আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নব্য এক নাস্তিক

সকল মানুষকে আল্লাহ তা"য়ালা পরিপূর্ণভাবে দ্বীন বুঝার এবং পালন করার তৌফিক দিন। প্রিয় পাঠকবৃন্দ আমাদের দেশে সম্প্রীতি নাস্তিকতার উদ্ভট নবজাগরণ শুরু হয়েছে, যারা বিচার ব্যবস্থার বেহাল দশার ফাকতালে শত সহস্র ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রাণে চাবুক মেরেও বহাল তবিয়াতে আছে। আসু্ন আমরা যারা খাটি মুসলমান বলে নিজেকে দাবী করি, তারা সবাই আরও ঈমানের বলে বলীয়ান হয়ে এসব নাস্তিকতার বিরুদ্ধে চরম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারকে উদাত্ত আহবান জানাই যাতে আর কোন আহাম্মক এরকম আচরণ করতে সাহস না পায়। এখানে একটি বইয়ের কিছু অংশ তুলে ধরা হল যা উপন্যাসের আদলে লেখা। বইটির নাম ভাঙা মঠ।

প্রকাশক সুভাষ চক্রবর্তী, বিজয় প্রকাশনী, শ্রীখণ্ডা বিএস পাড়া, কলকাতা-৭০০১৫২, প্রকাশকাল-মে, ২০০৪। ভারতে প্রকাশিত বইটি অতি সমপ্রতি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। লেখক সালাম আজাদ। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার দামলা গ্রামে। লেখক ওই উপন্যাসে ইসলাম আর মহানবী সা: সম্পর্কে এমন সব মন্তব্য করেছেন, তা পড়লে যেকোনো বিবেকবান মানুষের অন্তরে ক্রোধের আগুন জ্বলে উঠবে।

গল্পের এক চরিত্র নূরুল হোসেনের জবানীতে সে লিখেছে- মাদরাসায় যারা এসে ভর্তি হয় শুরু থেকেই সেই ছেলেগুলো অন্যের ওপর নির্ভরশীল, পরগাছা হয়ে বেঁচে থাকে। নামাজ পড়া ও পড়ানো, আজান দেয়া, কুরআন পড়া ও পড়ানো ছাড়া এদের কোনো কাজ নেই। সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য এরা বোঝা। মাদরাসা শিক্ষাকে এরা আঁকড়ে ধরে আছে নিজেদের মধ্যযুগীয় মানসিকতা সমাজে টিকিয়ে রাখার জন্য। অজ্ঞ মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তারা জীবন নির্বাহ করে যাচ্ছে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ধরে।

ধর্ম মানুষ থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। যত দিন কোনো মানুষের মধ্যে ধর্ম থাকবে, তত দিন সে প্রকৃত মানুষ হতে পারবে না। ধর্ম হচ্ছে অশিক্ষিত মানুষের সংস্কৃতি। শিক্ষিত মানুষ যখন ধর্মচর্চা করে কপালে কালো দাগ ফেলে নামাজের জন্য মাটিতে কপাল ঠেকাতে ঠেকাতে, তাদের প্রতি করুণা হয়। তারা প্রকৃত শিক্ষিত বলে আমি মনে করি না।

যেখানে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা কম হয়, ধর্ম সেখানেই এসে দানা বাঁধে। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির তুলনায় বিজ্ঞান বিভাগে বা কার্জন হলের শিক্ষকদের মধ্যে ধর্মচর্চা বেশি। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েও বেশি হয়। মেডিক্যালের অবস্থাও একই। কী দুর্ভাগ্য, বিশ্ব যখন আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে তখন আমাদরে দেশে বোরকা, দাড়ি, টুপিতে ভরে যাচ্ছে।

(পৃষ্ঠা : ৩২) এরপর সে লিখেছে- নূরুল হোসেনের নিজের কোনো ধর্মবিশ্বাস নেই। কিন্তু যে সম্প্রদায়ে সে জন্মেছে সেই সূত্রে সে মুসলমান। মুসলমানের ধর্ম ইসলাম। আর ইসলামের প্রবর্তক মুহাম্মদ। কী অদ্ভুদ (অদ্ভুত) বিশ্বাস মুসলমানদের মধ্যে, মুহাম্মদের নামের সাথে একটি বিশেষ ব্র্যাকেট বন্দী শব্দ ব্যবহার না করলে নাকি পাপ হয়।

... মহিলারা নিজেরাই ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতেন। অর্থ লোভে এ রকম একজন ধনবান নারীকে মুহাম্মদ প্রথম জীবনে বিয়ে করেছিলেন। শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ মক্কা নগরীকে মুসলমানেরা বলে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ বা চরম অন্ধকারের যুগ। মুহাম্মদ মুসলমানদের সে রকমই শিক্ষা দিয়েছেন। যার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।

মুহাম্মদ ব্যক্তিগত জীবনে কতটা অসৎ ছিলেন তার নানা রকম উদাহরণ রয়েছে। তিনি যা করতেন আল্লাহর দোহাই দিয়ে করতেন। আল্লাহর কাছ থেকে তার কাছে ওহি বা বাণী এসেছে, এ রকম বলে তিনি সব রকম অন্যায় করতেন। এমকি নিজের কাম ক্ষুধা নিবৃত্ত করার বিকৃত প্রয়োজনও তিনি ওহির দোহাই দিয়েই করতেন। (ভাঙা মঠ, পৃষ্ঠা : ৪৩-৪৪)।

এরপর সালাম আজাদ আরেক স্থানে লিখেছেন- মুসলমানেরা যে কুরআনকে তাদের ধর্মগ্রন্থ বলে বিশ্বাস করে সে কুরআনের ইতিহাস কি মুসলমানদের জানা আছে? প্রতিটি মুসলমান বিশ্বাস করে কুরআন আসমানি কিতাব। স্বয়ং আলস্নাহ এই গ্রন্থ মুহাম্মদের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তার ভিত্তি কোথায়? আজকের যে কুরআন তা যে মুহাম্মদের দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে তারও তো কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। মুহাম্মদের মৃত্যুর অনেক পরে আরব দেশের বিভিন্ন অঞ্চল উজবেকিস্তান, তাজাকিসৱান, আজারবাইজান ইত্যাদি স্থানে ছিটিয়ে থাকা মানুষ যারা মুহাম্মদের মুখ থেকে শুনেছিলেন বলে বলা হয়ে থাকে, তাদের মুখ থেকে শোনা কথা একত্রে সঙ্কলিত করা হয়। (ভাঙা মঠ, পৃষ্ঠা : ৪৫)।

আল্লাহ আমাদেরকে এসব নাস্তিকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে চরম শিক্ষা দেওয়ার তৌফিক দিন। আমীন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।