আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আফ্রিকা জঙ্গলের পাঁচটি ভয়ঙ্কর প্রাণী...........গভীর বনভূমির ত্রাশ

A Hero will Rise Up Just In Time "কালো বনভূমি" নামে বিখ্যাত আফ্রিকার জঙ্গল। মাইলের পর মাইল জুড়ে ঘন গহীন ভয়ঙ্কর বনভূমি। এতটাই গভীর যে এখনও আফ্রিকার জঙ্গলের বহু অঞ্চলে পড়েনি সভ্যজগতের পায়ের ছোয়া। শুধু সভ্যজগত বললেও ভুল হবে, বিজ্ঞানীদের মতে আফ্রিকার জঙ্গলে এখনও এমন বহু জায়গা আছে যেখানে কখনওই কোন মানুষের পাড়া পড়েনি। রহস্যঘেরা এসব অঞ্চল এখনও মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

হয়ত সেসব অঞ্চলে এখন এমন কিছু প্রাণীর অস্তিত্ব আছে যেসব প্রাণী সম্পর্কে মানুষের কোন ধারনাই নেই অথবা প্রাগৈতিহাসিক কোন প্রাণীর অস্তিত্ব থাকাটাও একেবারে অসম্ভব কিছুনা। যাই হোক, ধারনার কথা না হয় বাদই দিলাম। আফ্রিকার নিতান্ত পরিচিত প্রাণী সম্পর্কেই বা আমরা কতটা জানি? কতটা জানি তাদের ভয়ঙ্করতা সম্পর্কে? আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ৫টা প্রাণী সম্পর্কে বলতে গেলে ভয়ঙ্করতার দিক থেকে ৫ নম্বরে যে প্রাণীটা আসবে, সেটা হলোঃ ৫) হাতী: এমনিতে নিরীহ দর্শন এই প্রাণীকে সত্যিকার অর্থে নিরীহ ভাবলে ভুল করবে যে কেউ। আফ্রিকার সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী হলো হাতি। বুদ্ধি এবং বিশাল দেহের মিশ্রনে প্রয়োজনে সত্যিই এক ভয়ঙ্কর মনস্টারে পরিনত হতে পারে হাতি।

পাগলা হাতি বাদ দিলে এমনিতে সত্যিই অনেক নিরীহ এ প্রাণীটা। কিন্তু সাথে দুধের বাচ্চা থাকলে কিংবা কোনভাবে কাউকে যদি শত্রু মনে করে তাহলে জঙ্গলের ত্রাশে পরিণত হয় এই বিশালদেহী প্রাণী। জঙ্গলের অন্যান্ন বড় প্রাণী এমনকি পশুর রাজা সিংহও পারতপক্ষে এড়িয়ে চলে হাতিকে। আফ্রিকার উপজাতি মানুষের খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে প্রিয় হলো হাতির মাংস এবং হাতির দাঁতের প্রচুর চাহিদার জন্য আফ্রিকায় ধীরে ধীরে কমে আসছে হাতির সংখ্যা। ৪) গন্ডার: একশিং বিশিষ্ট (যেটা আসলে একগোছা শক্ত লোমের গুচ্ছ) গন্ডার ভয়ঙ্করতার দিক থেকে আফ্রিকার চতুর্থ ভয়ঙ্কর প্রাণী।

মেজাজটা যেন সবসময় খিঁচিয়ে থাকে এই বিশালদেহী প্রাণীটার। গন্ডারের পেট সবসময় খারাপ থাকে। গন্ডারের মলের সাথে সবসময়ই হজম না হওয়া খাবার পাওয়া যায়। সম্ভবত এটাই এই প্রাণীটার মেজাজ খারাপ থাকার কারন। অকারনে আক্রমন করা গন্ডারের স্বভাব, সাথে ছোট বাচ্চা কিংবা আহত গন্ডার হলে তো কথাই নেই।

একরোখা স্বভাবের জন্য অনায়াসেই এটাকে হাতির চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণী হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যায়। ৩) মোষ: অনেকের মতেই আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণী হলো মোষ। বুদ্ধিমান, শক্তিশালী এবং বিশাল দেহী এই প্রাণীটা যে প্রচন্ড ভয়ঙ্কর তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তবুও মোষকে একনম্বর ভয়ঙ্কর প্রাণী বলা যায়না। কারন এর বিশাল শরীর।

যে জন্তুর ওজন ২৫ মনেরও বেশী তার দৌড়ানের গতি অনেক কম। আর জঙ্গলে যদি বেশী জোরে ছোটা না যায় তাহলে সেটা যতই হিংস্র হোক না কেন অন্তত সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রানী হিসেবে তাকে অভিহিত করা যায়না। তবে কড়া মেজাজ, প্রচন্ড বুদ্ধি এবং টিকে থাকার প্রচন্ড ক্ষমতার জন্য একে আফ্রিকার তৃতীয় মারাত্নক জন্তু বলা হয়ে থাকে। ২) সিংহ: বনের রাজা হিসেবে অভিহিত হলেও আফ্রিকার জঙ্গলের সবচেয়ে ভয়ঙ্করের মধ্যে কিন্তু সিংহ নেই তবে ২য় শ্রেষ্ট মারাত্নক পশু হিসিবে অসায়াসেই সিংহকে চিহ্নিত করা যায়। খুবই পাতলা ঝোপের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে এবং প্রচন্ড গতিতে ছুটতে পারে।

সিংহের এই দুটি ব্যাপারই অত্যন্ত মারাত্নক। দুঃসাহস কোন প্রাণীর তুলনায় কোন অংশে কম নয়। জীবনপন করে সবসময় আক্রমন করে করে, হয় মারবে না হয় মরবে- সুতরাং ধারনা করা যেতেই পারে, কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে এই প্রাণীটা। সাধারনত দলবেধে ঘুরে বেড়ায় সিংহ। দলে কয়েকটা মাদীর সাথে একটা বড়জোর দুইটা পুরুষ সিংহ থাকে।

দলের সবরকম স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে এই দলনেতা পুরুষ সিংহ থাকে সবসময় বদ্ধপরিকর। কালো জঙ্গলের কালো ত্রাশ হিসেবে চিহ্নিত হয় আফ্রিকার এই ভয়ঙ্কর প্রাণীটি। ১) চিতাবাঘ: অনেকেই চিতার সাথে চিতাবাঘকে মিলিয়ে ফেলেন পারতপক্ষে দুটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রাণী। চিতাবাঘের অরিজিনাল নাম হলো লেপার্ড। শুধুমাত্র দ্রুতগতি এবং হিংস্রতার জন্য আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পশু হিসেবে চিহ্নিত লেপার্ড।

মূলত আফ্রিকার রেইন ফরেস্ট এবং মরুভুমিতে চিতাবাঘের রাজত্ব থাকলেও সম্পূর্ণ আফ্রিকার জঙ্গল ঘিরে এদের বসবাস। সিংহের চেয়ে আকারে এবং শক্তিতে অনেক কম হলেও এর একরোখা স্বভাবের জন্য একে সেরা ভয়ঙ্কর প্রণী হিসেবে অনায়াসেই অভিহিত করা যায়। মাটিতে এবং গাছে সমান বিচরন লেপার্ডের যেটা এটাকে একনম্বর ভয়ঙ্কর প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করার অন্যতম কারন। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি এবং ঘ্রানশক্তি, একরোখা, বুদ্ধিমান এবং দ্রুতগতির এই প্রাণীটাকে এমনকি বনের রাজা সিংহও যথেষ্ট সমীহ করে চলে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.