আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পঞ্চ সগতোক্তি(পথিকের পাঁচ)

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

উঁহ! অবশেষে ...পেলাম সূত্র। প্রায় 15 দিন নানান ব্যস্তায় আর সময়ের অভাবে ব্লগে প্রায় ছিলামই না, নিয়মিত অনিয়মিতর প্রশ্নতো অনেক দূরের। দুদিন ধরে বারবার ঢু মারছি আর পোস্টাচ্ছি ...আর আটকাচ্ছিলাম বারবার পাঁচের প্যাচে। তাইতো ...সবাই আপন আপন পাঁচের প্যাচাল পাড়ছে কেন? ... কোথায় মূল সূত্র .... খুঁজতে লেগে গেলাম ....প্রায় ঘন্টাখানেক পেছনের দিকে গিয়ে 57 নং পেজে গিয়ে পেলাম ...তাও সূত্র...তারপর সাদিকের ব্লগে মারলাম ঢুঁ। সাদিক ..আমার পরিচিত সাদিক এর কর্ম এই পাঁচ....আর আমি জানিনা।

যাক জানলাম যখন --দেখি আমিও কিছু পাবলিকের অজানা আপন পঞ্চ প্যাচাল পাড়ি... ১। খাদ্য বিষয়কঃ ভীষন টক খেতে ভালবাসি । খেতাম , খাইনা যদিও আজকাল তেমন। কেন জানিনা? তবে ভালবাসি আজও। সম্ভবত এই টক এর লেজ ধরে ভাললাগা জন্মেছিল চটপটির জন্যে।

আজও খাই গপাগপ চটপটি যেখানে যখন পাই। কক্সবাজারে অলিগলিতে কিছু চটপটি ওয়ালা এক'্থদিনে আমাকে চিনেও ফেলেছে । টকের মধ্যে আরেকটা অতি পছন্দ কাঁচা আম। আমার কাঁচা আম ভক্ষণ করা দেখলে অনেকেই বিশেষ বিস্মিত হতে পারেন। ২।

প্রেম বিষয়কঃ কবিতা লেখার প্রতি অনুরিক্ততা অথবা প্রকৃতির প্রতি বিশেষ প্রীতি বুঝিয়ে দেয় নিজেকেই- মনে সৌন্দর্যবোধের উৎসরণ হচ্ছে সর্বদাই। নারীর প্রতি পূর্ণ পুরুষ মননে আমার আকর্ষনে যে কমতি নেই মোটেও অস্বীকার করিনা কখনও। কিন্তু কি আজব! জীবনে প্রেম নামক মধুর বিষয়টি আশপাশ দিয়েই দৌড়ে গেছে ...স্পর্শ করেনি কখনও। তবে একজন কে ভালবাসি ভীষন -সত্যি। নাম বলবনা।

সে এখন একা না , তার ছেলের বয়স ২ এর বেশী , ছেলের বাবার মাথায় চুল কম। ! সে কিন্তু আমাকে ভালবেসেছিল , বলেছিল। বলেছিল তো আরও অনেকেই । কিন্তু আমি যে বোবা ঐ এক ক্ষেত্রে। ৩।

সমস্যা বিষয়কঃ যতক্ষণ সমস্যা নিজেকে নকআউট না করে দেয় কাউকে বলতে কুণ্ঠা বোধ হয়। আগে বেশী হতো , আজকাল একটু কম হয়। নিজে সমাধান করতে গিয়ে অনেক বোকামী করেছি অনেক সময়। গোপন ও রেখেছি। কখনও কখনও ছদ্মাবরণ নিজের প্রথাগত চরিত্রের বিরূদ্ধচারণ সহজাত স্বভাব।

৪। কর্মপূর্ব চিন্তা বিষয়কঃ কাজ করে না ভাবার চেষ্টা করি সর্বদা। তাই বলে যে খুব ভেবে কাজ করি তাওনা। তবে পানিতে হাত দেয়ার একেবারে ঠিক আগ মুহুর্তে ওটা গরম না ঠান্ডা জেনে নেই। তবে তারপরও ভুল হয়।

একবারে ঈদের দিন সকালে তাড়াহুড়া করে গোসল করতে যাব , বুঝতে পারছি ওটা গরম পানি বালতিতে, কিন্তু ঢেলে দিলাম পায়ে...সহজে ফোসকা পড়েনা গায়ে, তাই বেঁচে গেলাম , কিন্তু জ্বলেছিল সারাদিন। তবে মাঝে মাঝে ভেবে চিন্তেও পাগলামি করি। এই যেমন ইচ্ছে করে সব ছেড়ে কক্সবাজারে পোষ্টিং চাইলাম আর চলে এলাম। আরেকটা ব্যপার ...সহজাত বা স্বাভাবিক পন্থায় ও চিন্তায় জবিন কে এগিয়ে নিতে পারিনা। যেমন কবিতা লিখি সেই কবে থেকে ..কিন্তু কাউকে অনুরোধ করিনি পত্রিকায় ছাপাতে কখনও।

৫। নিরপেক্ষতা বিষয়কঃ এই যা কিছুই বলা হলোনা ৪ টা শেষ...আসলে প্লান করে এভাবে কিছু করতে পারিনা। দেয়ালে পিঠ ঠেকলে ই জোশ বাড়ে। পড়ালেখা ওভাবেই করেছি। শেষ ৫ এ তাই হঠ্রা মনে পড়ল বলি ....সেই তিন ভাগের কথা।

মধ্য খানে নিরপেক্ষতার লাইন। ডানে শুদ্ধ ভুবন আর বামে মন্দ ভূবন। নিজেকে চেষ্টা করি পথিক হিসেবে নিরপেক্ষ সরু লাইন ধরে হাঁটাতে । মানুষ তো সব সময় পারা যায়না। কখনও ডানে ঝুকে যাই , কখনও বামে।

কিন্তু পা কিন্তু সেই মাঝখানে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।