আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্থনৈতিক শুমারি হবে

দেশের অর্থনৈতিক খাতগুলোর বাস্তব অবস্থা জানতে দেশব্যাপী পরিচালিত হবে তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৪ কোটি টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। এই শুমারির মাধ্যমে সময়ের ব্যবধানে অর্থনৈতিক খাতগুলোর কাঠামো-গত যে বিবর্তন ঘটেছে, তা চিহ্নিত করা হবে।

এর পাশাপাশি এসব খাতে মানসম্পন্ন উপাত্ত ঘাটতি দূরীকরণসহ নমুনা জরিপের পরিকল্পনা কাঠামো প্রণয়ন করা হবে। এ ছাড়া উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়ক তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এটিসহ গতকালের একনেকে মোট এক হাজার ৯৫৮ কোটি টাকার সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

আর প্রকল্পগুলো দেশজ অর্থে বাস্তবায়ন করা হবে। ১৩ লাখ মৎস্যজীবীর জন্য পরিচয়পত্র প্রদানে ৮৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় ৬৪টি জেলার ৪৮২টি উপজেলার মৎস্যজীবীদের এই পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩০ কোটি টাকার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প; স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩৪০ কোটি টাকার বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৪৫ কোটি টাকার সাহেববাজার থেকে গৌরহাঙ্গা মোড় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্প; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৪০ কোটি টাকার এক্সটেনশন অব এভিয়েশন ফুয়েল (জেট-এ১) হাইড্র্যান্ট সিস্টেম অ্যাট হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট প্রকল্প এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক হাজার ২২৪ কোটি টাকার অগমেন্টেশন অব গ্যাস প্রোডাকশন আন্ডার ফাস্ট ট্র্যাক প্রোগ্রাম (সংশোধিত) প্রকল্প। একনেক সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।