আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পঞ্চ পাণ্ডবের স্ট্যাটাস কাব্য...

আকাশ ভরা গাঙচিল ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনেক ঘটনা ঘটে যায়। সে সব ঘটনার মেক্সিমাম অংশ কেউ ধরতেই পাড়ি না। লাইক আর কমেন্ট দিয়ে ভাললাগা জানাই। কিন্তু এই লাইক আর কমেন্ট কখনো কখনো সুরের মূর্ছনা তুলে সুর লহরী বইয়ে দেয় স্ট্যাটাসের পরিধি পেড়িয়ে মনের অনেক গহীনে, সেখানেই তৈরি হয় এই সব মন মাতানো কাব্য সম্ভার। সে সব কবির কবিতার প্রতি ভাললাগা রেখেই আজ আবার আমাদের স্ট্যাটাস কাব্য নিয়ে এলাম; যেখানে রেগুলার নীরব, ডেমন আর নোমান ছাড়াও যোগ দিয়েছে শশী আর তাসনুভা আখতার রিয়া।

স্ট্যাটাসে কাব্য যুদ্ধ চলেছে ২ দিন ব্যাপী। এখনো চলছে, আগামীতেও চলবে আশা রাখি। তাহলে শুরু করি। প্রথম স্ট্যাটাস দিলাম আমি- কি রেখে গেলে আলিঙ্গনে মায়াময় আবেশ চারি কোণে ভালবাসি জেনো সযতনে সাজিয়ে রেখেছি আমি গোপনে প্রেমেরই ঐ মন্দিরে তাকিয়ো তুমি দু'নয়নে... দিমুন চলে এলো সাথে সাথেই। সে লিখল- কষ্ট ভয় রিক্ত জয় প্রেম পথভ্রষ্ট হয় আবার লিখল- অথর্ব প্রেমিকের আকুতি শুনিলাম গোপনে যে নষ্ট করিতেছে ভালোবাসার বীজ।

আমি বললাম- ভাল থাকি ভালবেসে এই ভাল কষ্ট দূরে রেখে দিমুনের জবাব- কষ্টের ভয়ে আগলে রাখা অপরিমেয় অনুভূতি এটাই হয়তো নিয়তি বলে, এটাই জগত রীতি। আমি বললাম- আবার অন্ধকারে ঘোর লাগা নির্জন বিকেলে কে তুমি শেখালে মায়া ভেবে দেখি তুমি নও মায়া আমারই অন্তরে সে তুমি আমারই কায়া এর মাঝেই কাব্যের গন্ধ পেয়ে গেছে নোমান ভাই। পরের কবিতা ছিল তার- অস্তিত্বের সম্ভাষনে কি রহস্য একবার যদি দেই সাড়া বোকা নিরীবতা তিনবার দেয় তাড়া। দিমুনের নাইস একটা কবিতা- দুপুরবেলার সূর্য মাথায় দাঁড়াবে কি প্রেমের ছায়ায়? প্রতিক্ষাতেই অপরাহ্ণ ভালোবাসা পথভ্রান্ত। আমি রহস্য প্রিয়।

কি লিখি পরে নিজেই বুঝি না- ভুল সে রীতি, আজন্ম দৃষ্টি অচেনা মানুষ সে তুমি নও, তোমারই ছায়া সঙ্গিনী কবিতা যখন তুমিতে আমিতে তখন দিমুনকে আর পায় কে? তুমি ছিলে বিকেলের বৃষ্টি ক্ষনিকের আদ্রতা আমি সূর্যস্নানে ব্যস্ত শুষ্ক শীতল হাওয়া। আমি কি আর বসে থাকি? এই নিয়ে বেঁচে থাকা ছায়া হীনতায় মরীচিকা আঁকা তুমি রবে আলোতে হৃদয়ের বন্দরে ... নোমান ভাই লিখল- দূরেও মাঝে মাঝে সূর্যালোক তন্দ্রা কাটে কি এক নির্জনতায়। বুকের বৃক্ষে সবুজ ফল। লোভনীয় মৃত্যূ জলশায়। দিমুন খাইতে গেলো।

