আকারে কিংবা আলোর ধরনে—যা-ই বলা হোক না কেন, বছরের পর বছর ধরে বৈদ্যুতিক বাতি কমবেশি অপরিবর্তিত হয়েছে। এবার অস্ট্রেলিয়ার একদল তরুণ উদ্ভাবক ভিন্ন ধরনের একটি বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করেছেন। তাঁদের দাবি, এটি বিশ্বের সবচেয়ে ‘স্মার্ট’ বৈদ্যুতিক বাতি, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিসকো বাল্ব’।
উদ্ভাবকেরা বলছেন, প্রয়োজনে এ বাতির আলো উজ্জ্বল থেকে অনুজ্জ্বল করা যাবে, পাল্টানো যাবে রং। আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ-চালু করার ব্যবস্থাও থাকবে।
সব মিলিয়ে ইচ্ছা করলেই কেউ এ বাতি ব্যবহার করে একটি আবেগঘন পরিবেশও সৃষ্টি করতে পারেন।
আবার একটি মুঠোফোনের মাধ্যমে এ বৈদ্যুতিক বাতি পুরোপুরিভাবে পরিচালনা করা যাবে। প্রথাগত বাতির স্থলেই এটি সংযোজন করা যাবে। পরিচালনার জন্য ব্যবহূত মুঠোফোনটি হারিয়ে গেলেও সমস্যা নেই। সে ক্ষেত্রে এটা প্রচলিত বাতির মতোই কাজ করবে।
এত সব সুবিধাসম্পন্ন বাতিটির দাম পড়বে ৪২ পাউন্ড। মেয়াদ থাকবে ২৫ বছর। বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী সাধারণ একটি বাতি দুই পাউন্ডেও পাওয়া যায়, যা স্বাভাবিকভাবে ১০ বছর টিকে থাকে।
তবে দাম চড়া হওয়া সত্ত্বেও তরুণ উদ্ভাবকদের এ প্রকল্প ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। উদ্ভাবকের দল প্রকল্পটি তাদের ওয়েবসাইট কিকস্ট্রাটারে চালু করার পর থেকে এ পর্যন্ত তহবিল সংগ্রহ করেছে সাত লাখ ৪০ হাজার ৫২০ পাউন্ড।
অথচ তাদের মোট তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৬১ হাজার পাউন্ড!
প্রকল্পের উদ্যোক্তা ফিল বোসুয়া জানান, প্রচলিত বাতির জন্য প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ লাগে। আবার বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী বাতি শুধু শীতল সাদা আলো দেয়, যা সবার একই রকম পছন্দ নয়। তিনি বলেন, ‘ছয় মাস ধরে এক ডজনের বেশি নমুনা বাতি তৈরি করার পর আমরা শেষ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী বাতি তৈরি করতে পেরেছি। ’ দ্য টেলিগ্রাফ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।