আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দূর্বল বিরোধীদলের জন্যই দেশের দুরবস্থা! দূর্বল বিরোধীদল দেশের জন্য ক্ষতিকর।

গণতান্ত্রীক শাসন ব্যাবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারী দলের পাশাপাশি বিরোধীদলের ভূমিকাও ব্যাপক। সরকার বিভিন্ন কাজের বিশ্লেষন করা তাদের দায়িত্ব। সংসদের ভেতরে যেমন তাদের সোচ্চার হতে হয়, তেমনি রাজপথেও তাদের সক্রিয় থাকা উচিৎ। সরকারকে চাপের মুখে রেখে জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তাদের সোচ্চার থাকা জরুরী। কিন্তু গত তিন বছরে প্রধান বিরোধী দল তাদের দ্বায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে বাথ্য হয়েছে।

সরকারের নানা স্বৈরাচারী সিধান্তে তারা কেবল মাত্র এসিরুমে বসে প্রেসবিফিং করেই নিজেদের কাজ শেষ করেছে। গণবিরোধী অসংখ্য ইস্রু সরকার দিলেও প্রধান বিরোধীদল বিএনপি-জামায়াত জোট তা ব্যাবহার করতে পারেনি। এরকম দূর্বল বিরোধী দল স্বাধীনতার পরে আর কখনো দেখা যায়নি। যদিও সিটের দিক থেকে ত্রিশ উর্দ্ধে সিট তারা পেয়েছে কিন্তু মোট কাষ্ট হওয়া ভোটের দিক থেকে বিরোধী জোট কিন্তু খুব বেশি খারাপ করেনি। জনগণ ভেবেছিল এই ব্যাপক বিজয়ের ফলে হাসিনার সরকার সংসদকে কার্যকর করবে।

মহাজোটকে ভোট দেওয়া সাধারণ জনগণের স্বপ্ন ছিল পাহাড় সম। সেই স্বপ্নের পাহাড় ভেঙে পড়তে অবশ্য দেরি হয়নি। দ্রব্য মূল্যর আকাশ ছুয়েছে, আইন শৃংঙ্খলার চরম অবনতি, আদালতকে পকেটে পুরে নানা বির্তকিত রায় দিয়ে কোট কাচারীকে অবিস্থত করে তোলা। সংবিধানে কেচি চালানো, ভারতকে বিনা শুল্কে করিডোর দেওয়া, টিপাই মুখে ভারতের বাধ সহ ভারতের নানা অগ্রাসন মাথা পেতে নেওয়া। এছাড়াও শেয়ার বাজার হতে টাকা লুটপাট করে কয়েক লক্ষ পরিবারকে নিঃস্ব করে দেওয়া, যোগাযোগ ব্যাবস্থা ধ্বংশ করে দেওয়া পদ্মা সেতুতে সিমাহীন দূনীতি ও জ্বালানী তেলের গ্যাসের বিদুতের দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধি।

এতকিছু করেও হাসিনা সরকার হাসি মুখে বলছে আমাদের হটানো অলিক কল্পনা! দূর্বল বিরোধী দলের কারনেই বর্তমান সরকার গনবিরোধী কাজ নিবিঘের্œ করে যেতে পারছে। প্রধাণ বিরোধী দল তাদের গা বাচানো কর্মসূচি দিচ্ছে। তাই তাদের প্রতি সাধারণ জনগণ খুবেই বিরক্ত। বিরোধী দল ভাবছে আগামী নির্বাচনে তারা সহজের পাশ করে আবার ক্ষমতায় বসবে। তারা বসে আছে গদির অপেক্ষায়।

তাদের ভূমিকা কি হওয়া উচিৎ তা তারা ভুলে গিয়েছে হয়ত। আবার এমনও হতে পারে গত জোট সরকারের আমলে তৎকালিন মন্ত্রী এমপিরা নেতারা যে অনেক দূনীতি করে ছিল সে কথা মনে করে তারা নৈতীকভাবে সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে উচ্চোবাক্য করতে পারছেনা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে প্রতিবেশি একটি দেশ এবং একটি বিসাল ক্ষমতাধর মোড়ল রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল। ১/১১ সরকারেরও নাকি হাত ছিল যে কারনেই হয়ত আইএমএফের নানা আত্মঘাতি প্রেসক্রিপশন সরকার বিনা বাক্য ব্যায়ে মেনে নিচ্ছে। ধার দেনা আর গোজামিল দিয়ে দেশ চালাতে গিয়ে ব্যাংক রির্জাভ শূন্যে করে ডিজিটাল সরকার তার বাবার সাদাকালো আমলের উদাহরন দিচ্ছে! সাধারণ মানুষের অবস্থা চরম খারাপ।

মধ্যেবৃত্ত পরিবার গুলিতে চলছে হাহাকার। অর্ধেক ব্যাগ বাজার করে ফিরতে হচ্ছে। এই চরম দুঃদিনে বিরোধীদল এসি গাড়িতে লংমার্চ করছে। সেলুকাস! জনগণের এই ভোগান্তির জন্য সরকারের পাশাপাশি তাই বিরোধী দলও দায়ী। সরকার এরকম নিরামিশ অদক্ষ বিরোধী দলের পেয়েছে বলেই তাদের সিধান্ত গুলি চাপিয়ে দিতে পারছে।

জনগণ এখন দিদ্ধায় আছে এরকম অদক্ষ দূর্বল একটি জোট যদি ক্ষমতায় আবার বসে তখন তারা ভাল করতে পারবে কি? অবশ্য এখনও সময় ফুরিয়ে যায়নি। বাকি দুই বছর তাদের ভূমিকা কি হয় তাই দেখবে তারা। না হলে তৃতীয় কোন শক্তির জন্য আবার স্বপ্ন দেখতে পারে।  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.