আমি আমার বুক পকেট নিয়ে বসে রইলাম- চোখ না হয় ফিরিয়েই নিলে আবেশ রেখে দিয়েছি বুক পকেটের ক্ষুদ্র হৃদয়ে বুক পকেট নোমান ভাইকেও ছুঁয়ে গেছে- এরপর একদিন তোমার বুকে বাসা বাঁধবে আমার হলুদ আবাস্থল। বিদ্যান আবেগ কেন্দ্রভুত হবে রক্তকনিকা ছুয়ে আত্নার লাল দুর্গে। আমি লিখলাম- যেতে দাও, হারিয়ে ফিরবো ক্ষণিকের আলেয়ার পিছনে ছুটে তোমাতেই আশ্রয় খুঁজবো। নোমান ভাই- কত আশ্রয়কে প্রশ্রয় দিয়ে আমি আজ ভীষন আশ্রয় কাতর। পাহাড়ী অভিমানে আশ্রয় ভাসালাম।

বাকিটাতে তোমার চোখ ভাসালাম। আবার- বিদায়ে দগ্ধ করে আবার করেনা। সংশয়ের হলুদ বিকেলে স্বপ্ন থাকে না। থেকে যায় বিদায়ের আগুন। দিমুন চলে এসেছে।

ওর এতো দ্রুত খওয়া দেখে নুমান একটা কথা বলেছিল। আমি বললাম না, দিমুন দেখি নুমানের পেট থেকে বের করতে পাড়ে কি না!!! ভালোবাসায় দৈনতা কি তোমার কখনো ঘুচবে? দুচোখ ভরা মায়ার বাধনে আমায় বাধবে না? আর কতটা চাইলে তোমায় একটু পাওয়া যাবে? আর কত প্রেম পুড়ালে প্রেম পূর্ণতা পাবে? আমি না কি মেরিল লিপজেলের এড দিচ্ছি!!! তবে এই এড যে ১৮+ এ গিয়ে ঠেকবে, এটা সব লুল একত্রে হলেই কেবল সম্ভব। শীত শুষ্কতায় ঠোঁট ফেটেছে নিও না সেখানে কোমল ঘ্রাণ বিষাক্ত দৃষ্টিতে চোখ পুড়েছে পেতোনা সেখানে করুণ প্রাণ ঘৃনার বুকে পুস্প ছিদ্র এভাবে জন্ম নেয় বিদ্রোহ। সুস্ঠু সম্ভাষনে আকাশ ছোঁয়ায় ঘুমটে রাগ বাগানে পোকা ফলায়। (নোমান ভাই) চুম্মা (সুদ্ধ ভাষায় কিস ) নিয়ে কেউ ১৮+ লিখতে পারল না।

তাই বলে কি আমাদের ১৮+ সাহিত্য লেখা হবে না? কে বলে? দিমুন থাকতে সবই সম্ভব। দিমুন পাড়ে না এমন কিছু কি আছে? অধরের তিল ছুঁয়ে দিয়ে এক নিশিত রাতের কাব্যে তুমি মিশে আছো গহীনে কোথাও কারো পরম আরাধ্যে অতিদূর থেকে কবিতারা ডাকে জোনাক জ্বলা পথে সে পথে নাকি পিদিমের শিখা নিভু নিভু সূরে ডাকে। এটা কি চুম্মা কাব্য? আমি আবার একটু বেশি রুমান্টিক, রোদ্দুরে আঁকা মেঘের ছবি আকাশ ভরা তারার পানে কি দেখে লজ্জা পাও চোখ ভিজিয়ে আমায় ভাবো মেঘের সাথে আড়ি করো। চুম্মা নিয়ে নুমান ভ্রাতা কিছু না কিছু লিখবেই- মুঠোফোনে একটি চুমু তোমায় ঘুম পাড়িয়ে দেয়। আর আমার ঘুম কেড়ে নেয়।

