জেজু দ্বীপ বা জেজু-ডো দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ দ্বীপ এবং ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ। ২০০৭ সালে ইউনেস্কো জেজু দ্বীপকে বিশ্বের আদি নিদর্শন স্তানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বহু সংখ্যক দ্বীপ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে জেজু দ্বীপ অবস্থিত।
পশ্চিম থেকে পূর্বে এটির দৈর্ঘ্য ৭৩ কিলোমিটার এবং উত্তর তেকে দক্ষিণে দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। এর আয়তন ১৮৪৬ বর্গ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১ হাজার ৯৫০ মিটার। জেজু দ্বীপটি গঠিত হয়েছে ৩৬০টি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির সমন্বয়ে। ভূতত্ত্ববিদ জি.সি. রবার্টের ভাষ্য অনুযায়ী প্রায় ২০ লাখ বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি।
জেজু দ্বীপটিকে দূর থেকে দেখতে অতি চমৎকার। সুপ্ত আগ্নেয়গিরির সমন্বয়ে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি, যে কারণে ১৯১০ সালে জেজু দ্বীপকে ডাকা হতো জি.জি ক্যাডা নামে। স্থানীয় জনগণের ভাষ্য মতে, জি.জি ক্যাডা মানে আগ্নেয়গিরি। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্যাডার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় জেজু দ্বীপ। কখন কখন এটিকে সামাদো দ্বীপ বলেও অভিহিত করা হয়।
জেজু দ্বীপের নাম পরিবর্তন হলেও এর আয়তন পরিমাপ করতে আরও অনেক বছর সময় লেগে যায়। ১৯৫৫ সালের দিকে জেজু দ্বীপটির আয়তন পরিমাপ করা হয়। সমুদ্রের কূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থান হওয়ায় সহজে জেজু দ্বীপে যাওয়া যায় না। জাহাজ কিংবা বড় কোনো নৌযান নিয়ে জেজু দ্বীপে যেতে হয়। জেজু দ্বীপে কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে।
দ্বীপ ছাড়াও রয়েছে এক বা একাধিক পাহাড়। জেজু দ্বীপে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ পাহাড় হ্যালোসান দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ বিন্দু। জেজু দ্বীপে রয়েছে দুর্লভ প্রজাতির ডাইসন, বিরল প্রজাতির সাপ ও হনুমান।
(সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।