আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সীমান্ত হত্যার ক্ষতিপূরণ দিলেই সব মাফ হয়ে যায়?

সুশীলদের ভন্ডামী প্রকাশ করবই একদিন আজকে পত্রিকায় খবর আসলো রাজশাহীর বাঘা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশীর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিল ভারত সরকার। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ৩৭-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) রাজশাহীর মাধ্যমে নিহতের পরিবারকে অনুদানের ৫ লাখ ভারতীয় রুপীর চেক হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি সূত্র জানায়, নিহত ওই বাংলাদেশীর নাম শাহ আলম মাল (৪০)। তার বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আতারপাড়া গ্রামে। রাজশাহী বিজিবি-৩৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাম্মি ফিরোজ জানান, গত শুক্রবার ওই অনুদানের চেক রাজশাহী বিজিবির হাতে পৌঁছে।

Click This Link কিন্তু একটু পিছন দিকে যাওয়া যাক। গত বছরই ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিএসএফ মহাপরিচালক দম্ভোক্তি করেন সীমান্তহত্যা বন্ধ এখনই সম্ভব নয়। যার অর্থ ভারত চাইলেই বিএসএফ বাংলাদেশী হত্যা করবে। মহাপরিচালক অর্থাৎ আড়ালের ভারত সরকারের এ বক্তব্য ভারতীয়দের সম্রাজ্যবাদ আর জাতিবিদ্বেষের সূক্ষ একটি মনোবৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই মানুষ মেরে ক্ষতিপূরণ দিলেই যে মাফ হয়ে গেল তা নয়।

এর মাধ্যমে একটায় সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়,সামরিকবাহিনী যদি দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশী শক্তিশালী না হয় তাহলে এধরণের স্বেচ্ছাচারী সম্রাজ্যবাদের নিচেই চাপা পড়তে হবে জাতিকে। অর্থনৈতিক শক্তিশালী অবস্হা যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন চৌকশ সামরিক বাহিনী। নাহলে এমন প্রহসনের ক্ষতিপূরণের মত অপমানের স্বীকারই হতে হবে বারবার। বিশ্ব ভূবনে ভৌগলিক অবস্হান আর বাণিজ্যিক-কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের নিকট অন্যতম শীর্ষগুরুত্বপূর্ণ একটা দেশ। তাই এদেশটি সম্পর্কে গৎবাঁধা কিছু ধারণা না নিয়ে জানা খুবই প্রয়োজন এদেশের জনগণ ও সেখান থেকে উঠে আসা সরকার বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষকে নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিধরণের চিন্তাভাবনা করে।

যারা কয়েকবার বা অনেকবার ভারত ভ্রমণ এবং অবস্হান করেছেন তারা মোটামুটিভাবে জানেন এসব কথা। যতটুকু বোঝা যায়,বাংলাদেশের সাথে সীমান্তহত্যা সমস্যা এখনও পুরো ভারতের কাছে সীমান্তবর্তী রাজ্যভিত্তিক সমস্যা যা আমাদের কাছে জাতীয় ইস্যু। অর্থাৎ আমরা যদি তাদের পুরোপুরিভাবে এই জ্ঞানটা দিতে ব্যর্থ হই যে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী হত্যা আমাদের স্বার্বভৌমত্বের উপর আঘাত ততদিন এসব প্রহসনের ক্ষতিপূরণে কোনভাবেই সীমান্তের সন্তানহারানো সেই মায়ের চোখের পানি মুছে দিতে পারবেনা। ওদেরকেও সেই অনুভূতিটায় ফিরিয়ে দিতে হবে যা আমরা জাতীয়ভাবে অনুভব করি। তাই এমন প্রহসনের ক্ষতিপূরণ বরং আরেক ধরণের অপমানই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।