আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাকার বিয়ে ও কি জোর করে!!

সত্য পথের অনুসন্ধানি

বোমার আঘাতে ফজলুল কাদেরের ছেলে আহত : গুলিতে ড্রাইভার নিহত' শিরোনামে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ তারিখে দৈনিক পাকিস্তানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'কনভেনশন মুসলিম লীগ প্রধান ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলের ওপর হামলা চালালে তিনি আহত হন। গত ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১) রাতে ঢাকায় জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরী এ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান, যে গাড়িতে তাঁর ছেলে ছিল সে গাড়ির ড্রাইভার ওই হামলার ফলে নিহত হয়েছে। ' মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বশেষ হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এস এম মাহবুব-উল-আলম।

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, হত্যার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাকা চৌধুরীর গতিবিধির ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এর মধ্যে খবর আসে, সেপ্টেম্বর মাসের কোনো এক বৃহস্পতিবার দেওয়ানবাজার এলাকার বাসিন্দা ডা. ছমিউদ্দিনের মেয়ের সঙ্গে সাকা চৌধুরী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। তবে ছমিউদ্দিনের মেয়ে এ বিয়েতে রাজি নন। এক প্রকার জোর করেই তাঁকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই ডা. ছমিউদ্দিনের ছেলে আজিজ এগিয়ে আসেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে।

মাহবুব-উল-আলমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ভুঁইয়া ও শচীন্দ্রনাথ সেন ওরফে কামাল তখন হামলার প্রস্তুতি নেন। ঘটনার দিন বিকেল ৫টায় তিনজন মুক্তিযোদ্ধা গ্রেনেড, স্টেনগান ও রিভলবার নিয়ে অবস্থান নেন চন্দনপুরা পেচুমিয়া গলির ড্রেনে। সন্ধ্যা ৬টায় সাকা চৌধুরী গাড়িতে ওই বাসায় যান। আকদ পর্ব শেষ করে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে সাকা চৌধুরী গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে এলে পরিকল্পনা অনুযায়ী আজিজ সংকেত দেন টর্চ জ্বালিয়ে। মুক্তিযোদ্ধারা গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলার পাশাপাশি গুলিবর্ষণ শুরু করেন।

সাকা চৌধুরী মারা গেছেন মনে করে মুক্তিযোদ্ধারা বাড়ি ফিরে যান। এ ছাড়া নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী (২৭ নম্বর সাক্ষী) ডা. শফিউল্লাহর সাক্ষ্য বিশ্বাস করে ট্রাইব্যুনাল রায়ে উল্লেখ করেন, সাকা চৌধুরী একাত্তরে দেশে ছিলেন তা প্রমাণিত। ডা. শফিউল্লাহ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে সাকা চৌধুরী আহত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তথ্য সুত্র-দেশে না থাকা প্রমাণ করার বৃথা কসরত


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।