অন্ধদের রাজ্যতে এক চোখা মানুষটি রাজা এবং আমি সেই রাজা। অদ্ভুত এই সমাজের, অদ্ভুত এক সময়ে আমার এবং আমাদের বসবাস। ধর্ম-কর্ম থেকে অনেক দূরে এই নিভ্রিত পল্লীতে ধর্মের নামে হয় অপধর্মের চর্চা। মুক্ত চিন্তা তো দূরে থাক, নিজের সক্রিয়তা নিয়ে বেঁচে থাকাটা যে বড়ই কষ্টজনক।
সব কিছুই বিকৃত হচ্ছে, পাল্টে গেছে অনেক কিছুরই মানে............ ধর্ম...... ভালবাসা...... বিশ্বাস...... সবই...।
আমি তো শুধুই স্বপ্ন দেখি.........
ধর্মের কথা আমরা সব সময়ই বলি... ধর্মের কোন কথাটা আমরা কে কতটা মানী?
মুখে পবিত্র ধর্মের নাম আর অন্তরে সবাই করে শয়তানের অপবিত্র সংবিধানের উপাসনা।
আমরা কে কতটা “আত্মশুদ্ধি” এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা কিংবা আলাপআলোচনা করি? কিন্তু আমরা সবাই দেশ, দেশের ব্যাবস্তা বদলানর কথা হরহামেশাই বলি কিংবা ধর্মীয় গণঅভ্যুথান এর কথা।
নিজের ঈমান পাকা না হলে আর ধর্মকে সঠিকরূপে পরিপূর্ণ না জানলে স্বয়ং আল্লাহ্ও কারো সংগ্রাম কিংবা জ্বিহাদ এর পাশে এসে দাঁড়াবেনা।
আমার মতো কিছু মানুষ এই অসুস্থ সমাজের, অসুস্থ নিয়মের চিপায় পরে হারিয়ে ফেলে বেঁচে থাকার নুন্নতম ইচ্ছা শক্তিটুকু।
মনে হয় কে যেন সব সময় আমার গলাটা টিপে ধরে আছে......
আমি মানুষটা মনে হয় অড ... আর আমার মতো কিছু অড মানুষেরাই হয়তো আমার এই লেখা পড়বেন ......
আমি জানি আমি অড তাইতো ...এই সমাজ...এই পরিবারের সাথে আজও ম্যাচ করাতে পারলামনা...... নিজের কথা যে আপন মানুষই বুঝলনা... আপন মানুষই যে সম্মান করলনা...!
আক্ষেপের সুরে নয়... সব কিছু সহ্য হয়ে গেছে অন্য সব কিছুর মতনই...
কি অদ্ভুত !!! আমি আর আগের মতো এক জিনিস দিন-রাত্রি একাকার করে ভাবিনা।
বাড়িতে থাকলে এক রকম চিন্তাভাবনা আর বাড়ি থেকে পা বের করলেই অন্য রকম এক মানুষ আমি, আমি MAY BE USE TO হয়ে গেছি আমার পরিবারের সাথে। তবে আমি তো আগে এরকম ছিলামনা হঠাৎ এরকম পরিবর্তনের পিছনে কারণ টা কি? (বড় হচ্ছি না আমি, বাস্তবতা এখন একা একা মোকাবেলা করি)
চারদিক কালো, গাঁড় কালো অন্ধকার...
আমরা অসহায়, পথভ্রষ্ট হবার আশঙ্কা...
একমাত্র রক্ষাকারী প্রভু তুমি...
রক্ষা করো আমাদের তুমি...
অপেক্ষাই আছি ... কখন জ্বলে উঠবে তোমার বাতি ঘর... দেখাবে পথ আমাদের।
তবে আমি আবারও বেঁচে উঠার চেষ্টা করছি...
কারো নিরব প্রস্থান ভিজিয়ে দেয় আমার চোখ দু’টি...
নিরবে নিভৃতে আছি আমি, যেন শ্যাত-শ্যাতে মাটিতে মৃত প্রায় একটি গাছ,
অপেক্ষাই আছি...কখন ফুটবে আলো আকাশে...কখন আবারও ডালপালা ছড়িয়ে বড় হতে পারব কিন্তু ভেঙ্গে পরবনা ঝড় আসলে আগের মতো।
ছোট থেকে বড় হয়েছি তিনটি ঘরের বাড়ি আর তিনটি মানুষের সাথে। ভালবাসা আর মজা এই দুটা জিনিষের বড়ই অভাব আমার ভিতরে।
বলতে পার “আমি চিরকাল প্রেমেরই কাঙ্গাল। “
ঞ্জান হবার পর থেকে দেখে আসতেছি আমার মা আসুস্থ... এক এর পর এক অসুখ...
আমার বাবা হলেন অন্যের ভুল ধরাতে পারদর্শী আর উপদেশ দেওয়াতে।
এখানে অনুপ্রেরনা দাওয়ার কেউ নেই বরণ অপমান করে বেশি।
এখানে অনপ্রেরনা মানে আমি নিজে আর তোমার ভালবাসা।
তবুও আমি জানি না কেন তাদের অনেক ভালবাসি যদিও আমার কথার তেমন কোন মূল্য নেই এই বাড়িতে।
মাঝে মাঝে মনে হয় কোনও এক উদবাস্তু শিবিরে আছি।
।
আহঃ আজ রাতে বৃষ্টি হচ্ছে... টিনের চালের উপর বৃষ্টির রিমিঝিমি শব্দ আমাকে আজও করে পাগল। কিন্তু কিছু বৎসর আগেও আমি ছিলাম ঢাকা পাগল, কৃত্রিম আধুনিকতার পাগল...এখন এসব যে বড়ই বেমানান লাগে...ভাল লাগেনা বিরক্ত লাগে... হন্নে হয়ে ছুটছে সবাই টাকার পেছন পেছন... ঢাকার পানি পর্যন্ত কৃত্রিম তবে শহরটাতে এমন একটা জিনিষ আছে যা আমি দিনাজপুরে পাই না... প্রতিটি মানুষের চোখে চোখে স্বপ্ন... বেঁচে থাকার স্বপ্ন... বাংলাদেশে ৬৩ টা জেলা থেকে মানুষ আসে এখানে অন্যকে Challenge দিয়ে বেঁচে থাকার এবং বড় হবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য... মানুষের চোখে যখন দেখি স্বপ্ন পূরণের এত বড় দুঃসাহস তখন আমিও জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়েও হার মানতে পারি না। আবারও মাথা উঁচু করার দুঃসাহস আমার মনে জেগে উঠে... তখন আমিও আবারও স্বপ্ন পূরণের সেই দুঃসাহস পাই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।