার। ওর হাত লেগে একটা কি যেন কেমিক্যাল দ্রবণে পড়ে কি থেকে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝলাম না।

হালকা বিস্ফোরণ হয়ে কমলা রঙের মেঘ তৈরী হল। মিসেস টেসলা আমাদের বাহবা দিলেন। আমরাও অম্লান বদনে বাহবা নিলাম। পরের ক্লাস সোশ্যাল স্টাডিজ। অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ আঁকতে আঁকতে কি মনে করে নোটবুকের ভেতর থেকে এনাবেথের ছবিটা বের করলাম।

ঈশ! এখন যদি এখানে থাকত! তাহলে স্বপ্নের ব্যাপারটা ওর সাথে শেয়ার করা যেত। ও কি করা উচিত ভালো বুঝত। ওকে কখনও বলি না, কিন্তু জানি ও আমার চেয়ে বেশী স্মার্ট। অবশ্য মাঝেমাঝে খুবই বিরক্তিকর প্রানি। আমি কেবলই নোটবুকটা বন্ধ করব।

তখনই কই থেকে যেন স্লোয়ান এসে টান দিয়ে ছবিটা বের করে নিল। “ও হো! জেকসন! এটা তোমার...”বেশ রসিয়ে রসিয়ে বলল ও। “ধ্যাত! এদিকে দাও। ” আমার কান গরম হতে শুরু করেছে। ততক্ষনে ও ছবিটা ওর বন্ধুদের হাতে দিয়ে দিয়েছে।

এই ছেলেগুলোকে নতুন দেখছি। সবার গলায় স্কুলের অফিস থেকে দেয়া ‘হাই! আমার নাম......’ ট্যাগ ঝুলছে। ছেলেগুলোর সেন্স অব হিউমার দেখেই আমার বিরক্ত লাগল। সবাই নামের জায়গায় ‘ম্যারো সাকার [marrow sucker], স্কাল ইটার[skull eater], জো বব[joe bob]’ এসব আলতু-ফালতু নাম লিখেছে। নতুন ছেলেগুলোর একজন ছবিটা মুখে নিয়ে চিবোতে শুরু করল।

আমার ইচ্ছা করল একটু উচিত শিক্ষা দিতে। কিন্তু কিরনের কড়া নিষেধ, কোনভাবেই আমার ক্ষমতা সাধারন মানুষের উপর প্রয়োগ করা যাবে না। ঘন্টা পড়ল। কিছু না বলে বের হয়ে আসলাম। হঠাত পেছন থেকে একটা মেয়ে কন্ঠের ডাক শুনে তাকিয়ে দেখি কেউ নাই।

জিম থেকে কয়েকজন এসে আমাকে আর টাইসনকে ডজবল খেলার জন্য নিয়ে গেল। * * * লকার রুমে গিয়ে তাড়াতাড়ি জিম ড্রেস পড়ে নিলাম। আমাদের স্কুলের জিম ড্রেস নীল সর্টস আর টি-সার্ট। আমি কেবল রুম থেকে বের হব এমন সময় টাইসন ডাকল। কেন ডাকল জানি।

ও চায় না ড্রেস চেঞ্জ করার সময় অন্য কেউ ওকে দেখুক। ওর গায়ে লোম একটু বেশী আর পিঠে অনেক দাগ। প্রতিদিনের মত দরজায় পাহাড়াদারের ভূমিকায় অবতীর্ন হলাম। জিমে ঢুকে দেখি, আমাদের কোচ নানলি তার ছোট্ট ডেস্কটাতে বসে একটা স্পোর্টস ম্যাগাজিন পড়ছে। ম্যাট স্লোয়ান বলল, “কোচ, আমি ক্যাপ্টেন হই?” নানলি ম্যাগাজিন থেকে চোখ তুলে বলল, “হুম...? হ্যা...।

