আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে যেখানে আছি ভাই , ময়মনসিংহ বিভাগ চাই

তুমি আমি আমরা ...... আনন্দের কাছে পুরো ব্যাপারটাই মুভির মতো মনে হচ্ছে । সে চূড়ান্ত বিস্ময়ে দেখছে ঠিক বেলা ১২ বাঁজার সাথে সাথে শহর জুড়ে বাঁশির আওয়াজ , আর সঙ্গে সঙ্গে সারা শহরের সব মানুষ যে যার কাজ ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এলো । সকল যানবাহনের চাকা মুহূর্তেই বন্ধ । স্কুল কলেজের শত শত ছাত্র- ছাত্রী রাস্তায় দাড়িয়ে , তাদের সাথে আছে তাদের টিচাররা । ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান ফেলেই বেরিয়ে এলো ( চোরের ভয় একবারও কেউ করলো না !! ) তাদের কারও কারও হাতে পোস্টার , লিফলেট ।

সবার চেহারায় কিছু একটা প্রত্যাশা । আনন্দ সবক্ষেত্রেই একটা ব্যাপার খেয়াল করেছে , সকল লিফলেট পোস্টার স্লোগানে একটাই কথা – ‘’ যে যেখানে আছি ভাই , ময়মনসিংহ বিভাগ চাই ‘’ । এভাবে ঠিক ১০ মিনিট । তারপর আবার বাঁশির আওয়াজ । আবার যে যার কাজে ফিরে গেল ।

আনন্দ ক্লাস ফাইভ এ পড়ে, সে অনেক কিছু জানে কিন্তু এমন অদ্ভুত ব্যাপার সে আগে জীবনে দেখেনি ,শুনেও নি। ঘটনাটা তার কাছে রহস্য রহস্য লাগছে ! তিন গোয়েন্দার কিশোর পাশারও এর রহস্য ভেদ করতে খুব কষ্ট হবে ! আনন্দ বাবার পাঞ্জাবীর কোনায় টান জিজ্ঞাস করলো –‘’ বাবা ; সব মানুষ রাস্তায় বের হয়ে আসলো কেন ? ‘’ বাবা মাথা উচু করে জবাব দিল – ‘’ আমরা সবাই এইখানে দাবী আদায়ের জন্য জড়ো হয়েছি । ‘’ আনন্দের মাথায় হাজার প্রশ্ন কিলবিল করছে । সে বাবাকে আবার প্রশ্ন করতে যাবে এমন সময় বাবা বলল ‘’ আমি জানি তোর মনে এক্ষণ অনেক প্রশ্ন ,আমি তোকে ইচ্ছা করেই এই আন্দোলনে আমার সাথে নিয়ে এসেছি , যাতে তুই সব কিছু দেখতে পারিস । চল আমরা এক্ষণ বিখ্যাত মুকুল দার চায়ের আখড়ায় যাব ।

ওইখানে অনেক বড় বড় মানুষ আছে । তাদের কথা শুনবো । তাহলেই তুই বুঝতে পারবি কেন এই দাবী ! আনন্দ বাবার সাথে মুকুলদার চায়ের আখড়ায় গেল । এইখানেও তার চক্ষু ছানাবড়া । শুধুমাত্র চা খাবার জন্য এতো বড় লাইন! বাবা তাকে নিয়ে পাশের একটা ছাউনিতে ডুকলো , সেখানে অনেকেই আছে ।

বাবাকে দেখেই একজন বলে উঠল – আরে ইলিয়াস ভাই , আসেন আসেন , কি খবর , সাথে কে , আপনার বাচ্চা নাকি ? ‘’ আনন্দ সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলো – ‘’আমি বাচ্চা না , আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি ‘’ , লোকটিসহ সবাই হেসে উঠল , তিনি তাড়াতাড়ি করে চশমা মুছে আবার পড়ে বলল –‘’ ওহহ সরি , আমার চশমায় ময়লা জমে ছিল তাই বুঝিনি , তুমি তো আসলেই বাচ্চা না ,অনেক বড় ! কি নাম তোমার ? আনন্দ এইবার হেসে উত্তর দিল –‘’ আনন্দ ‘’ , বাবা পরিচয় করিয়ে দিলেন , ‘’ ইনি তোমার মুরতুজা চাচা, ইয়া বড় ব্যারিস্টার ‘’। পাতলা করে একজন মহিলা বলল –‘’ ইলিয়াস ভাই ছেলে আপনার খুব স্মার্ট , সে ও আজ দাবীতে যোগ দিয়েছিল বুঝি ! বাহ.. ‘’ বাবা বলল – জী জেসমিন আপা , নিয়ে আসলাম ‘’( আনন্দ এই আন্টিকে চিনে, তিনি সমাজকর্মী, মাঝে মাঝে বিভিন্ন মিছিলে ইনাকে স্লোগান দিতে দেখা যায় । ) --‘’খুব ভাল করেছেন , অনেকেই আছে , সন্তানদের কোনকিছুতেই জড়াতে চায় না, যেন তাদের কাজ শুধু পড়াশুনা কিন্তু যে কোন বিষয় সকলের মতো পরিবারের সকল সদস্যদের জানার অধিকার আছে । ‘’ আনন্দ বলল – ‘’ আমিও সব জানতে চাই । তারপর স্কুলে গিয়ে আমি আমার বন্ধুদের সব জানাব ।

