আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অলৌকিক লৌকিক

বাংলাদেশী মুসলমানরা কয়েকপুরুষ আগে নিম্নশ্রেনীর হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছে । যুক্তিবাদী আরজ আলী মাতুব্বরকে তাঁর সত্যের সন্ধান বইটি প্রকাশের পর অনেক ধরনের প্রতিকূলতার সম্মখীন হতে হয়েছে। বহু মানুষকে সুস্থ করে দেওয়ার কৃতিত্বের দাবিদার যিনি, সেই সত্য সাই বাবাও এড়াতে পারলেন না মৃত্যুর অনিবার্যতা। ভক্তদের বিশ্বাস পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য অসুস্থ মানুষকে দৈব ক্ষমতায় সুস্থ করেছেন তিনি। কে এই সত্য সাই বাবা? ভক্তদের কাছে তিনি ঈশ্বরের অবতার।

তাঁকে আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে মানেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ। পৃথিবী প্রতারণার আবাসস্থল। এখানে এমন কোন স্থান নাই,যেখানে প্রতারণা নাই। স্বার্থের কাছে মানবতা বন্দি। যেখানে স্বার্থ আছে, সেখানে প্রতারণা আছে।

স্বার্থ নাই এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল। সমস্ত পৃথিবী আজ স্বার্থের বেড়াজালে বন্দি । সমাজ ভাববাদের অন্ধকারে নিমর্জ্জিত। আলোর একান্ত অভাব। শুধু নক্ষত্রের আলোয় পৃথিবী আলোকিত হয় না,জ্ঞানের আলোরও প্রয়োজন আছে।

স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যে অ্যালোভেরার ব্যবহার আজকের নয়। প্রাচীন কালেও রানী ক্লিওপেট্রা, সম্রাট আলেকজান্ডার, বাদশাহ সোলায়মান, নেপোলিয়ন এবং ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মত বিখ্যাত মানুষেরা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতেন। ইদানিং কালের বড় উদাহরন মহাত্মা গান্ধী। পৃথিবীতে প্রায় ২৫০ রকমের অ্যালোভেরা জন্মে, তবে মাত্র দু’রকমের অ্যালো বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয়। সব চেয়ে বড় সমস্যা হল এমন কিছু লোক আছে যাদেরকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি এবং জ্ঞানী বলে মনে করি ।

তারা শিক্ষিত, বড় বড় পোস্টে চাকুরি করে, জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বলে তারা যখন এসব অলৌকিক গল্প সুন্দর করে বলে এবং বিশ্বাস করে তখন আমাদের মত সাধারণ মানুষদের বিশ্বাস না করার আর উপায় থাকে না । প্রায় সব মানুষই জীবনে অর্থনৈতিক উন্নতি আর খ্যাতির পেছনে ছোটে। সোজা কথায়, প্রত্যেক মানুষই এসবের প্রতি দুর্বল। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় সে উন্নতি প্রায় সবারই অর্জন সম্ভব হয় না। আর বাবারা এ কথাগুলোই বিভিন্নভাবে ইনিয়েবিনিয়ে বলে থাকেন তাদের কাছে যাওয়া দর্শনার্থী ভক্তদের।

প্রবীর ঘোষ তিনি যুক্তিবাদ প্রসার সহায়ক ও অলৌকিকতা বিরোধী একাধিক গ্রন্থের লেখক। যে মোহাম্মদ আলির মত বিখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধাও দাবি করেন যে তিনি শূন্যে ভাসতে পারেন এবং স্বয়ং ঈশ্বর তাকে এ ক্ষমতা দিয়েছেন সেই বিখ্যাত লোকের অলৌকিক ক্ষমতাকেও এই প্রবীর ঘোষ লৌকিক বলে প্রমাণ করেছেন । আমি আপনাদের অনুরোধ করবো- আপনারা অবশ্যই- অলৌকিক নয় লৌকিক ১ম-৫ম খন্ড পড়বেন । আমি জোর দিয়ে বলতে পারি বইগুলো পড়ে আপনি যা পাবেন তা হয়ত সারা জীবনেও পাবেননা এবং আমার কথা সারা জীবন মনে রাখা লাগবে । বইগুলো পড়লে ৯৯% অলৌকিক বিশ্বাস দূর হয়ে যাবে ।

