ঠিক কতটা ছোট আমরা-এতটা নিচ আমাদের মানষিকতা! অন্যের সাথে নিজেরা হারতে পারি ঠিক আছে।
কিন্তু জিততেও পারি- এটা যেন বিশ্বাসই করতে চাই না। তাহলে জয়টা আসবে
কোত্থেকে বুঝি না?
যদি যুদ্ধ শুরুর আগেই হারার মানষিকতা নিয়ে বসে থাকি তাহলে জয় করার স্বপ্ন দেখার দরকারটা কি? এত টাকা পয়সা নষ্ট করার মানে কি। হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকলেই পারি।
যারা পাকিস্তান সমর্থক আজ তাদের এ ব্যাপারটা বোঝানোই গেল না -
টি-টুয়োন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান খেলছে।
এখানে আসলে
খেলছে বাংলাদশও। পাকিস্তান হারলে বাংলাদেশের চান্স থাকে আর জিতলে সুযোগ
সংকুচিত হয়ে আসে।
আমরা পাকিস্তানের সাথে হারব না জিতব এটা পরের ব্যাপার।
আগে লড়াই হবে তারপর ফলাফল। খেলা মাঠে গড়ানোর আগেই হেরে বসে থাকাটা কি
আামদের দৈন্যতা না।
'কেন আমরা খেলার আগেই বলি হেরে যাব। থাক আজ নিউজিল্যান্ডের সাথে পাকিস্তানই জিতুক। ' এটা কি আবার অন্য ধরণের ফ্যাশনে পরিণত হলো না কি এই অভাগার দেশে।
এই শিল, সেই শিল কত শীলের দেখা পাওয়া যায় বাংলার ঘুনে ধরা সমাজে।
আমি জানি- এ দেশে সবেচেয়ে বেশি রয়েছে পাক-সমর্থক।
ভাল লাগার উপর সমর্থণ বা ভালবাসা নির্ভর করে। তাই এ নিয়ে কাউকে কিছু বলার নেই। কিন্তু পাকিস্তানের সাথে যখন বাংলাদেশ খেলে। তখনতো ব্যাপারটা শুধু ভাললাগা বা ভালবাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এ যে আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।
আমাদের পরিচয়ের ব্যাপারটা চলে আসে।
আচ্ছা,
নিজের মা যখন লড়াইয়ে নামে তখন কি মাকে ছাড়া আর কাউকে সমর্থন করা যায়? এ
দেশটাতো আমাদের সবেচেয় আপন মা। গর্ভধারীণি একসময় নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে
যায়। বাবা-ভাই-খালা সবাই গত হয়। চিন্তা করেনতো নানা-নানী তখন আর জীবিত থাকে না।
থেকে যায় শুধু বুকে আগলে রাখা এ দেশের চিরচেনা মাটি। কি মুগ্ধতায় সে আমাদের আদর দিয়ে সব কিছু ভুলিয়ে রাখে।
অথচ এ সত্যটিকে অস্বীকার করছি আমরা। সব ভুলে শুধু আমুদের আশায় বিবেক
বিকিয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে সমর্থণ করছি। এটা ঠিক না ।
বিবেকোচিত সিদ্ধান্তও না। বোধহয় জাতি হিসেবে খুব হীণমন্য আমরা। মানুষ হিসেবে অনেকটাই ছোট
মানষিকতার। নইলে এমন হবে কেন আমাদের অবস্থা।
মানুষের কান্না, রক্ত বা ক্ষত-বিক্ষত নিথর দেহ কোন কিছু্ই আর আমাদের
বোধকে নাড়া দেয় না।
কেন দেয় না? হয়তো দেশটা আবার বর্গীদের করতলে যাবে
বলে, হয়তো অল্প সময়ের ব্যবধানে আমাদের পায়ে আবার শিকল লাগবে বলে...
পাদটিকা- ভারত-বাংলাদেশ খেলা হলে একদল আছেন যারা ভারতকে সমর্থণ দেন। তারা
ভরা মাঠে ভারতের হাসিতে হা হা করে হাসেন। এ গোষ্ঠিটি ভারতপ্রেমে এতটাই অন্ধ যে, তাদের একজনের
হাসিতে যে লাল সবুজের পতাকা আচ্ছাদিত পুরো বাংলাদেশের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে এ সত্যটি বুঝতে চান
না। আমরা হয়তো ভদ্র বা অক্ষম। তাই তারা এ দেশের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রিয় মায়ের চরম পরাজয় দেখে
প্রকাশ্যেই ঠাট্টা-হাসি হাসতে পারেন।
এসব লোকদের নিন্দা জানিয়ে দেশকে আপমান করতে চাই
না। শুধু বলি বাংলাদেশ এগিয়ে চলো... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।