আমি বাদ যামু ক্যা? চুমুর রসায়নে ব্যাকটেরিয়া নাচে উষ্ণ ঠোঁটে তাপমাত্রা বাড়ে ঠোঁট মিলিও না ঐ ঠোঁটে সেথায় পড়শির মৃত্যু থাকে ভীষণ লুকিয়ে নোমান ভাই এইবার লোসনের এড করে গেলো- শীত চাদরে কি অপরুপ লোশন যেন তুমি। চুমুবিহীন দীর্ঘশ্বাসের ওজন ক্যমনে মাপি? এইবার একটু পচানো হল একে অন্যকে রূপকথা শুনে ঘুমিয়েছি আমি রূপকথার এক দেশে রাজকন্যে এসেছিল পরে আমার ঘুমের মাঝে বালিশ চাদর ছেরে উঠে দেখি অনেক বড় আমি রাজকন্যে হারিয়ে গেছে পাশে আছে রানী। (দিমুন) পঁচা আঁধারে কাটলো স্বপ্ন। আলোটুকু তোর জন্য। ভেজা কামনার নিরাপদ অংশ কেবল আমিটাই উচ্ছিষ্ট।

(নোমান ভাই) রানির পাশে চ্যাংরা পোলা রাত ঘুমিয়ে সকাল বেলা প্যান্ট খুঁজে হাতরে বেড়ায় রানির মুখে হাসির ঝলক দেখা যায়। (আমি, দিমুনকে নিয়ে লিখলাম) ভিজে গেলি রাত্রি দুপুর বিকেল বেলা ক্লান্তি সকল ভাবনায় থাকে একটি বিষয় ভেজা প্যান্ট শুকাবে কখন? ( এইবার ভেজা ভাইকে নিয়ে) এই স্ট্যাটাস কাব্য নিয়ে পোস্ট কে দিবে এটা নিয়ে এক চোট কাব্য ছুরাছুরি হল। ওদের থামাতেই আমি নতুন করে শুরু করলাম- ক্রোধের অনলে পুড়তে গিয়ে বাতাস দিলে আগ বাড়িয়ে পচা গন্ধে খোলস খুলে হাসলে তুমি খিলখিলিয়ে প্রশান্তির একটি চোখ আছে। তবে দৃষ্টি নেই। নির্লিপ্ত সাহসীকতার সংশয় আছে।

তবে উপায় নেই। (নোমান ভাই) কনফিউজিং একটি আত্নবিশ্বাস। আলো আঁধারের তাফাৎ বুঝি বুঝি না কেবল দিন রাতি। (নোমান ভাই) আজ রোদেরা গেলো ছুটিতে মেঘ এ রাজ্য জুড়ে একাকী মেয়েটি হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি নামবে জোড়ে দুষ্ট বাতাস এসেছে ঘরে ছুঁয়ে দেয় তার মন ঝুমঝুমিয়ে বৃষ্টি নামে মাঠ ছাড়িয়ে বন (দিমুন) সেদিনের মতো শেষ করলাম আমিই- নির্লজ্জ হতে গিয়ে বারবার আমি তোমায় দেখি তুমি আলো, তুমি রাত্রি, তুমি সবার সকাল রাত্রি আমি তোমার ভালবাসার যাত্রী পরের গাড়িতে উঠবে বলে এড়িয়ে আমায় যাত্রী হলে কোন এক ভীষণ কালো অন্ধকারের জীবন তোমার, বিলিয়ে দিলে ঐ সব শকুন তোমার দেহে মাংশের মাঝে সুখ খোঁজে শীৎকারে তুমি হলে কেবল নির্লজ্জ এক রাত্রি আজ আবার শুরু হল। আজ যোগ দিল শশী আর তাসনুভা আখতার রিয়া।

