আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্থনৈতিক অধিকারহীনতা

একা আমার জীবন বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, তেলের দাম বাড়ছে, ঢাকাবাসীরা কাঁপছে; এখনো সঠিকমতো বাড়েনি, এখনো আপনাদের টাকায় আপনাদের ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে; আসল দাম যখন নেয়া শুরু হবে তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও ঢাকাবাসীরা বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়বে না। বিদ্যুতের দাম যখন বাড়ছে, যখন আপনি কাঁপছেন বিলের ভয়ে, তখন ওরিয়ন, সামিট, খুলনা পাওয়ারের মালিকেরা সরকারের সাথে কনট্রাক্ট সাইন করে সোনার গাঁয়ে পার্টি দিচ্ছে। এ বছর ও আগামী বছরের মাঝে সরকার আরো ৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেসরকারি কর্পোরেশন গুলোর সাথে চুক্তি করেছে; যারা এসব চুক্তি করছে তারা বাংলাদেশের জন্য জায়েন্ট। চুক্তি অনুসারে তারা সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রয় করবে, সরকার আপনাদের কাছে বিক্রয় করবে। সরকার ওদের থেকে যে দামে কিনবে, আপনাকে কম দামে দেবে।

কম দামে কিভাবে দেয়? খুবই সহজ: হাসিনা, মুহিত, ড: আতিয়ার ও ফারুক তাদের বাপের দেয়া সম্পত্তি বিক্রয় করে প্রতি বছর, তাতে আপনারা কম দামে বিদ্যুৎ পেয়ে থাকেন। সেজন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ভর্তুকি কমানোর শর্তে লোন দেয়, ওরা চায় না হাসিনার সব সম্পত্তি বাংগালীদের জন্য উড়ে যাক। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কেন লোন দেয়ার সময় শর্ত দেয় সেজন্য প্রত্যেক বাংগালী ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর উপর ক্ষেপা; বেটা, আমরা লোন নিচ্ছি, আমাদের ব্যাপার। কিন্তু ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বলছে, মানব উন্নয়নের জন্য টাকা নিয়ে সে টাকা ভর্তুকিতে ব্যবহার করা যাবে না। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে 'প্রাচ্যের অস্কফোর্ডের' লোক কম; তাই তারা বুঝতেছে যে বাংলাদেশ সরকার মানুষকে যে শুধু ভর্তুকি দিচ্ছে তাই নয়, তারা ওরিয়ন, সামিট, খুলনা পাওয়ার, আবুলদেরকে আরও অনেক বড় ভর্তুকি দিচ্ছে; সব প্রাইভেট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা সরকারকে 'ওভারবিল' করে বিদ্যুতের নামে সরকারের বিরাট টাকা লুটে নিচ্ছে; তাদের বিল দিতে গিয়ে সরকার লোনের টাকা ব্যবহার করছে, মানব উন্নয়নের জন্য কিছু থাকছে না।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।