‘’ পাশের চেয়ারে বসা ধবধবে সাদা চুলের একজন মানুষ ( আনন্দ পরে জেনেছে তার নাম প্রফেসর হানিফ , ইনি মস্ত অঙ্কবিদ , মুখে মুখে অংক করে ফেলতে পারেন ) প্রত্যয়ী গলায় বলল ‘’ তুমি অবশ্যই সব জানবে , এইটা তোমার অধিকার । এইবার বোলো তুমি কি জানো এই দাবী টি ঠিক কি নিয়ে ? আনন্দ উত্তর দিল ‘’ না, আমি ঠিকমতো বুঝতে পারছি না । কি নিয়ে এই দাবী , চাচা ?’’ হানিফ চাচা গায়ের চাদর খানা ভালভাবে গায়ে জড়িয়ে বলতে লাগলো--‘’আমাদের প্রধান দাবী ময়মনসিংহকে বিভাগে উন্নীত করা । আরও কিছু দাবী আছে। দাড়াও , কালাম ,( মুকুলদার অ্যাসিস্ট্যান্ট ) সব লিফলেট মনে হয় বিলি করা শেষ, কিছু লিফলেট প্রেস থেকে নিয়ে এসো আমি আনন্দ কে দিব , চাচার কথা শুনে কালাম মামা লিফলেট নিয়ে আসার জন্য বাইরে চলে গেল ।

আনন্দ আবার জিজ্ঞাস করলো , ‘’ সরকার কেন ময়মনসিংহ কে বিভাগ করবে ? আমাদের হাতে কি কি যুক্তি আছে ? --‘’ বাহ ; এইটা খুব সুন্দর প্রশ্ন , আনন্দ । তবে উত্তরের আগে আমাদের জানতে হবে এই ময়মনসিংহকে । আচ্চা আনন্দ , তোমার জন্মদিন কবে ? -২৪ নভেম্বর ,১৯৯৯ । - তোমার মতো ময়মনসিংহেরও জন্মদিন আছে ! আর ময়মনসিংহের জন্মদিন ১৭৮৭ সালের পহেলা মে । তোমার যেমন ২টি হাত , তেমনি ময়মনসিংহ এর ১২ টি হাত ।

এই হাত গুলাকে বলা হয় উপজেলা । তাদের নাম- ১.ময়মনসিংহ সদর, ২.ত্রিশাল. ৩. গৌরিপুর, ৪. মুক্তাগাছা, ৫. ফুলপুর, ৬. হালুয়াঘাট, ৭. ভালুকা, ৮. ফুলবাড়ীয়া, ৯. গফরগাঁও, ১০.ঈশ্বরগঞ্জ, ১১. নান্দাইল, এবং ১২.ধোবাউড়া । আনন্দের চোখ চকচক করছে । নতুন কিছু সে জানতে পারছে । প্রফেসর হানিফ চাচা বলে চলল –‘’আমাদের সবার শরীরে যেমন ২০৬ টি হাড় আছে ,তেমনি ময়মনসিংহের শরীরে ২৭০৯ টি হাড় আছে ! এই হাড় গুলোকে বলা হয় ‘’গ্রাম ‘’,হাড় ছাড়া যেমন আমরা অচল তেমনি গ্রাম ছাড়া বাংলা অচল , তা সব হিসাব মিলিয়ে বলা যায় ময়মনসিংহ মোট আয়তনে প্রায় –প্রায় ৪৭৮৭ বর্গমাইল ! আনন্দ অবাক হয়ে বলল – ময়মনসিংহ এত্ত বড় ! --হুম ,এত্ত বড় ! এইখানে কত লোক বাস করে জানো ? প্রায় ৪৪,৩৯,০১৭ জন যার ভিতরে ৫০.৬২% পুরুষ এবং ৪৯.৩৮% নারী ।

