আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকা চুল।

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল সম্ভবত ধারাবাহিক নাটকের নাম \"কোথাও কেউ নেই\"। লেখক হুমায়ুন আহমেদ। সেখানে একটি খল চরিত্রের নাটকের নাম কি যেন ছিল। কিন্ত \"পাকা চুল\" বলেই কুখ্যাত হয়ে গিয়েছিল। এই চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন এ কে কোরেশি নামের এক অভিনেতা।

এই চরিত্রভিনয় করে কোরেশি সাহেব ভালো ধরা খেয়েছিলেন। পাব্লিক এমন ক্ষেপে গিয়েছিল যে বাস্তবে তার বাসার বাইরে যাওয়াই প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যখন এই নাটকটি হুমায়ুন আহমেদ লিখেছিলেন, তখন কি ঘুর্ণাক্ষরেও টের পেয়েছিলেন যে নাটকে যে চরিত্র সৃস্টি করেছিলেন, তারই বাস্তব তার নিজের পরিবারেই অবস্থান করছে? হ্যা, অনেকের শ্রদ্ধেয় ডঃ জাফর ইকবালের কথাই বলা হচ্ছে। একজন উচ্চশিক্ষিত লোকের এমন দেশ বিরোধী আচরণ কারো কাম্য ছিল না। তিনি এক সময় মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সুখ শান্তি অর্থ বিত্ত সব ছেড়ে ছুড়ে দরিদ্র বাংলা মায়ের কোলে ফিরে এসেছিলেন।

বিশ্বাস করি সেটা জন্মভুমির মমত্ব থেকেই। আজ এমন কোন লোভে তিনি বাংলা মা কে উলঙ্গ করে সামাজ্যবাদিদের বিছানায় তোলায় রত? বাংলাদেশের ইতিহাসে বোধ করি প্রথম আলোর মত প্রকাশ্য বিদেশি দালালি কেউ করেনি। সেখানে ডঃ ইকবাল এমন একটি প্রসঙ্গে সম্প্রতি কলাম লিখেছেন যে সেটা অন্তত প্রকৃত দেশপ্রেমিক কেউ করবে না। অথচ তেল গ্যাস নিয়ে, দ্রব্য মুল্য নিয়ে, আইন শৃংখলা নিয়ে, ভারতের আগ্রসনের বিরুদ্ধে, না প্র আলো না ডঃ ইকবাল একটি শব্দ উচ্চারন করেছেন। মুখে তিনি যতই নিরপেক্ষতার বুলি আউড়ান তার কর্মকান্ডে তার দাবির প্রতি আর কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না।

পারার কথাও নয়। তিনি নির্লজ্জতার সীমানা এতটাই অতিক্রম করেছেন যে, সামাজ্যবাদিদের খেয়াল খুশি মত গড়া আদিবাসিদের সংজ্ঞা হু বু হু আওড়ে ওদের পালিত কুকুরের মত আস্থা অর্জনে লিপ্ত। এই কি তার শিক্ষা এবং রুচিবোধ? একথা তো দিনের আলোর মত পরিস্কার যে এক কেন্দ্রিক বিশ্বব্যাবস্থা কায়েমের জন্য দেশে দেশে বিভক্তি আর হানাহানি সৃস্টি করে রেখেছে সামাজ্যবাদি ভয়ংকর একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি। সুদান/পুর্ব তিমুর ইত্যাদি অঞ্চলে যে কায়দায় বিচ্ছিন্নতাবাদ উস্কে দেয়া হয়েছে, একই ফর্মুলায় তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেস্টায় রত। আর প্র আলোর মতি রাজাকার থেকে শুরু করে সুলতানা কামাল, সিমিন হোসেন, মেজবাহ কামাল এবং ডঃ ইকবালের মত লোকেরা এই ক্ষেত্রে সামাজ্যবাদিদের হাতের পুতুল হয়ে কাজ করছে।

সময়ে সময়ে উল্লেখিত ব্যাক্তি সহ পর্দার অন্তরালে যে গোষ্ঠি বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য অঞ্চল আলাদা করার চক্রান্তে নিমজ্জিত, তাদের পাপ, ৭১ এর ঘাতক দালালদের মতই চরম ঘৃণ্য এবং দেশদ্রোহিতার অভিযোগে দুস্ট। এরাই যখন স্বাধীনতার চেতনার সোল এজেন্ট হিসাবে ঢাল ঢোল পেটানো শুরু করে, তখন ওদের মুখে এক দলা থুতু দিতে ইচ্ছা করে। হুমায়ুন আহমেদের নাটকের সাদা চুলের খল লোকটি যেমন পর্দায় এবং পর্দার বাইরে যেভাবে জনরোষের মুখে পড়েছিল, তেমনি এই সব দেশদ্রোহি দালাল পাকা চুলদের বিরুদ্ধেও একই ধরণের রোষ সৃস্টি হচ্ছে। যারা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসি, যারা ৩০ লাখ শহিদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তারা আবারও সংগঠিত হয়ে এই সব দেশদ্রোহিদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন, অন্তত আমাদের শহিদ ভাই ও বোনেরা সেরকমটিই আশা করেন। আমরা কি তাদের আশার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবো? নাকি নির্বীর্য হয়ে প্রমান করবো আমরা আসলে বীর নয় নপুংশক জাতি।

 ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।