আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিছক দুর্ঘটনা ! এবং আমাদের কিছু আল্টিমেটাম

নিজেকে জানার চেষ্টা চলছে । কখনো জানতে পারলে বলবো । সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফাটল ধরা বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়েছে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে। আমাদের সময়ে ঘটা আরেকটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এটি। ফায়ার সার্ভিস, র‍্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যোগ দিয়েছে উদ্ধারকাজে।

এখনো পর্যন্ত মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে ২৮ টি এবং আহত উদ্ধার হয়েছে শতাধিক (সুত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি)। ধ্বসে যাওয়া ভবনের চারটি তলায় চারটি গার্মেন্টস ছিল। জানামতে আজ সেখানে দেড় হাজারের মত পোশাক শ্রমিক কাজ করছিল। আশঙ্কার কথা, মৃতের সংখ্যা হয়তো আরও অনেক বাড়তে পারে। এতো গেল দুর্ঘটনা।

একটি মর্মান্তিক ফ্যাক্ট। এবার আসুন জেনে নিই আরও কিছু ফ্যাক্ট, যা হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করা হবে পুরোদমে। ভবনটিতে ফাটল দেখা দেয় গতকাল মঙ্গলবার। স্থানীও প্রকৌশলীরা ভবনটিকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করার পর সাভার পৌরসভার পক্ষ থেকে ভবনটি সিল/বন্ধ করে দেয়া হয়। সেসময় সাংবাদিকেরা ভবনটিতে প্রবেশ করতে চাইলেও ভবনটির মালিক পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক মো. সোহেল রানা তাতে সম্মতি দেননি।

তিনি নাকি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, "সামান্য একটু প্লাস্টার খুলে পড়েছে। এটা তেমন কিছু নয়। " এখন প্রশ্ন হল, ১। ভবনটি ব্যাবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা দেবার পর আজ কিভাবে ভবনটিতে দেড় হাজারের মত শ্রমিক প্রবেশ করল? ২। আজ কেন গার্মেন্টস খোলা রাখা হল? ৩।

ভবনের মালিক কেন এতো বড় একটা আশঙ্কার পরও ভবনটি খোলা রাখল? ৪। কেন বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের মতামত ছাড়াই সে বলল, "সামান্য একটু প্লাস্টার খুলে পড়েছে। এটা তেমন কিছু নয়। "? ৫। কেন এতগুলো মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরও সরকার আমাদের দেশের উদ্ধার তৎপরতা আধুনিক করছে না? ৬।

আমাদের দেশে ভবন ধ্বসের হার এতো উচ্চ হবার পরও কেন উদ্ধারকর্মীদের এখনো মান্ধাতার আমলের সরঞ্জাম ব্যাবহার করতে হয়? ৭। কেন বিরোধীদল এতো বড় একটা দুর্ঘটনার পরও সাভারে হরতাল 'শিথিল' করেছে? তাদের কি আর কিছু করার ছিলনা? এই প্রশ্নগুলোর সন্তোষজনক উত্তর আমাদের দিতে হবে। আমাদেরকে যা তা বলে বুঝানো যাবে না। আমরা আমাদের অধিকারের প্রশ্নে কোন আপোষ করবোনা। এটা আমাদের আকুতি না, এটা আমাদের হুঁশিয়ারি।

জনগণের আল্টিমেটাম। চলুন, আরও যারা যারা ভবনটিতে আটকে আছে, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, মৃত্যুভয়ে আতঙ্কিত সময় কাটাচ্ছে, তাঁদেরকে নিজের আপনজন হিসেবে মনে করে একটু প্রার্থনা করি। আর আমাদের এই আল্টিমেটাম পৌঁছে দিন প্রতিটি নাগরিকের ঘরে ঘরে। আমরা আর কোন ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা দেখতে চাইনা, শুনতে চাইনা আর কোন আহাজারি। Wahid Himel  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।