আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একালের শাহজাহান

প্যাটে ক্ষিদা, খাওন দে বিশ্বজুড়ে প্রেমিক-প্রেমিকাদের তীর্থ তাজমহলকে (প্রাসাদ মুকুট) নিয়ে কবিতা-গান আর লেখাজোখার শেষ নেই। তাজের অপরিসীম সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন- কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল/ তাজমহল তাজমহল। আর প্রেম-বিদ্রোহের কবি নজরুল তাজকে দেখেছেন এভাবে- তাজমহলের পাষান দেখিয়াছ/ দেখিয়াছ কি তার প্রাণ/ অন্তরে তার মোমতাজ নারী/ বাহিরেতে শাজাহান। তবে অন্তরে প্রিয়া মোমতাজকে ধারণ করে শ্বেতমর্মরে তাজমহল গড়ে জগতজুড়ে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মনোজগতে সম্রাটের আসনে স্থান পাওয়া এবং বাস্তবেও পরাক্রমশালী সম্রাট শাহজাহান আজ বেঁচে থাকলে পঞ্চগড়ের হাফিজউদ্দিনের ঘটনা জেনে সম্ভবত তার কদম তলে নিজের মাথার তাজ নিবেদন করে সম্মান জানাতেন। বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে! বিশ্বাস হচ্ছে না? আসুন পঞ্চগড়ের শাহজাহান অর্থাৎ হাফিজউদ্দিনের (৮১) সঙ্গে পরিচিত হই।

দীর্ঘ ২৭ বছর স্ত্রীর কবরের পাশে কাটিয়েছেন তিনি। পারিবারিক চাপে স্ত্রীর কবর ছাড়লেও বাড়িতে ফেরেননি। গত ৬ বছর থেকে বাড়ির বাইরে কবরের আদলে তৈরি করা ঘরে অবস্থান করছেন। স্ত্রীর আত্মার সান্নিধ্য লাভের আশায় পার্থিব জগতের আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাস আর চাওয়া-পাওয়া ত্যাগ করেছেন তিনি। সহধর্মিনীর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার বেদনা বিধুর অমলিন স্মৃতিকে ধরে রাখতেই তার এই আত্মত্যাগ।

ভালোবাসার এই ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের মৃত বরকত আলী মিয়ার পুত্র হাফিজউদ্দিন (৮১) এখনও সাধনায় আছেন স্ত্রীর আত্মার সান্নিধ্যের আশায়। বিয়ের ১৯ বছরের মাথায় স্ত্রী বিয়োগে কাতর হাফিজউদ্দিন দীর্ঘ ২৭ বছর নির্জন গোরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে জীবিত লাশ হয়ে সহাবস্থানের চেষ্টায় রত ছিলেন। এমন বিরল ঘটনা পৃথিবীতে সম্ভবত এটিই প্রথম। ভালোবাসার জন্য জীবন্ত লাশ হয়ে নির্জন গোরস্থানে স্ত্রীর কবরের কাছে সময় কাটানোর কঠিন এ ব্রত সম্রাট শাহজাহানের ভালোবাসার নিদর্শনকেও হার মানিয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের ২বছর পর পারিবারিক ব্যবস্থায় বাড়ির পাশেই বিয়ে করেন।

কনে ৬ বছরের শুকুরী বিবিকে। বিয়ের পর ৭/৮ বছর স্ত্রী শুকুরী ছিলেন হাফিজউদ্দিনের মা সূর্য্য বানু বিবি’র সঙ্গে। এরপর ১৯৫৬ সালের দিকে দু’জনের সংসার শুরু হয়। প্রেম-ভালোবাসা আর আবেগমথিত রোমান্টিক জগতে অবগাহন করে হংস-মিথুনের আনন্দেই কেটে যাচ্ছিল হাফিজ-শুকুরীর সংসার জীবন। এভাবে কেটে যায় ১৯ বছর।

এরপর হঠাৎ করেই পরকালের ডাকে ইহলোক ত্যাগ করেন শুকুরী। এভাবে তার অসময়ে চলে যাওয়াকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি হাফিজ। শোকে-দুঃখে কাতর হয়ে পড়েন। বিদায়ের আগের রাতে মিষ্টি চেয়েছিলেন শুকুরী অশ্রুসিক্ত নয়নে অশীতিপর হাফিজ বাংলানিউজকে বলেন, “মৃত্যুর আগের রাতে বিবি আমার কাছে মিষ্টি খেতে চেয়েছিল। আমি মিষ্টি এনেছিলাম।

