ফলে এবারের নির্বাচন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের ৫৬ বছরের শাসনামলের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এপ্রিলের ২৮ থেকে মে মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত ১৬শ’ ভোটারের মতামতের ভিত্তিতে মার্দেকা সংস্থার চালানো জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৪২ শতাংশ ভোটার মনে করছে সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোটকে সরকার গঠনের একটি সুযোগ দেয়া উচিৎ।
বিপরীত দিকে ৪১ শতাংশ ভোটার মনে করে শুধুমাত্র নাজিব রাজাকের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বার্সিয়ান ন্যাশনাল (বিএন) জোটকেই দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সরকার গঠনে সুযোগ দেয়া দরকার।
জরিপে অংশ নেয়া ১৭ শতাংশ ভোটার নিশ্চিত নন বা এ প্রসঙ্গে উত্তর দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
একই জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৫০ শতাংশ ভোটার ক্ষমতাসীন বিএন জোটের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
বিপরীত দিকে ৩৪ শতাংশ ভোটার বিরোধীদলীয় জোটের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন।
তবে জরিপে বিএন’র শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত মালয়েশিয়ার বর্নেও দ্বীপ প্রদেশের সাবাহ এবং সারাওয়াক অঞ্চলকে রাখা হয়নি।
মার্দেকার জরিপে দেখা যাচ্ছে মার্চে যেখানে নাজিব রাজাকের ৬৪ শতাংশ জনসমর্থন ছিল সেখানে এটি বর্তমানে ৬১ শতাংশে নেমে এসেছে।
তবে সব ধরনের নির্বাচনী মতামত জরিপে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট স্বল্প ব্যবধানে জয়ী হবে।
২০০৮ সালে ক্ষমতাসীন দল প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টের দুইতৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।
নাজিব রাজাকের ওপর দুইতৃতীয়াংশ আসন পুনরুদ্ধারের বিশাল চাপ রয়েছে।
রাজাককে সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন আত্মবিশ্বাসী বিরোধীপক্ষকে মোকাবিলা করেই নির্বাচনী তরণী পার হতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।