দিমুনের স্ট্যাটাস এ শুরু- তোমার চোখে সব সময়ে অবোধ ছেলে আমি খুনসুটিতে হেরে গেলেই করো তুমি আড়ি একটা নাটাই আমরা দুজন একই সুতোর ঘুড়ি রোদ আকাশে মেঘের খাঁজে দুজন লুকোচুরি। মেঘের মাঝে জলের দেশে দেখা হয় না তোমাতে আমাতে পড়শি হইয়ো, বেঁধে দিবো সব আর্তি, করুণ জলরাশি (নীরব) জল গড়িয়ে তুচ্ছ অনুভব দিচ্ছে কি সব রাস্তা। ধুলির বুকে সন্ন্যাসি আচড় জলগুলো খুব সস্তা। (নুমান ভাই) অবেলায় কোন এক কবির লিখে যাওয়া কিছু কবিতা সারিবেঁধে চলা কিছু শব্দ হাতে হাত রেখে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে রাতে বাড়ার সাথেই বেড়ে চলে অগোছালো কবির মাদকতা শহর যেক্ষনে ঘুমিয়ে, খুন হয় কবিতারা অভুক্ত রাতের শেষে। (দিমুন) অদ্ভুত বিনয়ে তৈরী হয় স্মরনীকা।

মনে রাখার কত প্রয়াস। মরে যাওয়া আবেগের বুকে সুক্ষ দীর্ঘশ্বাস (নুমান ভাই) জানি না, জেনো না ছুয়ো না, ছোঁব না তাকিয়ে দেখো যদি কোন ক্ষমাহীন রাত জেগে থাকে ক্ষমা চেয়ে নিও, দেখা যদি আর না হয় তোমার সাথে রাতেরও অন্ধকারে!!! (নীরব) পরীক্ষা পেছানোয় শশী এখন আমাদের সাথে ফেসবুকে আড্ডা দেয়, যদিও ব্লগে আসে না। তব ঘৃণা রয়ে যায়, পোড়া বাঁশি কাঁদে হায়। তবু সে বোঝেনা, মনের ও বেদনা! প্রথম সেই দেখা সবুজ জমিন কালো পাড়ের শাড়ি পাগলা বাতাস উড়িয়ে কিছু চুল কালো টিশার্ট হাতে স্বাধের ঘড়ি রং নাম্বার প্রথম প্রেমের ভুল। (দিমুন) চমৎকার লেখে তাসনুভা আখতার রিয়া।

