স্বাগতম আমার নষ্ট করা কাগজের ভীড়ে । ভনিতা করব না । লেট মি বি স্ট্রেইট । খুব শীঘ্রই মুসলিম জাহানের মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাড়াবে কতিপয় স্বঘোষিত মুমিনের আহাম্মকি এবং কর্তাব্যাক্তিদে র চামচামি । ইসলামের ওপর আঘাতটা কিন্তু নতুন নয় ।
বিধর্মীদের অনেক পুরনো ঐতিহ্য আছে ইসলামকে আঘাত হানার এবং বর্তমানেও
তারা এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে । কেবল পার্থক্য হচ্ছে ,এই আক্রমনের স্বরুপটা ভিন্ন । তলোয়ার যুগে খুব ভালোভাবে মার খেয়ে পরিবর্তন করতে হয়েছে টেকনিকে । এখন অস্ত্রের আঘাত
প্রায়োরিটি পায় পরে কারন বিধর্মীরা জানে মানসিক আঘাত যদিও শারিরীক আঘাতের মত দেখা যায় না তবে এর ক্ষত কয়েকগুন গভীর । আর তাই
মিডিয়া ,কুটনিতী ইত্যাদি ইত্যাদি উপায়ে একের পর এক আঘাত আসছেই ইসলামের বিরুদ্ধে ।
সর্বশেষটা দেখা গেল ইনোসেন্স অফ ইসলাম এবং ফেইসবুক ও পত্রিকাতে বিতর্কিত কিছু কার্টুনের
মাঝে দিয়ে ।
যা ঘটেছে তা অতি সাধারন বিষয় । এমনটা আগেও ঘটেছে ,আগেও প্রতিবাদ হয়েছে । কিন্তু এবার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মুসলিমরা যা করল তা ছিল সম্পূর্নরুপে আত্মঘাতি । স্বাভাবিকভাবেই ইনোসেন্স অফ ইসলাম তৈরি সমালোচিত হয়েছে এমনকি পাদ্রীদের কাছেও কাজটি অনুচিত বলে বিবেচিত হয়েছে ।
কিন্তু পাশাপাশি সমালোচিত হয়েছে মুসলিমদের দূত হত্যা এবং ভাংচুর অগ্নিসংযোগের মত কাজগুলো । মুসলমানরা যখন এ কাজটা করল তখন বিধর্মীদের কাছে একটা সুযোগ তৈরি হল ইসলাম এবং মুসলিমদের সমালোচনা করার । এক কথায় ইনোসেন্স অফ ইসলামকে সফলতার পথ দেখালাম আমরাই পাশাপাশি ব্যার্থ হলাম বিশ্ববাসীর নজরটা কেবল মুভিটির দৃষ্টতার উপর ধরে রাখতে । এটা ছিল আমাদের বুদ্ধিভিত্তিক ব্যার্থতার পরিচয় ।
আমাদের তথা মুসলমানদের বোকামীর আরেকটা উদাহারন দেখা গেল রামুতে বৌদ্ধপল্লিতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় ।
ইমন বড়ুয়া (নামটা সিউর না) নামের এক বৌদ্ধ যুবকের ফেইসবুকে একটা অবমাননাকর পোস্টের প্রতিবাদে বৌদ্ধপল্লিতে এ তান্ডব চালায় তথাকথিত মুমিনরা । কিন্তু তাতে প্রকৃত ঘটনাটাই আড়ালে চলে গেল । ভার্চুয়াল এবং বর্হিবিশ্বের সামনে উঠে আসল সাম্প্রদায়িক দাংগা এবং সংখ্যালঘু আক্রমনের মত স্পর্শকাতর বিষয় । অবাক হয়ে দেখলাম যে কেউই এখন আর ঐ বিতর্কিত পোস্টের বিরুদ্ধে বলছেনা । বরং এখন সবার মুখে কেবল মুসলিম নামধারীদের সমালোচনা ।
প্রতিবাদ করতে গিয়ে এখন আমরাই ক্রিমিনালের
কাতারে পড়ে গেলাম ।
মুমিনদের এই কাজগুলো এখন নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের নতুন করে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার পথ খুলে দিয়েছে । আমাদের মূর্খতার কারনেই এখন আমরা প্রতিবাদের কাতার থেকে সরে প্রতিবাদের পাত্রে পরিনত করেছে । আমি এখানে প্রতিবাদ না করার কথা বলছি না ,বলছি প্রতিবাদ করারও একটা তরিকা আছে । আমরা যা করলাম তাতে ইসলামেরই অনেক ক্ষতি হল ।
আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন ,আমীন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।