সাভারে রানা প্লাজা ধসের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি বিদেশি তৈরি পোশাকপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকেই শাস্তি দেবে, দুর্নীতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের নয়।
বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়া চ্যাপ্টার এমনটিই মনে করে। ঢাকা, নমপেন ও জাকার্তা থেকে আজ মঙ্গলবার একযোগে প্রকাশিত অধ্যায়গুলোর এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে টিআইবি গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশটির সরকার ও স্থানীয় গ্রুপগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করতে বিশ্বের পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শ্রমিক-অধিকার ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হওয়ার অভিযোগে পোশাক রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা প্রকারান্তরে কর্মীদেরই বিশেষ করে নারী কর্মীদের শাস্তি প্রদানের নামান্তর হবে। আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর উচিত হবে এ ধরনের ক্ষতির বিকল্প হিসেবে পোশাক শিল্পকারখানাগুলোতে আইনগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করা।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘সাভার ট্র্যাজেডির ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা এবং বিনিয়োগে ভীতি সঞ্চারিত করা নয়, বরং দায়িত্বশীলতা ও সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়টিই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
বিবৃতিতে জনগণ ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং এর মধ্য দিয়ে কর্মীদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে টিআইয়ের এই তিনটি চ্যাপ্টার।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।