আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সচেতনতা আবশ্যক !

আপন আলোয় উজ্জল............. নিজে জানুন, অন্যদের সাথে শেয়ার করুন: মা-বোনদের গোপন ক্যামেরা থেকে বাঁচান ইদানিং গোপন ক্যামেরা একটা আতংকের নাম হয়ে গেছে। শপিং মল, টয়লেট থেকে শুরু করে সবখানে গোপন ক্যামেরা আতংক। ইন্টারনেট খুললেই নানান সাইটে গোপন ক্যামেরার ভিডিও ও ছবি বা নিউজ! অনলাইন মিড...িয়া, সোশাল ব্লগেও এমন অনেক অভিযোগ। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জতের দাম ওদের কাছে হাসির খোরাক। শপিংমলের ড্রেসিং/ট্রায়াল রুমে (যেখানে মেয়েরা কাপড় পাল্টায় বা ফিটিং চ্যাক করে), লেডিস টয়লেটে গোপন ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে সবার অলক্ষ্যে।

কেউ জানেনা এই খবর, কিন্তু সেই ক্যামেরায় ধরা পড়ছে আমাদের কত মা-বোন। কিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে সেসব নগ্ন ভিডিও বা ছবি। মানুষ কতটা নিচে নামতে পারলে এমন করে? কিভাবে ঠেকাবেন একে? আজ ফেইসবুকে আমার এক বন্ধু একটা ডকুমেন্ট শেয়ার করেছে আমার সাথে। মনে হল সেটা সবার সাথে শেয়ার করা খুবই দরকার। বিশেষ করে এই ঈদের সময় কেনাকাটা করতে আমাদের মা-বোনরা বেশী প্রতারিত হতে পারে।

তাই একে বেশী করে শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন এর প্রতিকারের উপায়। কিভাবে বুঝবেন গোপন ক্যামেরা আছে কিনা? খুব সহজে নির্নয় করা যায় রুমে গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব আছে কিনা। এরজন্য আপনার লাগবে একটা মোবাইল ফোন (সিম এক্টিভ করা) যেখানে থেকে কল করা যায়। এবার ট্রায়াল রুমে (যেখানে কাপড় পাল্টাবেন) ঢুকে কল দেয়ার চেষ্টা করুন আপনার মোবাইল থেকে যে কাউকে। যদি কল করা যায় ও নেটওয়ার্ক থাকে- তাহলে গোপন ক্যামেরা নাই ঐখানে।

আর যদি কল করা না যায় ও নেটওয়ার্ক হঠাৎ করে ডাউন হয়ে যায়- তাহলে অবধারিত ভাবে বুঝবেন সেখানে গোপন ক্যামেরা আছে। কেন এমনটা হয়? খুব সোজা। গোপন ক্যামেরার সাথে থাকে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল। সিগনাল ট্রান্সফার করার সময় এর ইন্টারফিয়ারেন্স হতে থাকে। যার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক ঐখানে কাজ করে না।

এভাবে আপনি পারেন আপনার মা-বোনকে গোপন ক্যামেরার নোংরামি থেকে বাঁচাতে। এতো গেলো একটা ব্যাপার। এবার আরেকটা বিষয়। শপিং মলের ড্রেসিং রুমে যে মিরর দিয়ে দেখছেন সেটা আসল আয়না তো? অন্যপাশে থেকে কেউ আপনাকে দেখছেনা বা ভিডিও করছেনা তো?? আসল আয়নার মাঝে এখন যুক্ত হয়েছে নকল আয়না, যাকে বলা হয় দ্বিমুখী আয়না। এই আয়নায় আপনি আপনার চেহারা দেখতে পারবেন, কিন্তু ভুলেও বুঝতে পারবেন না যে অন্যপাশে একজন আপনাকে দেখছে!! জ্বী এখন এইভাবেও চলছে প্রতারনা ও ভিডিও করার ফাঁদ, যা গোপন ক্যামেরার মতই সাংঘাতিক!! সহজ একটা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার সামনের আয়না আসল নাকি নকল।

আপনার আঙ্গুল আয়নার উপর রাখুন। যদি আপনার আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্ব আঙ্গুলের মাথার সাথে না লাগে (মাঝে ফাঁকা থাকে) তাহলে আয়না আসল। আর যদি আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্বের মাথার সাথে লেগে যায়, তার মানে আয়না নকল!! এটা আসল আয়না না, একটা দ্বিমুখী আয়না- যার অন্যপাশে থেকে আপনাকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি তাকে দেখতে পাবেন না। মানে অন্যপাশে থেকে কেউ আপনাকে দেখছে বা ভিডিও করছে!! কিভাবে? কারন আসল আয়নার সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার পিছনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুল ও প্রতিবিম্বের মাঝে ফাঁকা থাকবে আয়নার পুরুত্বের জন্য। আর নকল আয়নার (দ্বিমুখী) সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার সামনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুলের ছাপ আপনার আঙ্গুলের প্রতিবিম্বের সাথে লেগে যাবে (কারন মাঝে কোনো বাধা নেই)।

তাই আসুন সবাই সচেতন হই। নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য সবার জন্য এই সচেতনতা খুবই দরকার। সবার সাথে শেয়ার করুন, যেন কেউ এই নগ্ন হামলার শিকার না হয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।