চুক্তির সমঝোতাটা হয়েছিল অনেক আগেই। আজ আনুষ্ঠানিকতাও সেরে ফেললেন লোডভিক ডি ক্রুইফ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন প্রধান কোচ ডি ক্রুইফ ও সহকারী কোচ রেনে কোস্টার। জুলাইয়ের শুরু থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দলের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এই দুই ডাচ কোচ। ক্রুইফ হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ১৩তম বিদেশি কোচ।
চুক্তি সাক্ষর সম্পন্ন হলেও এখনই পাকাপাকিভাবে বাংলাদেশে থাকা শুরু করছেন না ডি ক্রুইফ। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া সুপার কাপের প্রথম ১০টি ম্যাচ মাঠে বসে দেখবেন। এরপর ফিরে যাবেন নিজ দেশে। আগামী ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশের ফুটবলারদের নিয়ে শুরু করবেন সাফ গেমসের প্রস্তুতি।
নতুন কোচের পরিবহনের জন্য সার্বক্ষণিক গাড়ি, আবাসন ব্যবস্থা ও চিকিত্সা সেবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাফুফে।
তবে ডি ক্রুইফের সঙ্গে চুক্তির টাকার অঙ্কটি সম্পর্কে কিছু বলেনি বাংলাদেশ ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে ইউরোপিয়ান কোচের আগমন এবারই প্রথম না। এর আগেও দেখা গিয়েছিল জার্মানির ওয়ার্নার বেকেলহফট, অটো ফিস্টার, ইংল্যান্ডের মার্ক হ্যারিসনকে। তবে ‘টোটাল ফুটবলের দেশ’ হল্যান্ডের কোন কোচের তত্ত্বাবধানে এবারই প্রথমবারের মতো আসতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কেমন হবে এই নতুন অভিজ্ঞতা? ক্রুইফ কি পারবেন ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৫২ নম্বরে পড়ে থাকা বাংলাদেশকে উন্নতির সিঁড়ি ভেঙে এগিয়ে নিতে?
উত্তর জানার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা তো করতেই হবে।
তবে ক্রুইফের কোচিং ক্যারিয়ারটা আশা জাগাতেই পারে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মনে। তাঁর কোচিং ক্যারিয়ার আট বছরের। সর্বশেষ কাজ করেছেন নাইজেরিয়ার একটি ক্লাবে। তাঁর অধীনেই নাইজেরিয়ার এফএ কাপ জিতেছিল স্থানীয় হার্টল্যান্ড ক্লাব। গত বছর আফ্রিকার সেরা ক্লাব কোচের তালিকাতেও নাম উঠেছিল তাঁর।
আগামী সেপ্টেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়নসশিপটাই হবে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে ডি ক্রুইফের প্রথম মিশন। তাঁর হাত ধরে বাংলাদেশের ফুটবল কতখানি এগিয়ে যেতে পারবে, তার একটা আভাস হয়তো তখনই পাওয়া যাবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।