আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি

বাংলা আমার দেশ রাজধানীতে রাতভর চাঁদাবাজি করে রাষ্ট্রের প্রধান আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপদগামী সদস্যরা। দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তায় কিছু পুলিশ সদস্যকে ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায় করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন পুলিশের এ চাঁদাবাজি নিত্যদিনের। যানজটের তোয়াক্কা না করে শুধু দিনে নয়, রাতভর চাঁদা নিতে তৎপর এসব পুলিশ সদস্য। প্রতিটি ট্রাক থেকে ন্যুনতম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০টাকা বা তারও বেশি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে।

জুরাইন, পোস্তাগোলার দিক থেকে আসা যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তার মুখে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা রাত ১টা ৫০ মিনিট থেকে ১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৫টি ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করেন। এ সময় এখানে দায়িত্বপালন করেন ডেমরা জোনের ট্রাফিক পুলিশের এএসআই সুমন ও ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল মফিকুল ইসলাম। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপর একটি ট্যাঙি ক্যাব থামিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করতে দেখা গেছে পুলিশের পোশাকপরা কয়েকজনকে। শুধু যাত্রাবাড়ি আর খিলগাঁও নয়, রাত হলেই গোটা রাজধানী জুড়েই ট্রাফিক পুলিশের বিপদগামী সদস্যরা চাঁদাবাজি চালায়। অতি তুচ্ছ কারণে রাতের বেলা রাস্তা চলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন যানবাহন চালকরা।

সব ধরনের গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি করা হয়। তবে বিশেষভাবে ট্রাক ও সিএনজি থেকে বেশি চাঁদাবাজি করা হয়। এ চাঁদাবাজি দিন দিন বেপরোয়া আকার ধারণ করছে। তবে চালকদেরও অনেক দূর্বলতা থাকে। যারই সুযোগ নেয় ট্রাফিক পুলিশেরা।

গাড়িতে অবৈধ মালামাল বহন, কাগজপত্রে ত্রুটি, ড্রাইভিং লাইসেন্স এ ত্রুটিজনিত দূর্বলতা থাকায় গাড়ির চালকরা পুলিশকে চাঁদা দিয়ে থাকে। যাত্রবাড়ি চৌরাস্তা থেকে চাঁদা আদায়ের প্রসঙ্গে অভিযুক্ত এএসআই সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এমনকি যাত্রাবাড়ি পুলিশ বক্সে গেলে চা নাস্তা খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।