বাকি ১% আপনার নিজের উপর । একজন আজীবন সংগ্রামী ও যুক্তিবাদী মানুষ হচ্ছেন প্রবীর ঘোষ। তার ‘অলৌকিক নয় লৌকিক’ গ্রন্থটি আক্ষরিক অর্থেই অন্ধকার থেকে আলোতে উত্তোরণের দর্শন। দেশে সুশিক্ষার রাজত্ব গড়ে উঠলে অবক্ষয় ও বিপথগামিতা থেকে তরুণ-তরুণীরা রক্ষা পাবে। আমা্দের মনে রাখা দরকার- আলোর নিয়ম অনুসারে কোন বস্তুর উপর আলো পরলে তা থেকে যদি আলো প্রতিফলিত হয় তবেই সেই বস্তুকে দেখা যাক,যা থেকে যত বেশি আলো নিসৃঃত হবে তাকে তত উজ্জ্বল দেখাবে।

সমাতন ধর্মে পাওয়া যায় কাঠের তৈরী রথ যাহা শূনে উড়ে। ইসলামে কাঠের তক্তা/জায়নামাজ যাহা দ্বারা ইসলামের পীর ফকির নবী উড়ে বেড়াতেন। সনাতন ধর্মে পাওয়া যায় দৈত্য দানব ভুত প্রেত। ইসলামে দেখা যায় জ্বীন-পরী। আর এসমস্ত বিষয় নিয়ে রচিত অনেক কল্প কাহিনী।

এখানে মানুষকে ধোকা দেওয়া হয় অলৌকিক ক্ষমতার কথা বলে। অলৌকিক ক্ষমতা মানে অদৃশ্য ক্ষমতা। এই ক্ষমতা মানুষের ক্ষমতার বাহিরে। মানব সমাজের সভ্যতার দোরগোড়ায়,কাগজ আবিস্কৃত হয়েছে । তাতে বাস্তব ভিক্তিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ হচ্ছে।

সভ্য সমাজে অলৌকিক কল্প কাহীনির স্থান তাতে দিনে দিনে সংকুচিত হচ্ছে। পৃথিবীতে ধর্মের উৎপত্তি এবং বিস্তার প্রাচীনকাল থেকেই। বিভিন্ন কল্পিত অলৌকিক ঘটনা, গোষ্ঠীর শীর্ষব্যাক্তির ক্ষমতা, যুদ্ধ বিজয়ী দল, সামাজিক নিপীড়িত জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা ধর্মবিস্তারে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহায়তা করে। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি ইসলামই সর্বোত্তম। আর ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে অলৌকিকতার আদৌ কোন প্রয়োজন দেখি না।

ইসলাম এমনই এক সুগন্ধি ফুলের নাম যার ঘ্রাণ থেকে নাক ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষমতা কোন সত্যানুসন্ধানীর নেই। ইসলামকে বুঝতে কোরআন অধ্যয়নই যথেষ্ট, এরপর হাদীসে রাসূল (সাঃ) তো আছেই। ভাববাদী সমাজে অনেক পীর দরবেশ সাধু সন্নাসীদের অলৌকিক কল্প কাহিনীর কিছু কিছু মাঝে মধ্যে লোক মুখে শুনা যায়। আর এই সকল কল্প কাহিনী ভাববাদীদের অনুসারীগন মনে প্রানে বিশ্বাস করে,ধর্মের অংশ মনে করে। ভাববাদী গ্রন্থ গুলিতে,যেমনঃ- মহাভারত,বেদ,গীতা,ইঞ্জিল-শরিফ, কোরানে এই রুপ অনেক অলৌকিক গল্প পাওয়া যায়।

বর্তমান সমাজে পীর দরবেশ তথা সাধু সন্নাসীদের অলৌকিক কল্প কাহিনী চোখে পড়ে না। অনেক ক্ষেত্রে যাহা দেখানো হয় তাহা শুধু মাত্র প্রতারণা। ভুত,প্রেত, দৈত্য, দানব ও জীন পরীতে মানুষের আজ ভয় নেই,বিশ্বাস ও নেই। মানুষ যুক্তিবাদী হচ্ছে এবং তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার আলোকে মানুষ আলোকিত হবে।

সকল ধমার্ন্ধতা গোড়ামী দুর হবে। মানুষ হবে কু-সংস্কার মুক্ত,সত্যের আলোকে আলোকিত। ধর্মের দোহাই দিয়ে চিকিৎসার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও সর্বস্বান্ত করার সংবাদ ইদানীং প্রায়ই পত্রিকায় আসছে। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রতিবছর ১৮০০ কোটি টাকার ড্রাগস কেনাবেচা হচ্ছে। তবে এ হিসাব নিতান্তই ধারণামূলক এবং অনুমাননির্ভর।

সঠিক তথ্য এর থেকে অনেক ভয়াবহ। বাংলাদেশে মাদকসেবীর কোনো সঠিক হিসাব নেই। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা ৫০ থেকে ৭০ লাখ। তবে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা বলছে, এ সংখ্যা আরো বেশি। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে মাদকসেবীদের মধ্যে ৯০ ভাগের বেশি পুরুষ।

