চরম অলস আর আড্ডাবাজ একটা ছেলে। । বিস্ময়কর মানুষ আর জিনিষ দেখতে আমরা পৃথিবী চষে বেরাই। একটু ভিন্নধর্মী মানুষের দেখা পেতে ঘুরে বেড়াই দেশ হতে দেশান্তরে। আজ তেমনি এক বিস্ময়কর বিচিত্র মানুষের কথা বলবো।
না এর জন্য কোন দেশে চলে যেতে হবে না। ইনসান আলী এই বাংলার সন্তান। আল্লাহর এক বিস্ময়কর সৃষ্টি।
২৮ বছর ধরে টানা রোজা রেখে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন কুড়িগ্রাম উপজেলার ধরলা নদীর চরের এই দরিদ্র কৃষক। আরো আশ্চর্য ব্যাপার হলো, এই দীর্ঘ সময়ে তাঁর বড় কোনো রোগব্যাধিও হয়নি।
ঈদুল ফিতরের এক দিন, আর ঈদুল আজহার চার দিন_এই পাঁচ দিন রোজা রাখা নাজায়েজ। এই বিশেষ দিনগুলো বাদে বছরের বাকি দিনগুলোতে রোজা রাখতে ভুল করেননি ইনছান আলী।
বয়স ৭০ পেরিয়েছে। মৃত্যু ভয়ে সব সময় সাদা কাপড় পরে থাকেন। মাথার নিচে কোন বালিশ দেন না।
নদী ভাঙ্গা মানুষ। ঘর সরিয়েছে ১১ বার। অভাবের সংসার। ঠিকমতো সেহরি বা ইফতার কিছুই হয় না। তারপর ও পরকালে মুক্তির আশায় দীর্ঘ ২৮ বছর রোযা রেখে চলেছেন।
অনেক দিন তিনি চকলেট এমনকি গাছের পাতা দিয়ে ইফতারি সেরেছেন। তাতে তাঁর কোনো অসুবিধা হয়নি। রাতে এশার নামাজ পড়ে ভাত খান। তবে সব সময় ভাত মেলে না। এখন একটানা চার দিন না খেলেও কোনো সমস্যা হবে না বলে ইনছান আলীর বিশ্বাস।
তিনি জানান, রোজা রাখা শুরু করার পর থেকে তেমন কোনো রোগব্যাধি হয়নি। এ সময় ওষুধ খেয়েছেন মাত্র ২০০ টাকার। তাঁর কথা_'রোজা রাখি মাবুদের খুশির জন্য। তাই তিনি আমাকে ভালো রেখেছেন। '
মানুষের এমন বিশ্বাস মানুষকে অনেক দূর নিয়ে যায়।
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এই রমজানে আল্লাহ আমাদের আরও বাড়িয়ে দিক। আমিন।
যারা বিস্ময় খুজে বেরায় এক দেশ থেকে আরেক দেশ। গুগলে সার্চ দিয়ে তুলে আনে অনেক অবাক করা সব সংবাদ। এবার আশা করি তাদের কাছে ইনসান আলীও একটা সংবাদ হবে।
হয়তো ঘরের পাশের শিশির কণাটি এতদিন তারা দেখেনি। আশা থাকবে আমাদের মিডিয়া যাতে এমন একজন রোজাদারকে প্রাপ্য সম্মান দিতে পারে। কোন মিলা, তিশমা নয়,নয় হাবিব বালাম, নয় কারিনা, শাহরুখ এই ইনসান আলী হোক আমাদের স্টার। আমাদের রোল মডেল। আমাদের আদর্শ।
ইনসান আলী বাংলার গর্ব।
ইনসান আলী ইসলামের গর্ব। মুসলমানদের গর্ব ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।