সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে পৌঁছানোর চিন্তায় ভোর ৫টার দিকে রওনা হয়েছেন অনেক পরীক্ষার্থী। এরপরেও পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো নিয়ে সংশয়ে রেয়েছেন তারা।
রোববার ফজরের নামাজের পরপরই ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে অবরোধ করে হেফাজতকর্মীরা। তাদের বেশিরভাগেরই হাতে দেখা যায় বাঁশের লাঠি।
এদিন সকাল ১০টায় ৮টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে কৃষিশিক্ষা তত্ত্বীয় দ্বিতীয় পত্র এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিমে রসায়ন বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র, পৌরনীতি দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, উর্দু দ্বিতীয় পত্র ও ফার্সি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা রয়েছে।
অন্য পরীক্ষার দিনগুলোতে রামপুরা থেকে ডেমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই ঘণ্টার মধ্যে স্ত্রীকে পৌঁছে দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম। কিন্তু হেফাজতের অবরোধ কর্মসূচি থাকায় রোববার তাদের রওনা দিতে হয়েছে ভোর সাড়ে ৫টায়।
শফিকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রামপুরা থেকে রিকশা ও পায়ে হেঁটে এগিয়ে বহু কষ্টে একটি অটোরিকশা পান তারা। এরপর সেই অটোরিকশায় ডেমরা ব্রিজ পর্যন্ত এসেছেন। সেতুত তাদের অটোরিকশাকে আটকে দেয় হেফজত কর্মীরা।
তিনি বলেন, “এখানে তো দেখি কোনো গাড়ি নেই। পায়ে হেঁটে যেতেও ভয় লাগছে। জানি না ও আজ পারীক্ষা দিতে পারবে কি না। ”
স্ত্রী শরীফা গজারিয়া সরকারি কলেজে পড়ে বলে জানান তিনি।
ডেমরা ব্রিজের কাছে সকাল সোয়া ৭টায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের আরেকটি অটোরিকশা অাটকে দেয় হেফাজতকর্মীরা।
পরীক্ষার্থীদের শত অনুরোধেও তারা কান দেয়নি।
পরে ভীত-সন্ত্রস্ত্র এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে রওনা দিতে দেখা যায়।
ওই অটোরিকশার চালক দোলোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আর কোনো যানবাহন না পেয়ে ডেমরার রানী মহল এলাকা থেকে ৭-৮ জন পরীক্ষার্থী গাদগাদি করে তার গাড়িতে ওঠে।
“আমি আসতে চাইনি। কিন্তু তারা বার বার অনুরোধ করছিল।
পরে তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে সিএনজিতে উঠতে বলি। কিন্তু রাস্তায় তো হুজুররা আটকায়ে দিল। ”
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমের ১০-১২ জন নারী পরীক্ষার্থীকে বহন করা একটি লেগুনাও আটকে দেয় হেফাজতকর্মীরা। পরে মাদ্রাসা বোর্ডের ছাত্রী জানতে পেরে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয় একদল হেফাজতকর্মী।
ওই ছাত্রীদের পড়নে ছিল কালো বোরখা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।