৮০ শতাংশ মাদকাসক্তব্যক্তির বয়স ১৫ থেকে ৩৫ বছর। ৫৫ শতাংশ অবিবাহিত বা তালাকপ্রাপ্ত। মাদকাসক্তির জন্য চিকিৎসা নিতে আসা প্রতি ১০ জনের মধ্যে একটি শিশু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী পৃথিবীর প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ অর্থাৎ প্রায় একশ’ দশ কোটি মানুষ ধূমপান করে। বাংলাদেশে আকাশ, স্থল, জল ও রেলপথে মাদক আনা-নেয়া করা হয়।

বর্তমান আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের অনেকটা নিরাপদ রুট বাংলাদেশ। পত্রিকায়, সেমিনারে, চায়ের আড্ডায়, টকশোতে প্রতিদিন সরকারের রূপরেখা, নির্বাচনের কাঠামো, সমাজ বিনির্মাণ, নারীনীতি, স্বাধীনতার ঘোষক, বাঙালি-বাংলাদেশি, সংবিধান-বিসমিল্লাহ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মুণির নানা মত সমাজের বাতাস ঘোলা করে। এসবই করা হয় রাষ্ট্রের মানুষের জন্য, জনগণের কল্যাণের জন্য। কাবায় ঐ সময়ে ৩৬০ টি মূর্তি ছিল। দিনে কয়েকবার কাবার দিকে মুখ করে উপাসনা হতো।

বছরে একবার কাবাকে ঘিরে খুব বড় করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো। কল্পিত অপশক্তিকে পাথর ছোড়া হতো। মাথা কামানো হতো। পশুবলী হতো। বাদ্যসহকারে ধর্মীয় গান-বাজনা বা কীর্তন হতো।

কাবা কথার অর্থ বর্গাকার বা চৌকোনা। মানুষ অলৌকিক কিছু খোঁজে, খোঁজে বিস্ময়, চমকের আশায় থাকে। যদিও সবচেয়ে বড় বিস্ময়, সবচেয়ে বড় অলৌকিকতা, সবচেয়ে বড় চমক আসলে খুঁজে পাওয়া যায় মানুষের হৃদয়েই!!যারা ধর্ম বিশ্বাসী তারা অনায়াসে ধর্মের জন্য অনেক কিছু করতে পারে। সতের শতকের দিকে যখন কোরআন নাযিল হয় তখন আরব সমাজ বিজ্ঞান বলতে যা বুঝায় তা বুঝতে সক্ষম ছিল না । তাদের মাঝে ছিল বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার এবং ভিত্তিহীন বিশ্বাস ।

হিন্দু সম্প্রদায়ের যত উৎসব আছে, তার মধ্যে রথযাত্রা একটি। সাধারণত আষাঢ় মাসে এ উৎসব পালিত হয়ে থাকে। মূলত দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় যে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়, তার রয়েছে বিশাল ইতিহাস।

কোরআনের বৈজ্ঞানিক বিস্ময় বুঝতে হলে প্রথমেই আমাদের মনে রাখতে হবে যে সময় কোরআন নাযিল হয়েছিল, তখনকার বিজ্ঞান ছিল একেবারে অনগ্রসর। প্রতিটি মানুষ আমরা শান্তি খুজে ফিরছি আর তার জন্য আশ্রয় নিচ্ছি বিভিন্ন ধর্মের। মানুষ যখন ধর্ম ভীরুতা একেবারে অন্ধ হয়ে যায়, তখন সে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কোন সংস্কার মানতে চায় না। কোরআনের আয়াতগুলোর প্রতি মনোযোগী হলে দেখা যাবে আল্লাহর অনুগ্রহ, করুণা এবং দয়ার্দ্রতার বিষয়টি চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। মন এ কি ভ্রান্তি তোমার।

আবাহন বিসর্জন বল কর কার। যে বিভু সর্ব্বত্র থাকে, ইহাগচ্ছ বল তাকে, তুমি কিবা আন কাকে, এ কি চমৎকার। অনন্ত জগদাধারে, আসন প্রদান কর‌্যে, ইহা তিষ্ঠ বল তারে, এ কি অবিচার। এ কি দেখি অসম্ভব, বিবিধ নৈবেদ্য সব, তারে দিয়া কর স্তব, এ বিশ্ব যাহার। ( এই পোস্টটি কাউকে আঘাত দেবার জন্য না বা কারো বিশ্বাসকে কটাক্ষ করার জন্য না।

এই পোস্টের ভিতর দিয়ে আমি দেখাতে চেয়েছি যে কত সহজেই অলৌকিকতা খুঁজে পাওয়া যায়। ) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।