(ফুটপাতও রক্ষা পায়নি তাদের হাত থেকে)
(উপরের ছবিগুলো বাংলামোটর থেকে নিউ ইস্কাটন থেকে গতকালের তোলা)
যারা মগবাজার থেকে বাংলামটার রিকশা নিয়ে গেছেন তারাই হয়তো এ সমস্যায় পড়েছেন। সমস্যাটা হলো ডান্ডাওয়াল এক ব্যাক্তি আধপথে রিকশা থামাতে বলবে। আপনিও সুবোধ বালকের মতো সুরসুর করে টাকাটা বের করে রিকশাওয়ালাকে দিয়ে পাকিং গাড়ীর জ্যাম ঠেলে বাংলামটর মোড়ে যাবেন।
আমি এ সমস্যাটা গত তিন বছর মগবাজার থাকাকালীন ভুগেছি। প্রায় প্রতিদিনই অফিস শেষে শাহবাগ মোড় আর ছবির হাটে আড্ডার উদ্দেশে যাওয়ার পথে এ বিরম্বনা পোহাতে হতো।
বাংলামটর থেকে নিউ ইস্কাটন পর্যন্ত রাস্তার পাশে সারি সারি করে দাড়িয়ে আছে গাড়ি মেরামতে উদ্দেশে আসা গাড়িগুলো। মটর পার্টসের দোকানগুলো জমজমাট ব্যবস্যা রাস্তায় জ্যাম রেখে। রিকশা, বাসগুলো এ রাস্তা পাড় হতে হিমশিম খাচ্ছে।
ছুটির দিনেই কি অবস্থা বুঝুন
এলাকার বাসিন্দারা জিম্মি মটর পার্টস ব্যবসায়িদের কাছে। ফুটপাথও রক্ষা পায়নি তাদের হাত থেকে, ফুটপাতে লোহা গরম চলছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গাড়ি মেরামত করার যন্ত্রপাতি।
যেন দেখার কেউ নেই।
এখানকার অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে, বলার কেউ নেই। বরং বলতে গেলে ব্যাবসায়ি আর মটর মিস্ত্রিদের চোখ রাঙ্গানি খেতে হবে আর কি!
( ডান্ডাওয়ালা যাকে দেখছেন তিনি আর কেউ নন মটর পার্টস সমিতির নিয়োগপ্রাপ্ত, রিকশাওয়ালাদের ডান্ডা মারাই যার কাজ। বিগত বছরগুলো আমি তাকে সরকারী লোক বলেই জানতাম তাই কানের নিচে দেইনি)
অ:ট: অনিয়মই যেখানে নিয়ম শিরোনামে সবেমাত্র আজকেরটা নিয়ে ৬টি পোষ্ট দিতে যাচ্ছি, শেষবার দিয়েছিলাম গত আগষ্টে নিয়মিত দিলে হাজার ছাড়াতো। আমাদের দেশে এত এত সমস্যা আর অনিয়ম, মনে হচ্ছে এটাই নিয়ম।
জানিনা এমন অনিয়মের বেড়াজাল থেকে কবে মুক্তি পাবো? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।