রাতে দু’জনে মিলে সে মিষ্টান্ন খেয়েছি। সে রাতে অনেক কথা হয়েছে দু’জনাতে। একপর্যায়ে হঠাৎ সে বলা শুরু করে- ‘আমার জন্য কানবেন না, আমি থাকব না। ’ এমন কথা বলে রাত গড়িয়ে পরদিনই বিবি আমার হাঁটুতে মাথা রেখে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে। ” এভাবেই চলে যান শুকুরী আর এদিকে একা ফেলে রেখে যান তারই মন জগতের প্রিয় সম্রাট হাফিজউদ্দিনকে।

শুকুরী কি দেখছেন- তার দয়িতের এ অনন্য অসাধারণ আত্মনিবেদন! দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল প্রেম ভালোবাসার স্বর্গীয় ফল্গুধারা। তার স্মৃতিচারণ করতে করতে হাফিজ বলেন, “দু’জনাতে প্রেম-ভালোবাসা যখন গভীর হয়ে উঠে, দাম্পত্য জীবনের সুখস্মৃতি মনের মণিকোঠায় স্থান করে নিতে থাকে- ঠিক তখনই বিবি আমাকে ছেড়ে চলে যান। ” কোথায় গেল তার আত্মা? ওই সময়ে হাফিজ বিলাপ করেছেন- ‘গত রাতে বিবি আমার সঙ্গে ছিল, কথা বলেছে, আজ কেন নেই। কোথায় গেল তার আত্মা?’ এর জবাব অবশ্য কেউ দিতে পারেননি। স্থানীয়রা জানান, হাফিজের বিশ্বাস শুকুরী মরতে পারেন না।

তাইতো দাফনের পরই ছুটে যান স্ত্রীর কবরে। ডাকতে থাকেন প্রিয় সঙ্গীনিকে কাতর কণ্ঠে। কিন্তু মৃত্যুসীমার ওপাড় থেকে বিবি সাড়া দেননি। দিতে পারেননি। কবরে শুয়ে সাধনা স্ত্রীর আত্মার সান্নিধ্য লাভের আশায় এবং পরজগতে প্রেমসম্রাজ্ঞী বিবি শুকুরীর সঙ্গে পুনর্মিলনে ব্যাকুল হাফিজউদ্দিন স্ত্রীর আত্মার খোঁজে একপর্যায়ে গৃহত্যাগ করেন।

পায়ে হেঁটে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জনপদ আর বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। আহার-নিদ্রাহীন অবস্থায় পাগল বেশে ঘুরতে ঘুরতে একসময় কুমিল্লার সোনাকান্দা এলাকায় এক পীরের সান্নিধ্যে আসেন। আব্দুর রহমান নামের ওই পীরের দরগায় আত্মাজগতের সন্ধানে শুরু করেন সাধনা-তপস্যা। পীরের দরগায় ৪১ দিন কবরের ভেতরে আর ১বছর ভাত না খেয়ে শুধু দুধ-কলা খেয়ে কাটিয়েছেন। একপর্যায়ে ১৯৭১ সালে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৮ সালের দিকে হাফিজউদ্দিন নিজগ্রামে ফিরে আসেন। ওই সময়ের অগ্রহায়ণ মাসের ২ তারিখ হাফিজউদ্দিন স্ত্রীর কবরের পাশে গিয়ে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত একটানা ২৭ বছর স্ত্রীর কবরের পাশে ছাপরা ঘর তুলে বসবাস করেন হাফিজউদ্দিন। ওই দীর্ঘ সময়ে বনজঙ্গলে ঘেরা নির্জন কবরস্থানে বাঘ, সাপসহ হিংস্র জীবজন্তুর ভয়ভীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ তার ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়েছে। অথবা বলা যায়, ওইসব দুর্যোগও সসম্ভ্রম সম্মানে এড়িয়ে গেছে এই পাগল প্রেমিককে।

