আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোজন রসিক মেয়ের কয়েকটা ছবি

ভালো থেকো বন্ধুরা বয়স মাত্র ৬ বছর। উচ্চতায় মাত্র ৩ ফুট ৫ ইঞ্চি। তাতে কি হয়েছে? সে একাই এক সপ্তাহে খেয়ে সাবাড় করে ফেলতে পারে একটি গ্রামের মানুষের সমপরিমাণ খাবার। এতো গেল শুধু খাবারের কথা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুমনা খাতুন নামের ওই শিশুর ওজন ২০১ পাউন্ড।

এ বয়সে স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে যা ৫ গুণ বেশি। ভারত ও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভারতীয় মেয়ে শিশুদের মধ্যে সুমনা খাতুনই সবচেয়ে বেশি স্থূলকায়। জন্মের সময় তার ওজন ছিল ৮ পাউন্ড ৯০ আউন্স, যা মোটামুটি স্বাভাবিকই বলা যায়। কিন্তু যে মুহূর্ত থেকে দুধ পান করা শুরু করলো, সে মুহূর্ত থেকেই রুচিতে ব্যাপক পরিবর্তন চলে সুমনার। খাবার তালিকাও যেন অস্বাভাবিক ওজনের ভারে নুয়ে পড়তে আরম্ভ করলো।

প্রতি সপ্তাহে সুমনা ১৪ কেজি পরিমাণের ভাত, ৮ কেজি আলু, ৮ কেজি মাছ ও প্রায় ১৮০ খানা কলা খেয়ে থাকে। তাছাড়াও হালকা খাবারের মধ্যে সে পছন্দ করে মিষ্টি ও ক্রিম কেক। তবে, তার মা বেলি বিবিও ভোজন রসিক মেয়ের পুরো খাবারের হিসাবটা দিতে পারলেন না। কারণ, দুপুরের খাবার শেষ করেই সুমনা আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাবার চেয়ে নিয়ে খায়। ওদিকে সুমনা খাতুনের পিতা পেশায় কৃষক।

কৃষিকাজ করে তিনি সপ্তাহে মাত্র ১২৩০ টাকা আয় করেন। আর, সে টাকার প্রায় পুরোটাই চলে যায় সুমনার পিছনে। বাকি পরিবারকে কখনও কখনও দিন কাটাতে হয় অনাহারে। এতো কিছুর পরও সুমনার না খেতে দেয়ার অভিযোগের কোন শেষ নেই। সে একা যে খাবার খায়, তা দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলে যায় ৪ জনের একটি পরিবার।

তাকে ব্যায়াম করানো হয় না। ১ মিনিটের বেশি হাঁটলেই ধপাস। সুমনার খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনা সব প্রচেষ্টাই বিফলে গেছে বলে দাবি করছেন তার মা। প্রচণ্ড জেদি সে। কিছু না পেলে কাদা খেতে শুরু করে দেয়।

বেলি বিবি বলেন, আমিতো আমার সন্তানকে আর কাদা খেতে দিতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে খাবার দেই তাকে। তবে, পরিবারের ডাক্তার সুবোধ বন্দ্যোপাধ্যায় সুমনাকে একেবারে শিশু বয়স থেকে দেখছেন। তিনি বলেন, এখনই যদি তার পিতা-মাতা কোন পদক্ষেপ না নেন, তবে সুমনা হার্ট-অ্যাটাকে মারা যেতে পারে। কিন্তু মা বেলি বিবি জানান, আমরা কোন ভুল করিনি।

আমরা অসহায়। আমাদের হাত বাঁধা। কারণ, সে যখন জেদ করে, খাবার জন্য বেশি কান্নাকাটি করে তখন তার নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে।  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।