হৃদয়ে থাকুক বসন্ত গতকাল সারারাত সামুতে নজর রেখেছিলাম। যা দেখলাম, মজাই পেলাম। নাস্তিকদের উস্কে দেওয়া আর আস্তিকদের সেই উস্কানির চুলকানিতে বিবস্ত্র হয়ে লাফানো। খারাপ না। এটা মজার বিষয় বটে।
দুই পক্ষের কর্মকান্ডই প্রান ভরে দেখলাম। এর মধ্যে অনেকে নিজে এবং অনেকে নিজের মাল্টি নিককে সামু হতে বিদায় দিয়া দিলো, শুধু দাঁড়িপাল্লার ব্যান দাবী করে। মুমিনরা নিজের ধর্মকে বাঁচাতে একজন নারীর নগ্ন ছবি দিয়ে প্রতিবাদ করলো, অপূর্ব! মুমিনদের নাচানাচির মধ্যে কিছু নাস্তিক এসে মাঝে মাঝে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়ে আড়ালে বসে তামাশা দেখেছে।
ব্লগীয় নাস্তিক কারা? কারা আসলে নাস্তিকতার ঝান্ডা নিয়ে চলে!
নাস্তিকতা আসলে একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। লোকমুখে প্রচলিত আছে নাস্তিকরা অনেক জ্ঞানী হয়ে থাকে।
তাই নিজেকে জ্ঞানী হিসেবে জাহির করার জন্য নাস্তিকতার লেবাস থারন করা জরুরী হয়ে গেছে। শাহবাগের আজিজ মার্কেটে বসে নিজের শরীরে প্রথমে বাম পরে নাস্তিকতার পোশাক জড়িয়ে নেয় এরা। এরপর এরা নামে আস্তিক নিধনে। এখন প্রশ্ন হইলো, আস্তিক কারা? এদেশে যেহেতু সংখ্যায় মুসলমান বেশি, তাই তাদেরকে আক্রমণ করলেই বেশি সাড়া পাওয়া যাবে। তাই ইসলামকে নিয়ে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে মুসলমানদের কাছ থেকে গালি-প্রতিবাদ হজম করে বিখ্যাত হইবার আত্মতৃপ্তিতে ভোগা শুরু হয় কথিত এই নাস্তিকদের।
তাদের সাথে যোগ দেয় কিছু কট্টর হিন্দু। তারা পিঠ চাপড়ে দেয় এসব নাস্তিকের। তাই যেই নাস্তিকরা ইসলাম ধর্মকে সারাদিন গালি দিয়ে চলে, তারাই আবার হিন্দু ধর্মের ব্যাপারে অসাম্প্রদায়িক ভূমিকা পালন করে। নাস্তিকতা কি বিশেষ একটি ধর্ম বিরোধিতা? নাকি অন্যকিছু? সামুতে নাস্তিকরা শুধু ইসলামবিরোধী ভূমিকাই পালন করে।
এই নাস্তিকদের আবার তিন কবুল পড়ে বিয়ে করতে হবে, পরিবারকে খুশি করার জন্য।
এই নাস্তিকরাই আবার মৃত্যুর পর জানাযা দাবী করবে, কবর দাবী করবে। ইসলাম মতে জানাযা কবর না হলে আবার মানবাধিকার লঙ্গন হবে।
শাহবাগ মোড়ে দাঁড়াইয়া মুত্রত্যাগ করে মুত্রমনা হওয়া যায়, মুক্তমনা হওয়া যায় না
আর ব্লগের আস্তিক? আজব এক চরিত্র তারা। মদ আর মেয়েমানুষ ভোগের সময় যারা ধর্মকে দূরে সরিয়ে রাখে, তারাই আবার ইসলাম অবমাননা করলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর তাদের প্রতিবাদের ভাষাও অসাধারণ।
গালাগালি, আর ছবি আপলোডে তারা প্রতিবাদ জানায়। আহা! কি দারুণ ইমানজ্ঞান! নাস্তিকরা এসে তাদের এই ইমানুভুতি নিয়া খোঁচা দিয়া যায় আর তারা গালাগালির মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। একটা সময় যখন ধর্ম মানতাম, আমিও এই কাজ করছি। এই গাধামি করছি।
আস্তিকদের সরাসরি বলে দেই, যারা গতকাল রাতে যারা জানাকে ইঙ্গিত করে নোংরা ছবি আপদিছেন তাদের সাথে দাঁড়িপাল্লার কোন পার্থক্য নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।