অভুক্ত থেকেও কবিতারা হয়না মলিন হাসে ঠোঁটের ভাজে, কবির মনের কল্পনায় নতুন করে সাজে। আবার রিয়া লিখল- ঠোটের কোনে বাঁকা একটু হাসি মুক্তঝরা দাঁত একটি পায়েল কাঁচের চুড়ি ভরা হাত এবার শশী- আমি ভালবাসি পাহাড় তুমি বাসো নদী, পাহাড়ের কাছে যদি ঋণী থাকে নদী তবে আমার কাছে তুমি! এবার বড় বড় কবিতা আসতে শুরু করেছে- একদিন এক দর্জিকে বললাম" আমি তোমাকে জয় করার সূর্যের লাল দিব, মাঠ ভরা একরাশ সবুজ দিব, আমায় একটি পতাকা বানিয়ে দিবে?? দর্জি বলল "যে পতাকা বুকে আছে সে পতাকা হবেই" আমি বললাম "তবে সে পতাক উড়বেই" (নোমান ভাই) অবাক দেখা, থাকনা ভুলের আবির্ভাব ঠোঁটে কালো তিল, চোখে লজ্জা দাগ পেছন পকেট, তাজা গোলাপ ফুল দীঘল পল্লব, কানে রূপোর দুল। (দিমুন) পাহাড়ের সবুজ তোমাকে অবুঝ করেছে আমাকে করেছে জলধারা, হ্যাঁ আমি ঋনী তোমার কাছে এবার বল তুমিও কি বাঁচতে আমায় ছাড়া? (রিয়া) মনে কর এই পৃথিবী কেবল তোর আমার হৃদস্পন্দনে ছোঁয়া এই গোধূলি তুই নিবি? আমার আলোতে বাধা রাতের টুকরো কি নিবি? আমার অরক্ষিত সত্ত্বা শুধুই তোর মিথ্যা, ঈর্ষা, ভ্রান্তি, ভয়, নেই এখানে শান্তির কোলাহলে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ সময়, ধরা ছোয়ার বাইরে সেই কল্পলোকের চাবি আমি দিতে পারি কেবলই মুঠো খুলে দেখ! (শশী) লজ্জা মাখা মুখ দুরু দুরু বুক বোকা বোকা হাসি তবু ভালোবাসি (রিয়া) তোমাতে আমার মিলেছে প্রান হয়েছে ঝর্না ধারা, পাহাড় কি তব বাঁচিতে পারে বিনে নদী হারা! (শশী) অভয় পেয়ে কালো চোখের ভাষায় এগিয়ে একটু রাঙ্গা আলোর আভায় ঠোঁটে তোমার ভয় মাখা এক হাসি গভীর প্রেমে নয়ন জুড়ে প্রেমের জলরাশি ভাবছি আমি কেমনে করবো কথা এই যে প্রথম জানিনা প্রেমের ভাষা বোকা মেয়ে বুঝেও না বুঝে কি হয় একটু ডুবলে কথার ভাঁজে। (দিমুন) কল্পলোকের চাবিটা থাক্ না কল্পলোকে, আয় না ধুয়ে দেই শুদ্ধ ভালোবাসায় এই ধরনীকে(রিয়া) রাতের বুকে দিন দুপুর। স্বপ্নের এক পায়ে রঙ্গীন নুপুর।

ছায়া শিল্পীর অনুসরন আমি একা দিচ্ছে হাঁক। প্রতিদ্ধনীর পিঠে উঠে বলছে "তোর জবার রাখ" (নুমান ভাই) শশীর অনুকাব্য- ১। আরেকবার রাত হলে ক্ষতি কি? অন্ধকারে হাত বাড়াতে অস্বস্তি? ২। আমার কোন ভুল ছিলোনা ভুল করেছ তুমি। বুক পকেটে ভালোবাসা পাওনি খুঁজে তুমি।

ঢুলু ঢুলু চোখ, ঠোঁটেতে কাপন একটা দুটো কথা, তন্দ্রা বুড়ি হাত বুলিয়ে যায় স্বপ্নে হবে দেখা। (শশী) উড়লে কালো চিল, পাখনা মেলে গগনবিদারী চিৎকারে দুর্ভিক্ষের শকুনের ন্যায় ডানা ঝাঁপটায় দুক্ষেরা মানবতার উর্বর বক্ষে দাগ কেটে চলে কলের মেশিনে সুখ সুখ বলে রুদ্ধ কন্ঠে ব্যার্থ হাহাকার নয়ন সেঁচে হয়না সুখের চাষ বিপদ হাটে সারিবদ্ধ লালপিঁপড়ার পিছে আকন্ঠ যেথা উঁচু হাসির বাস ধূর্ত তারা, সবই ছিল প্রতারণার বশে। (দিমুন) সময়ের ভিড়ে হারিয়েছে কথা স্মৃতিরা গিয়েছে মুছে, তোমার ছবিটা রেখেছিনু আমি যতন করিয়া বুকে। (শশী) স্বপ্ন ভীষন সুন্দর সাদা সাদা কেশ, তার সাথে তোমায় কিন্তু মানাবে বেশ! আর দেরি করো না তাড়াতাড়ি যাও দেরি হলে হয়তো যদি দেখা নাহি পাও (রিয়া) তোমার মাঝেই মৃত্যূকুপ, তোমার মাঝেই বেঁচে যাই। আমি একেবারেই নিরুপায়।

