আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাসিক নির্বাচনে অবশেষে নির্বাচন কমিশনের নাটক শুরু........................

আগামী ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে ও সুষ্ঠু নির্বাচন স্বার্থে নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়ন করবে যে সিদ্ধান্ত ছিল তা অবশেষে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। এদিকে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না হওয়ায় শহরে বিক্ষোভ করেছে মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা। বিএনপি পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্বান্ত নিবে বলে জানিয়ে এবং সাবেক মেয়র ডঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী অপর মেয়র প্রাথী আওয়ামী সমর্থক শামীম ওসমানের বিজয় নিশ্চিত করার স্বার্থেই এ সিদ্বান্ত নির্বাচন কমিশন বলে অভিযোগ করেছেন। নারায়নগঞ্জের শুরু হয়েছে নতুন নাটকীয় পরিস্থিতির। নির্বাচনের ঠিক ২ দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশনের এই রহস্যময় ও নাটকীয়পূর্ণ সিদ্ধান্তে ভোটারদের মনে বিদ্যমান মেয়র নির্বাচন নিয়ে ভোট কারচুপি কিংবা নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না এমন জল্পনা-কল্পনা ও সন্দেহ আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে।

নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে নাটকীয় মোড় এখন আলোচনার মূল বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বাসীর শংঙ্কা আপাতত সুস্পষ্ট। অপর দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী চেয়েও না পাওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা জানান, নির্বাচনে সেনা সদস্য পাচ্ছে না ইসি। সৈন্য চেয়ে গত ১৬ অক্টোবর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়ে সেনা মোতায়েন না হওয়ার জন্য কার্যত সরকারকেই দায়ী করেন সিইসি।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পর নির্বাচন কমিশনকে অনেক ক্ষমতা দেওয়ার কথা সরকারি দলের নেতারা বলে আসছেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে সেনা পেতে ব্যর্থতা তাদের সে বক্তব্যকেও প্রশ্নবিদ্ধ করলো। নারায়ণগঞ্জবাসীকে আশ্বস্ত করে সিইসি বলেন, "আমি আশ্বস্ত করতে চাই, পরিবেশ সুষ্ঠু আছে, কোনো সমস্যা নেই। কোনো ভোট কেন্দ্রে কোনো ধরনের গোলযোগ দেখা দিলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবো। প্রয়োজনে ভোট বন্ধ করে দেবো।

" এ রকম নাটকীয় পরিস্থিতিতে ভোটারদের মনে আতংকের সৃষ্টির হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে বলে মনে করেছেন নারায়ণগঞ্জবাসী। নির্বাচন আয়োজনে কমিশন স্বাধীন ভাবে যে কাজ পরিচালনা করেছে না কিংবা কমিশন স্বাধীন নয় বলেই সেনা সদস্য পাচ্ছে এমনটাই ভাবছে সাধারণ ভোটারা। বিএনপি দলীয় প্রাথী তৈমুর আলম খন্দকার প্রতিক্রিয়ায় বলেন-"নির্বাচন কমিশন কথা দিয়েও কথা রাখেনি। তারা এখন সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্য মাঠে নেমেছে। " সেনা মোতায়েন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীও।

তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.