আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাংবাদিক ও সন্ত্রাসী সমার্থক শব্দ

লেখা-লেখির মাধ্যমে দেশ ও জাতির জন্য কিছু করার মানসিকতা আছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যা পীঠের নাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি ৪৬ তম সমার্বতন পালন করতে যাচ্ছে। শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে অনেকে প্রস্তুতিও নিচ্ছেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। তাদের এই প্রস্তুতিকে আরো একটু রাঙিয়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও চেষ্টার ত্রুটি করছে না।

এ জন্য শৃংখলা বজায় রাখার ব্যবস্থাও করেছে কর্তৃপক্ষ। বরাবরের মত এবারও শান্তি শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সংগঠন রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও রেঞ্জারদের উপর। কিন্তু প্রতিটি অনুষ্ঠানে দেখা যায় সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনকারী স্বেচ্ছাসেবদের সাথে সন্ত্রাসীর মত আচরণ করে। হেন কোন অবৈধ পন্থা নেই যে তারা অবলম্বন করে না। সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে তারা ৩-৪ বার খাবার বা পুরস্কার তো নেয়ই এছাড়াও তাদের বন্ধুদের ভিতরে ঢুকতে সহায়তা করে।

এরা ভিতরে ঢুকে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। এমনই একটি কাজ করেছে এক সাংবাদিক স্টুপিড। এই সন্ত্রাসী ‌'দৈনিক আমার দেশ' পত্রিকার সাংবাদিক। কুলাঙ্গারটার নাম আসাদুজ্জামান সাগর। সে নাকি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ মার্চ সকালে। শান্তি শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত একজন স্বেচ্ছাসেবক তার কাজ সুষ্ঠুভাবে পালন করার স্বার্থে এই অসভ্য সাংবাদিককে টিএসসি'র গেট দিয়ে ঢুকতে বাধা দেয়। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবক তাকে সম্মানের সাথে ভিতরে ঢুকতে দেয়। পরে এই গুন্ডা, ইতর, বদমাইশ সাংবাদিক তার আরো ১০-১২ জন বন্ধুকে নিয়ে ভিতরে ঢুকতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক বাধা দেয়। উল্লেখ বাকী লোকগুলো কেউ সাংবাদিক নয়।

তখন এই সাগরের বাচ্চা কর্তব্যরত স্বেচ্ছাসেবকের গায়ে হাত তোলে। তাকে মারতে থাকে আর বলতে থাকে আমাকে চিনিস? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের গাউন বিতরণকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হয় তার জন্য এই ননসেন্স সাংবাদিকরাই দায়ী। আরো কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক এসে যখন বলে আমরা প্রক্টর স্যারের কাছে বিচার দিব। তখন এই সন্ত্রাসী বলে প্রক্টরকে গণার সময় নেই। ওইসব প্রক্টর আমার বালও ছিড়তে পারবে না।

আমি ভিসি'র ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। এভাবেই প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই সাংবাদিকগুলো। প্রতিটি হলে এরা ফ্রি খায়। আর কিছু বললেই পত্রিকায় রিপোর্ট করার হুমকি দেয়। ক্যাম্পাসের অন্য ছাত্রদেরকে এরা মানুষ মনে করে না।

এসব স্টুপিডদের মুখে হিসু করা উচিত নয় কি? তবে প্রকৃত সাংবাদিকদের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। ভাল সাংবাদিকদের সব সময় অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করে যাব। আমি খুবই দুঃখিত যে কাক হয়ে কাকের মাংস খেলাম। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.