আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ্যান্ড্রয়েড চালিত Symphony W5: কমদামে সবচেয়ে ভালো স্মার্ট ফোন

আমার যুক্তিতে আমি চলি। কারো অন্ধ ভক্ত নই। রোজার ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে এক বন্ধুর কাছে Symphony W25 দেখে অ্যান্ড্রয়েড কেনার ইচ্ছাটা মাথা থেকে নামাতে পারছিলাম না। কিন্তু টাকা কই পাই? সাড়ে নয় হাজার টাকা দাম। এই ফাঁকে নেটে সময় পেলেই অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে পড়াশোনা করতে থাকি।

তো গত মাসের ২৮ তারিখ রাতে সদাশয় চোর মহাশয় আমার দিকে চোখ তুলে তাকালেন। আমার দুইটা মোবাইল সেটই তিনি দখল করে অ্যান্ড্রয়েড কেনার পথ বাতলে দিলেন। যদিও আমার প্ল্যান ছিল, ওই সেটদুটো বিক্রি করে এবং সাথে কিছু টাকা যোগ করে অ্যান্ড্রয়েড কিনবো। কিন্ত কি আর করা, সবই কপালের ফের... এক বন্ধুর কাছ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ হাজার টাকা ধার করে সেটটা কিনলাম। যাই হোক, সিম্ফনির ওয়েবসাইট থেকে পাঁচটা স্মার্টফোনের কনফিগারেশন ঘেঁটে মনে হলো, আমার যা বাজেট তাতে Xplorer W5 টাই ভালো হবে।

কিনে ঠকি নাই এখন পর্যন্ত, দেখা যাক সামনে কি হয় (এক সপ্তাহও হয় নাই)। কেনার আগে Symphony Xplorer W5 কে যেসব কারণে প্রাধান্য দিয়েছি- • এটার প্রসেসর ১ গিগাহার্টজ, যেখানে W10, W25 এবং W50 এর মাত্র ৮০০ মেগাহার্টজ। প্রসেসররের স্পিড খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা কম হলে অনেক অ্যাপ্লিকেশন হ্যাঙ হয়ে যায়। আমার ওই বন্ধুর W25 মাঝেমধ্যেই হ্যাঙ হয়ে যায়।

• রম (ইন্টারনাল মেমোরি) ১৪০ মেগাবাইট, যেখানে W10, W25 এবং W50 এর ১৮০ মেগাবাইট (খুব বেশি পার্থক্য নাই)। এটা কোন সমস্যা না, কারণ এক্সটার্নাল মেমরি ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত সাপোর্ট করে। • W5, W10,এবং W50- এই সবগুলো সেটের র‍্যাম একই- ২৫৬ মেগাবাইট। অবশ্য W25 এর র‍্যাম ৫১২ মেগাবাইট, তবে এটার প্রসেসর কম- ৮০০ মেগাহার্টজ। অনেককে দেখেছি অ্যান্ড্রয়েডে বাংলা পড়তে ও লিখতে সমস্যায় পড়েছেন।

সিম্ফনিতে বাংলা লেখা একেবারেই ঝরঝরে। ফায়ারফক্সে সোলাইমানলিপিতে যেভাবে বাংলা পড়া যায়, হুবুহু সেই রকম। ল্যাংগুয়েজ অপশন থেকে ‘বাংলা’ সেট করে নিলে টাইপ করতে একটা ডিফল্ট বাংলা কী বোর্ডও পাওয়া যায়!! (যদিও আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি) যারা এই সেটটা কিনতে চান তাদের জন্য একটা পরামর্শ: Symphony Xplorer W5 এর নির্ধারিত মূল্য হচ্ছে ৬৯৯০ টাকা, সাথে ৪ গিগাবাইট মেমরি কার্ড ফ্রি। কিন্তু যদি একই দামে ৮ গিগাবাইট মেমরিসহ কিনতে পারেন তাহলে তো কোনো লস নাই, নাকি? আমি আগেই খোঁজ-খবর নিয়ে জেনেছিলাম, ৪ গিগা আর ৮ গিগার মধ্যে দামে তেমন কোন পার্থক্য নাই। দোকানদারকে বললাম, যেহেতু একই দাম আমারে ৪ গিগা পাল্টে ৮ গিগা মেমরিকার্ড দেন।

প্রথমে সে একটু গাইগুই করলো। কিন্তু আমার সবজান্তা মার্ক চেহারার দিকে তাকিয়ে অবশেষে দিয়ে দিলো। আমার কাছে দাম রেখেছে ৭ হাজার টাকা, মাত্র ১০ টাকা বেশি.. ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.