সমানে সমান । আরও মজার কি জানো যদি তুমি ময়মনসিংহ কে ভেঙ্গে ভেঙ্গে লেখ তবে হয় my-men-sing মানে আমার মানুষেরা গান গায় । উদাহরণ মৈমনসিংহ গীতিকা , মজার না ! -- চাচা , অনেক মজার ইনফরমেশন পাচ্ছি । --তাছাড়া সারা দেশ জুড়ে ময়মনসিংহ কে বলা হয় ‘’ শিক্ষা নগরী ‘’ ,কারন এইখানে আছে ২টি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় যাদের মধ্যে একটি উপমহাদেশের সেরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , মেডিকেল কলেজ ২ টি ( সরকারী ১ টি,অন্যটি বেসরকারী), কলেজ ৬২ টি ,চারুকলা ইন্সটিটিউট ১ টি , ১ টি ক্যাডেট কলেজ ( মেয়েদের জন্য সর্ব প্রথম ) মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৭৬ যার ভিতরে আছে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল( প্রতিষ্ঠা -১৮৫৩) , বিদ্যাময়ী স্কুল , ল্যাবরোটরী স্কুল , মুকুল নিকেতন ইত্যাদি । তাছাড়া দাখিল মাদ্রাসা ২৯৫ টি , কারিগরি মহাবিদ্যালয় ১ টি ।

সহ আরও অনেক । কথার মাঝখানেই মুকুলদা তার বিখ্যাত চা দিয়ে গেল । চায়ে চুমুক দিয়ে আনন্দের মাথা আউলা । চা এত্ত স্বাদের হতে পারে! অসাধারন ! জেসমিন আন্টি বলল – ‘’প্রাচীন এই জেলা মুক্তিযুদ্ধেও প্রশংসনীয় ভুমিকা পালন করে, ঠিক না? ‘’ এইবার মুরতুজা চাচা বলল – ‘’ হুম একদম ঠিক । ১৯৭১-এর ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরুর অব্যবহিত পরে ময়মনসিংহের সংগ্রামী জনতা খাগডহর তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প ঘেরাও করে এবং বাঙ্গালী ইপিআর সদস্যদের সহায়তায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।

এ যুদ্ধে ইপিআর সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের ড্রাইভার পুত্র আবু তাহের মুকুল শাহাদৎ বরণ করেন। মূলতঃ এই যুদ্ধের পর পরই ময়মনসিংহের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত সীমান্ত ফাঁড়িগুলি বাঙ্গালী বিডিআরদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। নিহত পাক সেনাদের লাশ নিয়ে ময়মনসিংহবাসী বিজয় মিছিল করতে থাকে ও ধৃত অন্যান্য পাকসেনাদের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলখানায় প্রেরণ করা হয়। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এক সকালে পুরাতন বিডিআর ভবনের ৩য় তলার শীর্ষে হাজার হাজার লোকের জয় বাংলা ধ্বনির মধ্যে বাংলাদেশের নকশা খচিত পতাকা পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক কমান্ডার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মোঃ সেলিম সাজ্জাদ। ‘’ পিছনের দরজা দিয়ে হটাত আরাফাত কাকা আসলো,তিনি পেশায় সাংবাদিক; বাসায় মাঝে মাঝে আসে, তিনি এসেই বলা শুরু করলো – আমাদের দর্শনীয় জায়গা গুলা কিন্তু ময়মনসিংহ কে আরও অন্য এক সুন্দরের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ।

‘’ আনন্দ কি যেন মনে করে বলল – ‘’ আমাদের এইখানে তো মুক্তাগাছার রাজবাড়িও আছে , ওইখানের সুস্বাদু মণ্ডা !ইশ জিবে জল এসে পড়ল !’’ জেসমিন আন্টি হেসে বলল – ‘’ হুম , শুধু তাই না এইখনে আছে শশী লজ , লোহার কুঠির নামের আলেকজান্ডার ক্যাসেল , ব্রহ্মপুত্রের অপার দৃশ্য ,বীরাঙ্গনা সখিনার মাজার,আঠারোবাড়ি জমিদার বাড়ি, গৌরিপুরে রাম গোপালের জমিদার বাড়ী , ত্রিশালে কবি নজরুল এর কাজীর শিমলা গ্রাম । আরও মজার তথ্য হল ভালুকা শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে হাতিবেড় নামক একটা গ্রাম আছে , সেখানে বর্তমানে কুমিরের একটা ফার্ম আছে । বর্তমানে এ খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে কুমির আছে ৮শ’টির বেশি ! আনন্দ অবাক হয়ে বলল – ‘’ সত্যি !! ‘’ বাবা আমি যাব ‘’ , বাবা মুচকি হেসে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাল । এরই মধ্যে কালাম মামা লিফলেট নিয়ে হাজির। তিনি আনন্দের হাতে এক কপি তুলে দিলেন ।

আনন্দ লিফলেট হাতে নিয়ে পড়তে লাগলো । প্রধান দাবী গুলো হল -- ১. ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ,জামালপুর ,শেরপুর ,নেত্রকোণা ,কিশোরগঞ্জ, ভৈরব এই সাতটি জেলাকে নিয়ে ময়মনসিংহকে বিভাগে উন্নীত করতে হবে। ২. ময়মনসিংহ পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করতে হবে। ৩. ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। ৪. ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড স্থাপন করতে হবে।