” তারপর জনাব ম্যাট তার ভুমিকায় অবতীর্ন হলেন। আমি হলাম তার প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ক্যাপ্টেন। নতুন ষণ্ডা মার্কা ছেলেগুলো ম্যাটের দলে। আর বরাবরের মত ভালো ভালো প্লেয়াররাও সব জুটল ওর সাথে। আমার দলে ছিল টাইসন, বেইলার, রাজ ম্যান্ডালি সহ আরো কয়েকজন যারা ম্যাট আর তার দলবলের জ্বালায় বিরক্ত।

কিন্তু ডজবল ব্যাপারটা এদের কারো মধ্যেই নেই। তবে টাইসনকে নিয়ে আমি আশাবাদী। “কিরকম একটা গন্ধ!” টাইসন বলল। “কিসের কিরকম গন্ধ?” আমি বললাম। কারন বুঝতে পাছিলাম না ও কিসের কথা বলছে।

“স্লোয়ানের নতুন বন্ধুদের গা থেকে কিরকম একটা গন্ধ আসছে। ” বাঁশি বেজে উঠল। খেলা শুরু। স্লোয়ানের দল প্রথমেই বল নিয়ে সেন্টার লাইনের দিকে দৌড়াতে শুরু করেছে। এদিকে আমার দলের রাক ম্যান্ডালি তখনই ঊর্দুতে বলে উঠল, “বাথরুমে যাব।

” বলেই জিমের দরজার দিকে দৌড়াতে শুরু করল। বেইলারও ওর পথ অনুসরন করল। বাকিরা কমছে কম খেলায় ছিল। এই অনেক। দুয়েক জন প্রাণপণ খেলছি।

হঠাত টাইসন বলে উঠল, “পার্সি, নিচু হও। ” এমন সময় আমার কানের পাশ দিয়ে হুস শব্দ তুলে ডজবল চলে গেল। ওয়ালমেটে লাগল। “খেলতে এসেছ? নাকি মানুষ মারতে?” মেজাজ খারাপ হয়ে গেল আমার। জো বব নামের ছেলেটা শয়তানের মত করে তাকালো আমার দিকে।

এখন তাকে দেখতে কেন যেন অনেক বড় মনে হচ্ছিল। লম্বাও। টাইসনের চেয়েও লম্বা। ওর বাইসেপ পারলে টি-সার্ট ছিড়ে বের হয়ে আসে আসে ভাব। বলল, “মারতে, পারসিয়াস জেকসন।

মারতে। ” আমার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা শিরশিরানি স্রোত বয়ে গেল। যারা আমার আসল পরিচয় জানে না, তারা ছাড়া কেউ আমাকে পারসিয়াস বলে ডাকে না! টাইসন বলল, ওদের গা থেকে গন্ধ আসছে। রাক্ষস!!! নতুন ছেলেগুলো আর ছেলে নেই। সবাই আকার আয়তনে বাড়তে শুরু করেছে।

একেকজন কমছে কম আড়াই মিটার লম্বা। হিংস্র ভয়ঙ্কর চোখ। সারাগায়ে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সব ট্যাটু আঁকা। ম্যাট স্লোয়ান বলে উঠল, “হায় খোদা! এসব কি?” বাকিরা দরজার দিকে দৌড়াতে শুরু করেছে। ম্যারো সাকার নামের রাক্ষসটা হাতের বলটা এত সুন্দর করে ছুড়ল যে দরজায় লেগে দরজা বন্ধ হয়ে গেল।

“ওদের ছেড়ে দাও। ” আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে পড়ল। “না। সমুদ্র দেবতার ছেলে, না। আজ লেস্ট্রিগোনিয়ানরা শুধু তোমাকে মারতে আসেনি।

” জো বলল বলে উঠল। বলেই একটা ডজবল ছুড়ল। কিন্তু ওটা রাবারের বল না। ডজবল সাইজের ব্রোঞ্জের বল। গা দিয়ে আগুন বের হচ্ছে।