(নোমান ভাই) আবার নুমান ভাইএর কবিতা ভয়ের চোটে বিভক্ত অনুভুতির শক্ত দেয়াল। মুর্ছা যাবার সব ইচ্ছায় সংশয়ের নতুন খেয়াল। এইবার দিমুন তার স্বপ্ন কন্যাকে নিয়ে লিখে ফেললো আর একটা ব্যর্থ কবিতা - স্বপ্নকন্যা এসেছো এতক্ষনে? উড়ে গেলো আজ সাদা বকের ঝাঁক ডিঙ্গি নিয়ে মাঝি ফিরে গেলো তার বাড়ি শুকিয়ে গেছে কচুরি ফুলের রেনু শেষের পথে বর্ষপঞ্চিকা বিদায় নিলো একা শুকতারা পথিকের দল গেলো নিরবাসনে মায়া হরিণ হারিয়ে পথ বনে স্বপন আমার বিদায় নেয়ার ক্ষনে স্বপ্নকন্যা এসেছো এতক্ষনে? শশা শীতের দিনে বৃষ্টিতে ভিজতে চায় কেন? সেদিন বৃষ্টিতে তুমি আর আমি একই ছাতার নিচে আমি তোমায় দিয়েছিলেম স্থান নিজের শরীর ভিজে তুমিও চাইছ আমি যেন শুষ্ক থাকি, থাকে শুকনো মাথা দুজন দুজনাকে মুক্তি দিলাম বন্ধ করে ছাতা। দুজনে মিলে ভিজে গেলাম পিচ ঢালা পথের বুকে সাক্ষী রইলো দমকা হাওয়া পেঁজামেঘের সুখে এইবার রিয়া- ঐ যে দেখ একটু পর হয়ে যাবে ভোর তখন দেখবে আলোর সাথে কেটে যাবে ভালোলাগার ঘোর। রঙিন স্বপ্নগুলো সব হয়ে যাবে ফিকে, সময় থাকতে চিনে নাও আমার আমিকে।

আবারো রিয়া- তুমি জানোনা স্বপ্নবালক? ঐ মায়া হরিণের পানে ছুটে আমি হারিয়েছি পালক। আমার চোখের নিচে দেখ ক্লান্তিরা করে খেলা, পালক খুজতে গিয়েই তো কেটে গেল বেলা নোমান ভাই- অকারনে জল টলমল। অকারনে মুখ জলমল। কত অকারনেরই কারনে আমি প্রবেশ করছি তোমার নিরীহ তুমির ভুবনে। এভাবে অকারন।

দিয়ে যায় টান। শশা শেষ- রিকশাটা তবু চলেছিল ধীরে পাশ কাটিয়ে চলে গেলে একটুকু পিছু ফিরে জানিনা কি বলতে চেয়েছ, বুঝিনি তোমার চোখ বুঝেছিলেম কেবল আমার বুকে ভালবাসার ঝোঁক! (আজকের মত আমার শেষ কবতে!) শশার সুরে আমরাও বলি, আজকের মত আমাদেরও শেষ কবতে খেলা! হাহ!!! টায়ার্ড হয়ে গেলাম। সবাই মনে হয় ঘুমাইতে চলে গেছে। যাক, সব কবিতাই দিয়ে দিলাম। বন্ধু ব্লগাররা বিরক্ত হলেও কিছু মনে করবেন না কারণ এতো এতো কবিতার মাঝেও কিছু কবিতা বাদ চলে গেছে।

সে সব কবিতার জন্য খারাপ লাগছে বিধায় আপনারাও আমার এই খারাপ লাগার সাথে সামিল হন। সব কবিতা দিলাম একটা ডকুমেন্ট হয়ে যাবে বলে। বলা তো যায় না, আমরা যৌথ ভাবে নোবেল পেলেও পেতে পাড়ি। উৎসর্গঃ আমাদের সব সহ ব্লগার বন্ধুদের যারা কষ্ট করে এই কাব্য পড়লেন এতক্ষণ ধরে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।