আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সীমান্ত সন্ত্রাস

হরতাল শব্দটা শুনলেই মজা লাগে...

২০১০ সালে বছরের ১২ মাসে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ ও নাসাকাকর্তৃক নিহত হয়েছেন ১১৬ জন। এ সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নিহত হয়েছে ১০৫ জন । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিএসএফ বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করেছে। এছাড়া সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে আহত হয়েছেন ১৬৩ জনেরও বেশি। এছাড়াও বিএসএফ কর্তৃক অপহৃত হয়েছেন ১২১ জন।

নাসাকাকর্তৃক নিহত হয়েছেন ১১ জন। জানুয়ারি - ২০ জন ফেব্রুয়ারি - ৬ জন মার্চ - ৫ জন এপ্রিল - ১০ জন মে - ৮ জন জুন ১১ জন জুলাই - ১০ জন আগস্ট - ১১ জন সেপ্টেম্বর - ৮ জন অক্টোবর - ৬ জন নভেম্বর - ১০ জন ডিসেম্বর - ১১ জন জৈন্তাপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর মদদে খাসিয়ারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জমি দখল করে চাষাবাদ শুরু করে এবং অস্ত্রের মহড়া দেয়। ৩ নভেম্বর বুড়িমারি সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় শহিদুল ইসলাম। ৮ নভেম্বর যশোর সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় মজনু বিশ্বাস। ৯ নভেম্বর সাতক্ষীরার গাজীপুর, পুটখালী ও পাটগ্রামের বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় শরীফুল ইসলাম, মজনুর রহমান, মোক্তাল হোসেন।

১৫ নভেম্বর বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় আব্দুল গাফফার ও মতিয়ার নামে দুই বাংলাদেশী। একই দিন দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় মুক্তার। ১ ডিসেম্বর কানাইঘাটের সুরইঘাট সীমান্তের বাংলাদেশ সোনাতনপুঞ্জি এলাকায় ভারতীয় খাসিয়াদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত বাংলাদেশী কাঠুরিয়া জসিম উদ্দ ীনের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়। ৯ ডিসেম্বর শিবগঞ্জের মাসুদপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কালুমিয়া (৩০)। ১১ ডিসেম্বর বেনাপোল সীমান্তে আমির হোসেন (৩৫) নামের এক বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যা করে বিএসএফ।

১৩ ডিসেম্বর কলারোয়ার কাকডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কবিরুল ইসলাম। ১৮ ডিসেম্বর ডিমলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় আব্দুর রশিদ (৩৫)। ১৯ ডিসেম্বর বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় শফিয়ার রহমান। ২৪ ডিসেম্বর লালমনিরহাটের হাতিয়াবান্দার দইখাওয়া সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় সাইফুর রহমান। একই দিন, পবার খানপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়া তাজেরুল ইসলাম।

২৫ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের হামলায় নিহত হয় অজ্ঞাত এক বাংলাদেশী। ২৭ ডিসেম্বর লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বামনদল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বেলাল হোসেন (২৫)। ২৮ ডিসেম্বর বিরামপুর সীমান্তে বিএসএফ পিটিয়ে হত্যা করে এক বাংলাদেশী যুবককে। এই সব এর শেষ কবে ? কবে ফেলানীরা মুক্তি পাবে ???

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।