গত কিছুদিনে ঘটে যাওয়া কুয়েটের ঘটনাগুলি নিয়ে ব্লগগুলিতে বেশ মাতামাতি চলছে। যারা এখানকার গুটি কয়েক বরভাইদের পা চাটছে তারা ব্লগ এ প্রথম আলোর ভুল সাংবাদিকতার তীব্র সমালোচনা করে চলেছে। কিন্তু তাদের সমালোচনার মাঝে যারা দোষী তাদের বিচার দাবী করার মত গুরুত্বপুর্ন কথাটি বলতে ভুলে যাচ্ছেন। আর তাদের গুটিকয়েক তো মেয়েদের ঝোপঝার প্রসঙ্গ তুলে আনছেন বিষয় বদলাবার উদ্দেশ্যে। যারা বিষয় বদলাতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, সব মেয়েরা ঝোপে ঝারে যায় না।
এখানে এসব মেয়েদের সংখ্যার থেকে ভালো মেয়ের সংখ্যাটাই বেশী। কারন প্রত্যেকেই তাদের বাবা এবং মাকে ভালবাসেন। যেমন খাজা হলেও হিসাব কষলে ভালো ছেলের সংখ্যা বেশী দারাবে, যারা মারের ভয়ে কিছুই বলতে পারেন না। আর কুয়েটের মেয়েদের কথা বাদ দিলাম। আমি কুয়েটের একজন ছাত্র।
এখানে আমার মা এবং আপু বেরাতে আসে। তো খাজা হলের সামনে দিয়ে যাবার সময়; তারা বিশেষ কিছু মন্তব্য শুনতে পায় এবং আমাকে যানায়। আমি ঐ দিন লজ্জায় আমার বোন ও আমাকে কিছুই বলতে পারিনি। সুধু বলেছিলাম এখানে আর আসার দরকার নেই। আর ছেলেমেয়ে উভয় প্রসঙ্গে বলি, আমরা মেয়েদের বেশভুষা সমর্পকে অনেক কথা বলি কিন্তু আমরা মনে হয় নিজেদের কিছু বন্ধুদের তাকালে দেখি তাদের পরা প্যান্টটি মাঝে মাঝেই খুলে যাওয়ার দশা হয়।
কই তখন তো কোন মেয়ে তাকে দেখে উল্টা পাল্টা কোন মন্তব্য ছুরে দেয় না। কারো পোশাক নিয়ে কথা থাকলে তাকে আলাদা ডেকে ভদ্র ভাষাতেও বলা যায়। যেদিন আমি মানব বন্ধনে যোগ দেই সেদিন অনেকেই আমাকে ডেকে অস্রাব্য ভাষায় গালি দেয় এবং আমাকে মুরগি বলে উপাধি দেয়। এরকম উপাধি দাতাদের সংখ্যা খুব বেশী না কিন্তু মার খাওয়ার ভয়ে সেদিন কিছুই বলতে পারিনি। কিন্তু আর চুপ করে থাকতে চাইনা।
সেদিন আমার মা আর বোনের সাথে যা হয়েছিলো সেটা যে অন্য কারো সাথে হয়নি তা কি করে বলেন? সুতরাং কুয়েটের ভাবমুর্তি আজ সুধু নষ্ট নয় বরং ধংসের পথে। আমি আর ভয় পাই না। গুটিকয়েক মানুষের অপচেষ্টায় আজ আমাদের এই দশা। আমি চাই এই নোংরা মানুষগুলির বিচার হোক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।