আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাস্টবিন কিংবা বঞ্চিতের প্রলাপ

পড়ন্ত জীবন কেবল মনে রাখে বিদায়ের শব্দবিন্যাস! জয়নুল, আঁকাতেই ঠাঁই পেয়েছিলাম কোনো আর্ট গ্যালারিতে । তোমরা যারা সেই ছবি দেখেছ, তারা কেবল করুনা করেছ সেই দুর্ভিক্ষ পিরিত মানুষদের । হ্যাঁ, তোমরাই ব্যবহার করেছ আমায়। তোমরা শবের সাদা থান কিনতে না পেরে আমায় শবের ভার দিয়েছ আর আমিও অবুঝের মতো মাথা পেতে নিয়েছি! শেয়ালে, কুকুরে খেয়েছে তাদের, আমার কিছুই করার ছিলো না । এখনো নেই ।

কখনো কাক, শকুনেরা বসেছে আমার দেয়ালে আর, সব শবদের ছিড়ে ছিড়ে খেয়ে পরিষ্কার করে আমার পাকস্থলি! আমি-ই সেই ডাস্টবিন, তোমাদের বাসা-বাড়ির এঁটো কিংবা কুমারি জননীর অবৈধ সন্তান ফেলে রাখার শেষ আশ্রয়…… কিংবা মরা বিড়ালের ছানা, মরা বয়লারের শেষ আশ্রয় । সারাদিন তোমরা আমার পেটে ঠেসে দাও আবর্জনার পাহাড় আর আমি বোবা কালার মতো সব সহ্য করে যাই…! সারাদিনে আমি বার কয়েক হাসতে পারি… হ্যা, হাসতে পারি ! যখন তোমরা পাশ দিয়ে হেটে যাও নাকে রুমাল দিয়ে কিংবা আমার পাকস্থলিতে লোহা লক্করের আবর্জনার উপস্থিতি টের পেয়ে টোকাইয়ের অট্ট হাসিতে… আর দুঃখ! সে আমি পাই না । পাবার কথাও নয় । তবে মাঝে মধ্যে মন খারাপের ব্যপার ঘটে যখন আমার পকস্থলি হাতরে বের করে আনে হাত, পা ভাঙ্গা পুতুলের অবশিষ্ট মনে হয়, আমাকে অবহেলা করার যে ধৃষ্টতা তোমরা দেখাও তার একই পরিনতি হয়েছিলো এই পুতুলের সাথে…! তোমরা ভেবোনা তোমাদের উচ্ছিষ্টে আমার পেট ভরে এসেছে আসছে বর্ষায় ছড়িয়ে দেব সব । রাস্তায়, নালায় কিংবা ফুটপাতে তোমাদের আশির্বাদ করবো… মনে করিয়ে দেব আমি আছি জয়নুলের ক্যানভাসে ।

আছি বাতাসে মিশে থাকা ধূলি বা জীবানুদের সাথে মাখামাখি করে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।