আমি দলে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল ইনোসেন্স অব মুসলিমস'এর মত তৃতীয় শ্রেণীর ছবি এখন বিশ্বজুড়ে জনরোষের, তোলপাড়ের, সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তির, বিক্ষোভের, ও মৃত্যুর কারণ। এই ছবি এখন একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কাছে মানুষকে উস্কে দিয়ে উদ্দেশ্যমূলক সহিংসতায় লিপ্ত করার হাতিয়ার। প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আসলে আঘাত করল কে? --> যে তীব্র বিজাতীয় ঘৃণা থেকে ছবি তৈরি করে সিনেমা হল-গুলোয় প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়ে শেষে ক্লিপস আপলোড করল সকলের জন্য উন্মুক্ত একটি সাইটে যেখানে প্রতিদিন আপলোড হওয়া কোটি কোটি ভিডিওর স্তূপের নিচে সেটি পৃষ্ঠ হচ্ছিল? --> নাকি সেইসব কুচক্রী যারা বস্তা পচা ছবিটাকে অন্ধকার থেকে তুলে এনে রঙিন পর্দায় প্রচার করে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে স্বীয় স্বার্থ হাসিলে সাধারণ সরল মানুষগুলোকে উস্কে দিল, খেপালো, পেছনে থেকে মন্ত্রে মুগ্ধ করে ঠেলে দিল অগৌরবের মৃত্যুর দিকে? --> নাকি ঐ সব হারামজাদা শ্রেনীর পশ্চিমা বখে যাওয়া তথাকথিত মুক্তমনা সেকুলার লোকজন যারা বাক-স্বাধীনতার ওজুহাতে অস্তিত্বহীনতায় ভুক্তে থাকা মানুষদের উত্যক্ত করে এক জঘন্য আনন্দ উপভোগ করে? ওসামা বিন লাদেনের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে মুসলমান’রা বিশ্ব জুড়ে যেমন সন্ত্রাসী’র অপবাদ পেল, ও তার প্রতিবাদে একটি বিশাল অংশ যেভাবে দাবীদার যে ওসামা বিন লাদেন বিশ্বের সকল মুসলমানের প্রতিনিধি নন; তাঁর উগ্রবাদী চরমপন্থার আদর্শ সকল মুসলমানদের মনোভাবকে প্রতিবিম্বিত করে না, ঠিক তেমনি, এই ছবি, যদি কতিপয় ইহুদীর, খৃষ্টানের, বা নাস্তিকদের মদদ-পুষ্ট হয়ও এর সাথে দুনিয়ার সকল খৃষ্টান, ইহুদী, অন্যান্য ধর্মালম্বি, কিংবা সেকুলার মানুষ অথবা দেশকে সম্পৃক্ত করার কোন কারণ নেই। মুসলমানদের, খৃষ্টানদের, ইহুদীদের যেমন নবী ও রসুল’দের ভালবাসার, শ্রদ্ধা করার অধিকার আছে, তেমনি নবী ও রসুলদের যদি নিরীশ্বরবাদী মানুষজন ধর্ম যুদ্ধের জন্য ও সেসব যুদ্ধে পৃথিবীর কোটি কোটি নিষ্পাপ, নির্দোষ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে চিহ্নিত করে ঘৃণা করার যুক্তি খুঁজে পান ও তা প্রকাশ করেন সেই অধিকারকেও একজন যুক্তি-শীল শিক্ষিত মানুষের, ঘৃণার সহিত হলেও, মেনে নেওয়া উচিৎ। কিন্তু মানুষের মনোভাব ও তার প্রকাশ’কে পুঁজি করে পুনরায় যারা এর বাজারজাত করে ও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যবহার করে তারাই হল আসল ও সবচেয়ে বড় হারামজাদা। ঐসব হারামজাদাদের চিহ্নিত করা দরকার।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।