আজ সিলেটে শিবগঞ্জ পয়েন্ট নাজমুল টেলিকম নামে একটি বিকাশের এজেন্টের কাছে গেলাম। যারা ওদিকে থাকেন চিনবেন শিবগঞ্জ পয়েন্ট যে ব্রাক বাঙ্ক এর বুথ টা আছে। তার পাশেই দোকান টা।
গিয়ে বললাম বিকাশ একাউন্ট খুলব।
বলল ছবি লাগবে আর ভোটার আইডি কার্ড।
বের করলাম । আমায় ফরম দিল। আমি লিখতে যাব।
বলল রেজিষ্টেশন করতে আপনাকে ৩০ টাকা দিতে হবে। সার্ভিস চার্জ় হিসাবে।
বললাম কিন্তু রেজিষ্টেশন তো ফ্রী।
বলল করলে আপনাকে ৩০ টাকা দিতে হবে।
বললাম আপনি তাহলে সার্ভিস চার্জ় এর রিসিট দিবেন। বলল রিসিট দিতে পারবনা।
আমি বললাম আপনি কিসের সার্ভিস চার্জ দাবী করছেন।
পূরণ করব আমি ফরম দিল ব্রাক বাঙ্ক আপনি কি সার্ভিস দিলেন? আপনি আবার তাদের এজেন্ট হইছেন। দোকানের সামনে আবার বিকাশের লেবেল লাগাইছেন মানুষের কাছ থেকে এভাবে টাকা খাওয়ার লাইগা?
বলল করলে করেন না করলে নাই। ৩০ টাকা না দিলে করতে দিমু না।
বললাম আপনার নামে যদি কম্পেলেন করি।
বলে করেন গিয়া ।
করলে আমার কিছুই হবে না। ভাব দেখে মনে হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাঙ্কই ওদের বলে দিয়েছে ৩০ টাকা নেয়ার জন্য। মেজাজটাই খারাপ হল। করলাম না একাউন্ট। চলে আসলাম।
সমস্যাটা ৩০ টাকা্র না। সমস্যাটা হল,আমি কেন শুধু শুধু তাকে টাকা দিবো যেখানে ব্র্যাক ব্যাঙ্কই বলছে রেজিষ্টেশন ফ্রী। তাহলে তাদের এজেন্টরা কিভাবে অতিরিক্ত চার্জ দাবী করে। আমি এখন টাকাটা দিলে সেটা হবে অন্যায় কে প্রশয় দে্যা। এটা অবশ্যই ব্র্যাক ব্যাঙ্ক এর ব্যর্থতা ।
তারা সুযোগ দিছে বলেই তাদের এজেন্টরা জনগন কে ইছামত ব্যবহার করছে। এই ধরনের পাবলিক কে তারা এজেন্ট বানালো কেন?কোন ঘোষনা ছাড়াই তারা অতিরিক্ত চার্জ কোন সাহসে দাবি করলো। কোথা থেকে এই সাহস পেল?এর দায়ভার আর জনগনের ভোগান্তি দুটোই ব্র্যাক ব্যাঙ্ক কে নিতে হবে।
ব্র্যাক ব্যাঙ্ক এর কেউ থাকলে ব্যবস্থা নিয়েন। না হলে আমার মত আরো অভিযোগ এর সংখ্যা বাড়বে।
আর মানুষের হক মেরে কেউ কোনদিন বড় হয় না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।