বিরক্ত করেনি আত্মমগ্ন এই ঋষিকে। পল্লীকবি জানলে... যৌবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে ভালোবাসার অবগাহনে, এরপর প্রিয়া-বিচ্ছেদে বিষাদের অনলে দগ্ধ হয়ে পাগল বেশে পথে প্রান্তরে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়ানো আর শেষে বিবি’র সমাধি পাশে। পল্লীকবি জসিমউদ্দিন হাফিজউদ্দিনের ঘটনা দেখতে পেলে সম্ভবত তার অমর সৃষ্টি কবর কবিতাটি আবার নতুন করে লেখার অনুপ্রেরণা পেতেন! হাফিজের ঘটনা দেখে মনে পড়ে যায় পল্লীকবি রচিত কবর’র লাইন ক’টি--- এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে/তিরিশি বছর ভিজায়ে রেখেছি দু’নয়নের জলে/ এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ/পুতুলের বিয়ে ভেঙ্গে গেল বলে কেঁদে ভাসাইতো বুক। আর এক্ষেত্রে উর্দু কবি শাহীর লুধিয়ানভী কী করতেন! সেই যে সেই কবি যিনি তাজমহলের রূপসুধা আর শাহজাহানের কীর্তিতে মুগ্ধ না হয়ে লিখেছিলেন বিপরীতধর্মী চিন্তার সারাজাগানো সেই কবিতা- এক শাহেনশাহনে লেকার দৌলতকি সাহারা/ হাম গরীবোকা মোহাব্বাতকি উড়ায়া হ্যায় মজাক/ মেরে মেহবুব কাহি ঔর মিলাকার মুঝসে/ বজমে শাহী মে গরীবো কা গুজার কেয়া মানে...অর্থাৎ এক শাহেনশাহ প্রাচুর্যের সাহায্য নিয়ে আমাদের মত গরীবের প্রেমকে ঠাট্টা-তাচ্ছিল্য করেছেন তাজমহলের মত সুরম্য সমাধি সৌধ বানিয়ে। তাই, হে প্রিয়া, চল তাজমহলে নয়, অন্য কোথাও আমরা মিলিত হই অভিসারে।

এই শাহানশাহী বিত্ত-বৈভবের রঙ্গমঞ্চে গরীবের ভালবাসার মূল্যায়ন কোথায়? লুধিয়ানভীর কথা হচ্ছে- গরীব আর সাধারণ মানুষ নিজ প্রিয়াকে সম্রাটদের চেয়ে কোনও অংশেই কম ভালোবাসে না। তারা শাহজাহানের মত তাজমহল গড়তে না পারলেও তাদের ভালোবাসাকে অবমূল্যায়ন করার কোনও সুযোগ নেই। প্রবল পরাক্রম সম্রাট শাহজাহান তার অঢেল ঐশ্বর্য আর বিত্তের সাহায্যে স্ত্রীর সমাধিতে তাজমহল বানিয়ে নিজের ভালবাসাকে অনেক ওপরে স্থান দিতে চেয়েছেন, লাখো কোটি গরীবের আরও অসাধারণ সব ভালোবাসার কাহিনীকে পায়ে ঠেলে! তাই পুঁজিবাদী (!)তাজকে বর্জন করা উচিৎ সাধারণ প্রেমিক-প্রেমিকাদের! আচ্ছা, বলুন তো লুধিয়ানভী (জন্ম ০৮ মার্চ ১৯২ মৃত্যু ২৫ অক্টোবর ১৯৮০) যদি আমাদের পঞ্চগড়ের হাফিজউদ্দিনের কথা জানতেন- তাহলে কি স্বস্তিভরা মনে তার মন পছন্দের আরেকটি উমদা তাজমহল লিখে ফেলতেন না! স্বজনদের চাপে ছেড়ে আসেন কবরস্থান এদিকে, ২০০৬ সালে পারিবারিক চাপে শুকুরীর সমাধী ছেড়ে আসতে হয়েছে হাফিজকে। তবে আত্মীয়-স্বজনদের অনুরোধ আর চাপে কবরস্থান ছাড়লেও বাড়িতে ফেরেননি। বাড়ির বাইরে কবরের আদলে তৈরি করা ঘরে বর্তমানে অবস্থান করছেন হাফিজউদ্দিন।