“কোচ!” আমি নানলিকে ডাকলাম। কোচ ঘুম জড়ানো চোখ তুললেন। তিনি যদি অস্বাভাবিক কিছু দেখতেন তাহলে অবশ্যই হাত পা গুটিয়ে খেলাটা চলতে দিতেন না। তাকে কেউ জাদু করেছে। তিনি হয়তো দেখেছেন ছেলেরা স্বাভাবিক ভাবেই খেলছে।

“তোমরা তো ভালো খেলছ! খেল। খেল। ” জড়ানো গলায় বলেই আবার ম্যাগাজিনের দিকে মনোযোগ দিলেন। বুঝলাম, আমরা যে সত্যি সত্যি কতগুলো মানুষখেকো রক্তপিপাসু রাক্ষসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, সেটা কেউ এখনও বুঝতেই পারেনি। স্কাল ইটার এবার তার বলটা ছুড়ল।

তাড়াতাড়ি করে সরে গেলাম। বল আমার কাঁধের পাশ দিয়ে বের হয়ে গেল। আমি সবাইকে আরেকটা দরজা দিয়ে বেরিয়ে যেতে বললাম। কিন্তু জো বব আরেকটা বল ছুড়ে সে রাস্তাও বন্ধ করে দিল। আমি আমার প্রিয় রিপ্টাইড বের করার জন্য পকেটে হাত দিলাম।

পকেটের জায়গাতে হাত যেতেই মনে পড়ল পকেটে রিপ্টাইড থাকা তো দূরের কথা, আমার তো পকেটই নেই। রিপ্টাইড এখন আমার লকারের ভেতর প্যান্টের পকেটে। আরেকটা বল আমার দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টাইসনের জন্য বেঁচে গেলাম। সাথে সাথেই আরো দুটো রাক্ষস আমার দিকে বল ছুড়ল একসাথে।

এবার আর সরে যেতে পারব না। কিন্তু হঠাত মাঝে এসে পড়ল টাইসন। সে জানিনা কিভাবে দুই হাত দিয়ে দুটো ধরে একই পথে ফেরত পাঠাল। যেই ছেলে দুনিয়ার সবকিছু দেখে ভয় পায় সেই ছেলে কিভাবে এই কাজটা করতে পারল ভেবে পেলাম না। অবশ্য ভাবার সময়ও পেলাম না।

দানব দুটোও এরকম আশা করে নি। বল গায়ে লাগতেই আগুনের একটা কলাম তৈরি হল। এই রাক্ষসেরা মরে না। ধুয়া আর ছাই হয়ে যায়। “আমার ভাই!” জো বব চিৎকার করে উঠল।

“এর মাশুল তোমাকে দিতে হবে!” আরেকটা আগুনের গোলা আমাদের দিকে আসল। টাইসন সেটা থেকেও বাঁচালো। এদিকে সারা ঘরে ছেলেরা চিৎকার, চেচামেচি শুরু করে দিয়েছে। কেউ দরজা ধাক্কাচ্ছে, কেউ জানালা দিয়ে লোকজনকে ডাকছে। কিন্তু কোচ নানলি তখনও ম্যাগাজিন পড়ছেন।

এবার চারজন একসাথে আগুনের গোলা ছুড়ল। বুঝলাম এবার আমরা শেষ। টাইসন একসাথে এত গুলো কোনভাবেই সামলাতে পারবে না। আমার মাথায় একটা উন্মাদীয় বুদ্ধি কিভাবে বা কেন খেলল জানি না। আমি লকার রুমের দরজার দিকে দৌড়াতে শুরু করলাম।

পেছনে বিস্ফোরণ হল। টাইসন দুটো ডজবল ধরে আরো দুইটাকে ছাইয়ে রুপান্তরিত করল। একটা গোলা গায়ে লাগার আগেই কোন রকমে নিজেকে সহ সবাইকে সরাতে পারলাম লকার রুমের দরজার সামনে থেকে। আগুনের বল লকার রুমের দরজা ছাতু করে লকার রুমে ঢুকে গেছে। বিরাট একটা বিস্ফোরণ হয়ে দুই রুমের মাঝের দেয়াল ধসে গেল।

