আমি সুমাইয়া বরকতউল্লাহ। ছাত্রী। লেখালেখি করা আমার ভীষণ পছন্দ। আমি ছড়া, গল্প লিখি। পত্রিকায় নিয়মিত লিখি।
লেখালেখি করে বেশ কয়েকটা পুরস্কারও পেয়েছি। শিশু অধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ (প্রিণ্ট মিডিয়া) পর পর ৩ বার জাতিসংঘ-ইউন শিশু আইন ২০১৩ হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। আর এ-জন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। আর সেই শিশুরা বড়দের দ্বারা কষ্টের শিকার হয়।
বাংলাদেশে অনেক শিশু নানা ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। শিশুদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়, মারধর করা হয়, অপমান করা হয়। শিশুকে দিয়ে কঠিন কাজ করানো হয়। শিশুদের লেখাপড়া না করিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করানো হয়। শিশুদের যে অধিকারগুলো আছে তা দেওয়া হয় না।
আর এগুলো তো করে বড়রা। এছাড়া শিশুকে তো কোন না কোন বড়দের কাছেই থাকতে হয়। শিশুরা ছোট বলে তারা এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না, অধিকারও আদায় করতে পারে না। মনের কষ্টের কথাও বলতে পারে না। এখন সরকার নিজেই শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ও শিশুদের কল্যাণ করার জন্য আইন করেছে।
এটা আমাদের জন্য আনন্দের খবর না তো কি!
এখন শিশু নির্যাতন করলে পাঁচ বছরের জেল হবে আর এক লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। অনেক বড় শাস্তি এটা। এখন এই শাস্তির ভয়ে অনেকেই শিশুদের ঠকাবে না আর শিশুদের সঙ্গে অন্যায় ব্যবহার করবে না।
এই আইনে ১৮ বছর পর্যন্ত একজন মানুষকে শিশু বলা হবে। এখন ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত দেশের সকল শিশুরা এই আইনের সুবিধাগুলো পাবে।
শিশুদের জন্য গঠন করা হবে শিশু বোর্ড। জেলায় জেলায় হবে শিশু আদালত আর প্রতিটি থানায় থাকবে শিশু বিষয়ক ডেস্ক। এখন যে-কোনো শিশু তার কষ্টের কথা বা তার ওপর নির্যাতন করা হলে, তাকে কেউ ঠকালে সরাসরি থানায় গিয়ে বিচার চাইতে পারবে। ফলে শিশুরা তাদের অধিকার আদায় করতে পারবে সহজে।
এখন আমরা আর অসহায় নই।
ইচ্ছে করলে আইনের আশ্রয় নিতে পারব। এক দৌড়ে থানায় গিয়ে কষ্টের কথা বলতে পারব, বিচার চাইতে পারব। তখন এই আইনই আমাদের রক্ষা করবে।
আমরা আশা করি, এই আইনে যা যা আছে তা যেন শিশুদের ও বড়দের ভালো করে জানিয়ে দেওয়া হয় আর বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আর আইন যেন সত্যি সত্যি কাজে লাগানো হয়।
বিচার চাইলে যেন তাড়াতাড়ি বিচার পাওয়া যায়। তাহলেই আমরা এর আসল সুবিধাগুলো পাবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।