ওই কবরেই তাকে সমাহিত করার কথা বলে রেখেছেন স্বজনদেরকে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন বাকপুর গ্রামে গিয়ে হাফিজউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তার জীবন কাহিনী। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বারবার ভিজে আসছিল হাফিজউদ্দিনের চোখ। দু’হাত দিয়ে আবেগের ধারা মুছতে মুছতে হাফিজউদ্দিন বলেন, “সংসার জীবনে আমরা একে অন্যকে ছাড়া কখনও ছিলাম না। বিয়ের পর থেকে একাত্ম হয়ে একমন নিয়ে দু’জন দু’জনকে অনুভব করতাম।

কেউ কাউকে কষ্ট দেইনি। কখনো বাড়ির বাইরে গেলে সারাণ তার জন্য এক ধরণের অস্থিরতা অনুভব করতাম। ” একা একা এই বিচ্ছিন্ন ঘরে কীভাবে থাকছেন প্রশ্ন করলে অশ্র“সিক্ত নয়নে হাফিজ বলেন, ‘শুকুরী আমার ভালোবাসা, আমার হৃদয়। আমাকে একা রেখে সে চলে গেছে। কিন্তু আমি তাকে ছেড়ে থাকতে পারব না।

একারণেই আমি এই ঘরে একাকী জীবন কাটাচ্ছি। ’ আজকালকার কোনও তরুণ-যুবক প্রেমিক কি আছেন যারা হাফিজের মত ভালবাসেন প্রিয়া বা স্ত্রীকে! তবে শুকুরীর মৃত্যুর পর হাফিজ আবারও বিয়ে করেছিলেন। তার ঔরসে শুকুরীর কোনও সন্তান হয়নি। পরের সংসারে বেশ কয়েকজন সন্তান জন্ম নেয়। আর সেই সংসারের স্ত্রী-সন্তানরা প্রথম স্ত্রী শুকুরীর জন্য হাফিজের পাগলামিভরা ভালবাসা এবং একে ঘিরে নানান কর্মকাণ্ড একসময় মেনেও নিয়েছেন।

শেষ ইচ্ছা এদিকে, হাফিজ তার নামীয় ১০ শতক জমি খানকা শরীফের নামে দান করেছেন। খানকা শরীফের মাজারের জমিতেই কবরের আদলে তৈরি করা হয়েছে তার বসবাসের ঘরটি। সেখানে তিনি দিনরাত সময় কাটান। স্ত্রীর কবরের পাশে প্রতি বছর ২অগ্রহায়ণ (যেদিন থেকে তিনি শুকুরীর কবরের পাশে বসবাস শুরু করেন) এখানে ওরস হয়ে আসছে। হাফিজউদ্দিনের ইচ্ছা, তার মৃত্যুর পর, প্রতিবছর মৃত্যুর তারিখে এ মাজারে ওরস অনুষ্ঠিত হবে।

‘মৃত্যুর পর পরকালে আমি যেন আমার শুকুরীর সঙ্গে মিলিত হতে পারি’ বারবার সবার কাছে এ দোয়া কামনা করেন পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া স্ত্রীর প্রেম-ভালোবাসায় মুগ্ধ ব্যাকুল হাফিজউদ্দিন। আমাদের বরাবরকার হিসেবী দুনিয়ার বাইরে হাফিজউদ্দিনের এ কর্মকাণ্ড অনেককেই চমকিত মুগ্ধ করবে নিশ্চিত। তবে লাভ-তির অংকে দক্ষ মানুষদের কেউ কেউ হয়তো একে অহেতুক পাগলামিও মনে করবেন। তারপরেও, হাল আমলে নারী-পুরুষ সম্পর্কের সোপান ধরে আশপাশে যেসব ঘটনা ঘটছে--- এসিড নিপে, আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টা, হত্যা, আত্মহত্যা, পরকীয়া আর বিচ্ছেদ- তার কিছুটা হয়তো নিয়ন্ত্রিত হতে পারে হাফিজ-শুকুরীর অসাধারণ প্রেম এবং এতে অপর স্ত্রী-সন্তানদের শ্রদ্ধা-সমর্থনের উদাহরণকে বিবেচনায় আনলে। এর থেকে আমরা কিছুটা অনুপ্রাণিত তো হতে পারি! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।