সব লকার ভেঙ্গে লকারের জিনিসপত্র সারা জিমে ছড়িয়ে পড়ল। পেছনে ঘুরে দেখি টাইসন স্কাল ইটারের সৎকার করল। কেবল জো ববের দিকে যাবে তখনই রাক্ষসটা একটা বল ছুড়ে মারল ওর দিকে। “না!” আমার মুখ দিয়ে একটা চিৎকার বের হয়ে এল। বলটা ঠিক ওর বুকে লাগল।

টাইসন স্লাইড করে জিমের মাঝখানে গিয়ে পড়ল। আমি জানি না, এরপরও একটা মানুষ কিভাবে বেঁচে থাকতে পারে। ওকে দেখে মনে হল, ও নিজেও বিস্মিত। জো বব আরেকটা বল ওর দিকে এইম করল। “থামো।

তোমার শত্রুতা আমার সাথে ওর সাথে না। ” চিৎকার করে বললাম। “মানে ছোট্ট বীর, তোমারই আগে মরতে ইচ্ছা করছে?” গা জ্বালানো গলায় বলল বব। এখন কিছু করতে না পারলে, জীবনে আর কিছু করা হবে না। ঠিক সেই সময় আমার জিন্সটা আবিস্কার করলাম রাক্ষসটার পায়ের কাছে।

মানে আর কিছু করার নেই। জো বব আমার দিকে আরেকটা বল তাক করল। হঠাত তার এক্সপ্রেশান চেঞ্জ হয়ে গেল। হাত থেকে আগুনের বলটা পড়ে গেল। ওর পেটের মধ্যে দিয়ে একটা ছোরার মাথা বের হয়ে আছে।

একটা বিস্ফোরণ। ধোয়া কমতেই দেখি, ধোয়ার মধ্যে এনাবেথ দাঁড়ানো। ওকে দেখে স্লোয়ান বলল, “এটাই তো সেই মেয়ে...”। পুরো সময়টা সে জিমের মাঝখানে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল পাথরের মত। কথা শেষ হওয়ার আগেই এনাবেথ ওর নাকে একটা ঘুসি মেরে বলল, “পার্সির পেছনে লাগা না ????” “এনাবেথ...কিভাবে...কখন......” বিস্ময়ের ঘোর কাটার আগেই আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল।

“এত কিছু বলার সময় নাই। আমি শুধু...” ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই দরজা খুলে গেল। স্কুলের সবাই ভেতরে আসতে শুরু করল। “ওকে নিয়ে বাইরে আমার সাথে দেখা করো। ” টাইসনকে দেখিয়ে বলল।

“কি” “সময় কম। তাড়াতাড়ি করো। ” বলেই ও ওর মা এথেনার দেয়া বেসবল ক্যাপটা মাথায় দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। এরমধ্যেই পুলিশ-লোকজন এসে ঘর ভরে গেছে। মি বন্সাই আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “পার্সি, এসব কি...কিভাবে হল...” ম্যাট স্লোয়ান বলে উঠল, “সব পার্সির দোষ, মি বন্সাই।

ওই এসব করেছে। কোচ নানলি সব দেখেছেন। ” কোচ নানলি তখনও খুব দায়িত্ব নিয়ে ম্যাগাজিন পড়ছেন। নিজের নাম শুনে সামনের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হ্যা...?কি...?” সবাই আমার দিকে তাকালো। জানতাম, এখানে আমার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।

সত্যি কথা বললেও না। আমি জিন্সের পকেট থেকে রিপ্টাইডকে বের করে নিলাম। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই টাইসনকে নিয়ে দেয়ালের ফুটো দিয়ে লাফ দিলাম। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।