৫. আনন্দ মোহন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করতে হবে। ৬. ঢাকা-ময়মনসিংহ-তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতু দ্বৈত পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন স্থাপন করতে হবে। এই রুটে আরও ট্রেন চালু করতে হবে। ৭. বৃহত্তর ময়মনসিংহের সকল সড়ক ও রেলপথের মেরামত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। ৮. ময়মনসিংহ স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে।

৯. ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের নতুন ভবনের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে। ১০. বাইপাস সড়ক সমূহের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন ও কেওয়াটখালি রেলব্রীজের নিচ দিয়ে যান চলাচল এর সমস্যা দূর করতে হবে । আনন্দ পড়ছে আর শুনতে পাচ্ছে আরাফাত কাকা উত্তেজিত হয়ে বলছে ‘’ লক্ষ্য করুন ইলিয়াস ভাই , বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে বলেছিলেন যে, আমরা আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ময়মনসিংহকে বিভাগ ঘোষনা করব। এখন তিনি ক্ষমতায়। কিন্তু তাঁর প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতি ই রয়ে গেছে।

মুরতুজা চাচা বলল ‘’ শুধু তাই না সম্প্রতি বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ ময়দানের এক জনসভায় ঘোষণা দিয়েছেন ময়মনসিংহকে বিভাগ বানানোর দাবিতে তিনিও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেছেন , ‘‘ময়মনসিংহবাসীর প্রাণের দাবী, ময়মনসিংহকে বিভাগ ঘোষণা করা। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, ইনশাল্লাহ বিভাগ করা হবে। নারায়ণগঞ্জ এত ছোট শহর, সেটা সিটি করপোরেশন হয়েছে। ময়মনসিংহ এত বড় শহর, এটা সিটি করপোরেশন করা হয় নাই।

কেন? আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, সিটি করপোরেশন করতে এই সরকারকে বাধ্য করবো। আর তারা যদি না করে তবে আমরা করবো। ’’ হানিফ চাচা বলল ‘’ এইটাই চরম হতাশার , আমাদের বার বার মিথ্যা আশ্বাস দেয়া হয় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না । প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা রক্ষা করা তাদের জন্য ফরজ । এইবার আমাদের দাবী মানতেই হবে ।

মুকুলদা চা বানাতে বানাতে বলল – ‘’ সকল দিক দিয়াই অনেক আগেই ময়মনসিংহ কে বিভাগ করা দরকার ছিল, কিন্তু হয় নাই , এইবার দাবী কি শেষ পর্যন্ত আদায় হবে স্যার !! ‘’ এতক্ষণে বাবা কথা বলে উঠলো , আবেগ মাখা গলায় বলল ‘’ মুকুলদা দাবী আদায় হবে । এইবার অবশ্যই ময়মনসিংহ বিভাগে উন্নীত হবে , কারন সর্ব স্তরের সবাই এইবার এক সত্তা হয়ে এই ন্যায দাবির পক্ষে লড়ছে , আমার আরও বেশি ভাল লাগছে আজকের তরুণরা সবচেয়ে বেশি আগ্রনী ভুমিকা পালন করছে । সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র –ছাত্রীরা ময়মনসিংহের জন্য কাজ করছে । ফেইসবুক , টুইটার সহ সকল সামাজিক সাইটে তারা তাদের দাবী জানিয়ে যাচ্ছে । জনমত তৈরি করছে ।

এমনকি কাল আমার একজন ছাত্র ইংল্যান্ড থেকে মেইলে জানাল , তারা সেখানেও ময়ম্নসিংহ কে বিভাগ করার দাবীতে সেমিনার করেছে । হানিফ চাচা উল্লাসের সাথে বলল – ‘’ঠিক বলেছ ইলিয়াস ;সব পেশার সব মানুষের সাথে আমাদের যুব সমাজও যখন এক হয়েছে , তাহলে এইবার আর ঠেকায় কে ময়মনসিংহকে বিভাগে উন্নীত করা থেকে আনন্দ ফট করেই চীৎকার করে বলে উঠলো – ‘’যে যেখানে আছি ভাই , ময়মনসিংহ বিভাগ চাই ‘’, তার গলার সাথে মিলিয়ে আবার সবাই একসাথে বলে উঠলো ‘’যে যেখানে আছি ভাই , ময়মনসিংহ বিভাগ চাই ‘’ মুকুলদা আবার চা নিয়ে হাজির । সবার সাথে আনন্দও তৃপ্তির সাথে চায়ে চুমুক দিল । (-- মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত ) ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.