তাঁর পায়ে বল। সেই জাদুকরি বাঁ-পায়েই। আর সেটাই এক জায়গায় জটলা পাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখছেন বেলজিয়ামের ছয়-ছয়জন খেলোয়াড়! শুধু ডিয়েগো ম্যারাডোনার ক্যারিয়ারে নয়, ফুটবলেরই অন্যতম ‘আইকনিক’ ছবি হয়ে আছে এটি। ম্যারাডোনাকে খুব ভালোভাবে সংজ্ঞায়িতও করে স্পেন বিশ্বকাপের এই ছবিটি। একা ম্যারাডোনা বহুবার ছত্রখান করে দিয়েছেন ওপাশের ছয়-ছয়জনকে।
অথচ মজার ব্যাপার হলো, এই ছবিটির আসল গল্প একেবারেই অন্য রকম!
আজ থেকে ঠিক ৩১ বছর আগে, ১৯৮২ সালের ১৩ জুন জন্ম এই ছবিটির। এই মুহূর্তটির। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার সেটি ছিল প্রথম ম্যাচ। বিশ্বকাপে ২২ বছর বয়সী ম্যারাডোনার অভিষেকও। আর সেই ম্যাচেই জন্ম ছবিটার, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
কিন্তু ছবিও যে সব সময় সত্য কথা বলে না! এমন নয়, ম্যারাডোনার জাদুকরি কোনো কারুকাজে বেলজিয়ামের এই ছয় খেলোয়াড় বিবশ হয়ে গিয়েছিলেন। আসল ঘটনাটি হলো, এই ছবির মুহূর্তটির ঠিক কিছুক্ষণ আগে ম্যারাডোনাকে ফাউল করেছিল বেলজিয়ামের এক খেলোয়াড়। ফ্রি কিক পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ফ্রি কিক ঠেকাতে ‘ওয়াল’ বানিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেলজিয়ামের এই ছয় খেলোয়াড়।
ওয়ালের ডানপাশে দাঁড়িয়ে থাকা ম্যারাডোনার কাছে পাস এসেছিল ফ্রি কিক থেকে।
তখনই বাঁ-পায়ে শটটা নেন ম্যারাডোনা। ক্যামেরাবন্দী হয় মুহূর্তটি। ছয় বেলজিয়ান খেলোয়াড়ের বানানো ওয়ালটি তখন মাত্রই ভাঙছে। ফলে ছবিটি দেখে যেন মনে হয়, ম্যারাডোনার ড্রিবলিংয়ের জাদুতে থ মেরে গেছেন বেলজিয়ামের খেলোয়াড়েরা! আরও মজার তথ্য হলো, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা কিন্তু বেলজিয়ামের কাছে হেরেও গিয়েছিল ম্যাচটি!
ছবিটির আসল সত্য যা-ই হোক, আগে যেমনটা বলা হয়েছে, এটিও ম্যারাডোনার ক্যারিয়ারকে বোঝাতে একটি ‘আইকন’ ছবি হিসেবে ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। এখানে হয়তো গল্পটা অন্য রকম।
কিন্তু এ-ও তো সত্যি, ম্যারাডোনাকে ঠেকাতে এভাবে ছয়-সাতজন খেলোয়াড় জটলা পাকিয়েছেন। কিন্তু অনায়াসে সেই রক্ষণব্যূহ ভেঙে বেরিয়ে গেছেন ম্যারাডোনা—দ্য উইজার্ড অব ড্রিবলিং!
ছবিটির সেই মুহূর্তটির ভিডিও দেখুন:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।