আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাকার সম্পদ কতো?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক সাংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা বির্তকিত রাজনীতিবিদ ও বর্তমানে যুদ্ধাপরাধের দায়ে কারাগারে আটক সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সম্পদের পরিমাণ কত? দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে তিনি ও তার পরিবার কত টাকার মালিক হয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে হিমশিম অবস্থা ছিলো যৌথবাহিনীর তদন্ত টিমের। কেননা তিনি শুধু নিজের নয় স্ত্রী, দু’পুত্র ও কন্যার নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে মাত্র ১৮ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর হিসাব দিয়েছিলেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতির মাঠে চতুরতার সঙ্গে বিভিন্ন সময়কাল পেরুনো এই রাজনীতিবিদ সম্পদের হিসাব বিবরনীতেও কৌশলী অবস্থান দিয়েছেন। গোপনে করেছেন নিজের ও পরিবাবের সদস্যদের সম্পদের হিসাব। যৌথবাহিনীর টাস্ফফোর্স ইতোমধ্যে তার ব্যাপারে সংগ্রহ করা আগের তথ্য এবং দুদকে জমা হওয়া সম্পদের হিসাব মিটিয়ে দিয়েছেন।

তদন্ত টিমের মতে, কয়েক’শ কোটি টাকার মালিক এই রাজনীতিবিদের বেনামে অনেক সম্পদ রয়েছে যা খতিয়ে দেখতে কিছুটা হিমশিম অবস্থা তাদের । কিন্তু ইতিমধ্যে যে তথ্য পেয়েছে তা রীতিমত বিষ্ময়কর। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ২০০৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হংকং থেকে ব্রিটেনে ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ও ১ লাখ হংকং ডলার পাঠিয়েছেন। এই অর্থ দিয়ে তিনি ওষুধ কোম্পানি গ্লোবাল বেক্সিমকো ফার্মা ইউ.কে.-এর শেয়ার কিনেন। এ ক্ষেত্রে তিনি নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত টাকা তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছেন। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০০৭ সালের ১৩ জুনে দুর্নীতি দমন কমিশন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে রমনা থানায় মামলা দায়ের করে। দুদকের তথ্যানুসন্ধানে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার দুটি গাড়ির মোট মূল্য (১ কোটি ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ১৪০ টাকা) দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ইচছাকৃতভাবে গোপন করেছেন৷ দুদকের প্রাপ্ত তথ্যানুসন্ধানে উল্লেখ করা হয় যে, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ১৯৯৫ সালে সংসদ সদস্য থাককালীন শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় একটি রেঞ্জ রোভার জিপ তার নিজ নামে আমদানিপূর্বক মালিক হন৷ ২৬ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে এর রেজিস্ট্রেশন হয়৷ যার রেজি নং-চট্ট-মেট্রো-ঘ-০২-০০১০৷ রেঞ্জ রোভার জিপটির ইনভয়েস মূল্য ৬১ হাজার ৮৫০ মার্কিন ডলার৷ বাংলাদেশী মুদ্রায় এর মূল্য ২৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৪০ টাকা৷ রেজিস্ট্রেশনের তারিখ অনুযায়ী ১৯৯৫-৯৬ করবর্ষের জন্য দাখিলকৃত দায় ও সম্পদ বিবরণীতে গাড়িটি তথ্য প্রদানের বিধান থাকলে তা তিনি করেননি৷ পরবর্তীতে তিনি তার আয়কর নথিতেও গাড়ির তথ্য দেননি৷ এমনকি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদের হিসাব বিবরণীতে গাড়িটির তথ্য গোপন করেন৷ সাকা চৌধুরী তার নিজ নামে লিজের মাধ্যমে একটি টয়োটা লেক্সাস গাড়ি কেনার জন্য ২০০৩ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকায় অবস্থিত পিপলস লিজিং এন্ড ফিনানসিয়াল সার্ভিসেস লিঃ বরাবরে আবেদন করেন৷ এর প্রেক্ষিতে ২০০৩ সালের ২২ জানুয়ারি তার নামে ৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়৷ পরবর্তীতে ১টি টয়োটা লেক্সাস গাড়ি কেনা হয়৷ ২০০৩ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বিআরটিএ অফিস রেজিস্ট্রেশন নেয়া হয়৷ যার নং ঢাকা মেট্রো-৬-১৪-০০৯৬৷ গাড়ির লিজ সংক্রান্ত চুক্তিটি ব্যক্তিগতভাবে সম্পাদিত হলেও মাসিক কিস্তিতে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৯০০ টাকা হিসাবে ৯২ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা পরিশোধিত হয়৷ পরিশোধিত অর্থ কিউসি ফিডারস লিমিটেডের কাছে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে৷ গাড়িটির মাসিক কিস্তি হিসেবে প্রতি বছর কর প্রদানের জন্য অগ্রিম জমা হিসেবে প্রদর্শন করার বিধান থাকলেও তিনি তার আয়কর নথিতে তা উলেৱখ করেননি৷ এছাড়া দুদকের সম্পদের বিবরণীতে সাকা চৌধুরী গাড়ি দুটির সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছেন৷ উলেৱখ্য, আইন-শৃঙখলা রৰা বাহিনীর সহায়তায় গাড়ি ২টি গত ৩ ও ৪ মার্চ ২০০৭ জব্দ করে ধানমণ্ডি থানা হেফাজতে রাখা আছে৷ সাকা চৌধুরীর গাড়ি দুটি কেনার জন্য প্রাপ্ত অর্থ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন বলেই তথ্যানুসন্ধানে মনে করা হচেছ৷ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।