আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইরানের অনন্য সফলতা। পাল্টে যাচ্ছে শত্রুদের সব হিসাব নিকাশ।

সাধারণ মানুষের সাধারণ কথা। পারস্য উপসাগরে ইসলামী ইরানের ‘দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা' শত্রুদের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌ শাখার কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী ফাদাভি। তিনি বলেছেন, ইরানের এসব ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুদের পরিকল্পনা ও কৌশলকে অকার্যকর করে দেবে। আলী ফাদাভির উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানের ফার্স নিউজ আজ এ খবর দিয়েছে। তিনি বলেছেন, "ইরানের এসব ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুদের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ভিন্ন ধরনের এবং সেই কারণে শত্রুরা এতদিন যে হিসাব-নিকাশ করে আসছিল তা পাল্টে যাবে।

" ২০১১ সালের প্রথম দিক থেকে ইরান গণভাবে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করতে শুরু করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে শত্রুর যুদ্ধজাহাজ ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম। সুপারসনিক গতির এসব ক্ষেপণাস্ত্র সাড়ে ছয়শ' কেজি ওয়ারহেড বহন করতে পারে এবং এর গতি রোধ করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া, জাহাজ বিধ্বংসী ইরানের এসব ক্ষেপণাস্ত্র সুনিপুণভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এ সফলতার প্রশংসা করে রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী ফাদাভি আরো বলেন, প্রযুক্তিগত অগাধ জ্ঞানের কারণে বাহিনীর পক্ষে এগুলো তৈরি করা সহজ হয়েছে।

এ ছাড়া, ইরানের কাছে যে সাবমেরিন বিধ্বংসী সুপারফাস্ট রকেট রয়েছে তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব রকেট পানির নিচে প্রতি সেকেণ্ডে ১০০ মিটার বেগে চলতে পারে এবং ইরান ও রাশিয়া ছাড়া আর কোনো দেশের কাছে এ প্রযুক্তি নেই। আলী ফাদাভি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দু'হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ খরচ করলেও এ প্রযুক্তি আয়ত্ত্ব করতে পারেনি। পারস্য উপসাগরে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কাছে আরো একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক জাহাজ হস্তান্তর করার দু'দিন পর রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী ফাদাভি এসব কথা বললেন। ফেসবুক শেয়ার  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.